Breaking News

'আমার সুন্দরী স্ত্রীকে ভোগ করতে চেয়েছিলেন রাম রহিম'

রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের নানা সমালোচিত ঘটনার।
প্রায় ১২ বছর  আগের ওই ঘটনার মামলার সাজা ঘোষণা করা হয় সোমবার। ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাম রহিমের পালিত মেয়ে হানিপ্রীত ইনসানকে জড়িয়েও এখন সামনে আসছে অবাক হওয়ার মতো অনেক তথ্যই।
হানিপ্রীতের সঙ্গে নাকি বিতর্কিত এই ধর্মগুরুর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক ছিল- এবার এমনই অভিযোগ করেছেন তার সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত। 

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, গুরমিতের পর ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান হিসাবে তার নাম বারে বারেই উঠে এসেছে। তিনি হানিপ্রীত ইনসান। রাম রহিমের দত্তক মেয়ে। কিন্তু, সেই হানিপ্রীতের জীবনও কম রহস্যে মোড়া নয়! পালিত মেয়ের সঙ্গেই নাকি শারীরিক সম্পর্ক ছিল ‘বাবা’র! এবং সেই সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পরেই এমন অভিযোগ করেছেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত।
১৯৯৯ সালে বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতের বিয়ে হয়। তখন হানিপ্রীতের নাম ছিল প্রিয়াঙ্কা তানেজা। বিশ্বাস এবং প্রিয়াঙ্কার দুই পরিবারই রাম রহিমের ভক্ত। বিশ্বাসের স্ত্রী হিসেবেই প্রিয়াঙ্কার পরিচয় হয় রহিমের সঙ্গে। তখনই নাকি ‘বাবা’র নজরে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।
এর পর ২০০৯-এ প্রিয়াঙ্কাকে দত্তক নেন ‘বাবা’। সেই সময়েই নাম পাল্টে যায় প্রিয়াঙ্কার। নতুন নাম হয় হানিপ্রীত ইনসান। রাম রহিম ওই নামেই ডাকতেন ‘মেয়ে’কে। তার পর থেকেই ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত। এর পর বিদ্যুৎ গতিতে উত্থান হানিপ্রীতের।
বিশ্বাসের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে কখনই একসঙ্গে থাকতে পারেননি তিনি। বরং রাম রহিমের বিলাসবহুল ‘গুফা’য় তার স্ত্রী থাকতেন ‘বাবা’র সঙ্গে। হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌন সম্পর্কও ছিল রাম রহিমের, এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
বিশ্বাসের কথায়, আমি তখন ‘গুফা’য় বাবার ঘরে থাকতাম। আমার স্ত্রী-ও বাবার সঙ্গে ছিল। এক দিন অসাবধানবশত বাবার ঘরের দরজা খোলা ছিল। দেখলাম, বাবা আর আমার স্ত্রী সঙ্গমে লিপ্ত। আমাকে দেখে ওরা তো একেবারে থ! এর পর থেকেই বাবা আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। বলেন, এ নিয়ে মুখ খুললে আমাকে মেরে ফেলবেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন বিশ্বাস। হানিপ্রীতও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবির অভিযোগ করেন। সে বছরই হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় বিশ্বাসের।
হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় স্ত্রী ও ‘বাবা’র বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ফিরিয়ে তুলে নেন বিশ্বাস। আদালতের বাইরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। তবে তাতেও রাগ কমেনি বিশ্বাসের।
তিনি বলেন, হানিপ্রীতকে দত্তক নেওয়ার পিছনেও বাবার অন্য উদ্দেশ্য ছিল। আমার স্ত্রী সুন্দরী হওয়ায় তাকে ভোগ করতে চেয়েছিলেন বাবা।

No comments