Breaking News

দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান আ.লীগ-বিএনপির



দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাদের মতে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মতপার্থক্য থাকলেও দেশের স্বার্থে সবার একসঙ্গে কাজ করার বিকল্প নেই। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতারা এ কথা বলেন। এর আগে উভয় দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে তৈরি একটি সুপারিশমালা সবার সামনে উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেন, শুধু সরকার কী করল আর নির্বাচন কমিশন কী করল, তার ওপর আগামী নির্বাচন নির্ভর করছে নাÑ সবাই মিলে আমরা কী করলাম, তার ওপর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নির্ভর করবে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোয় তরুণ নেতৃত্ব আসছে। তাদের হাত ধরে পরিবর্তন আসবে। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, তারুণ্য দেশের প্রধান শক্তি। এ তারুণ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক কিছু জায়গায় সহনশীলতার প্রয়োজন আছে। এ সহনশীলতা নেই। এ জন্য কিছু ইস্যুতে দেশে বিভক্তি দেখা যায়। এ বিভক্তি দূর করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। নির্বাচনের সময় সরকারের কোনো ক্ষমতা থাকবে না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে সরকার তাদের সহায়তা করবে। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, বিভাজনের মাধ্যমে কখনো গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। আর সামরিক শাসন কখনো সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। এখন যা চলছে, তা হচ্ছে গণতন্ত্রের ভান। এটা গণতন্ত্র নয়। এ কারণে তরুণরা সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। সবার বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হলে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোয় ৩৩ শতাংশ নারী এবং তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলে দলগুলোর তারুণ্য বেড়ে যাবে। যাদের বয়স হয়েছে, তাদের স্থানটি ছেড়ে দিতে হবে। এ জায়গায় যেন তরুণরা জায়গা করে নিতে পারে। দেশে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এটা জরুরি। তিনি বলেন, এখানে আমরা সবাই দায়ী। আমরা কেউই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে পারিনি। এটা অনুষ্ঠান করা এবং যত দ্রুত সম্ভব করা উচিত। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতি বন্ধ করলে দেশ অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে বলে তিনি আশা করেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে দলের মূল কমিটিতে তরুণ নেতৃত্ব নিশ্চিত করা; নির্বাচনে যুব ও তরুণ নেতৃত্ব, শক্তিশালী যুব ও ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করা। পরে নিজেদের বক্তৃতার সময় সুপারিশগুলোর বেশিরভাগের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা একমত পোষণ করেন। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজেলস্কি। এ ছাড়া আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়েশা খান, বিএনপির সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানা প্রমুখ।

No comments