চেয়ারম্যান চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় মোটর লীগের ঝাঁড়ু মিছিল

ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে ঝাঁড়– মিছিল করেছে স্থানীয় মোটর চালকলীগের সদস্যরা।

সিএনজি পরিবহণে চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাঁড়– মিছিল করা হয় বলে জানা গেছে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঝাঁড়– মিছিল করা হয়।

সরেজমিনে গেলে ঝাড়– মিছিলকারীরা জানায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ মালেক সুয়াপুর বাজারে মোটর চালকলীগের অফিস উদ্বোধন করার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে।

তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে ওই অফিস ভাংচুর করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ মালেকের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ভেঙে ফেলে।

এব্যাপারে চেয়ারম্যান সোহরাবকে ১নং বিবাদি করে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। তার গ্রেফতার ও অপসারন দাবিতে আজকের এ ঝাঁড়– মিছিল।

এব্যাপারে সুয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, 'রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, বিএনপি ও ডাকাতদের সন্তান ও গরু চোর নিয়ে মোটর চালকলীগ গঠন করায় নীতিগত ভাবে তাদের বিরোধীতা করেছি।'

'এছাড়া স্থানীয় মোটরচালক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ও তার সহযোগী পান্না আমার কাছে এসে সুয়াপুর-শ্রীরামপুর রোডে চলাচলকানঅ প্রতি সিএনজি পরিবহণ থেকে ১০০টাকা হারে ৬০টি থেকে প্রতিদিন ৬হাজার টাকা চাঁদা উঠানোর দাবি করলে আমি এর প্রতিবাদ জানাই।'

'আবুল হোসেন ও গরু চোর খ্যাত নান্নার গ্রামের আবুবকর ধামরাই সদর থেকে তিনটি বাসে লাঠিসোঠা ও লোহার রড নিয়ে এসে ঝাঁড়– মিছিল করে। স্থানীয় কোন লোকই ছিলনা এ ঝাঁড়– মিছিলে।'

'এমনকি বিতর্কিত মোটরচালক লীগের সদস্যও না। আমি এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেব। আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তারা আমার মানসম্মানের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।'