অভিনেত্রী শ্লীলতাহানির শিকার
শ্লীলতাহানির শিকার অভিনেত্রী
কী ঘটেছিল জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, সোমবার রাতে বেহালার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির ফেরার পথে তার গাড়ির সামনে এসে পড়ে তিন যুবক। তাদের মধ্যে একজনের ধাক্কা লাগায় তারা অভিনেত্রীর গাড়ি ঘিরে ধরে। এরপর অভিনেত্রীকে কান ধরে উঠাবসা করতে বলে ঐ তিন যুবক। মত্ত অবস্থায় তারা চড়াও হয় অভিনেত্রীর উপর। চড় মারার পাশাপাশি অভিনেত্রীকে হুমকি দেয়া হয়, যেকোনো থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেও কিছুই করতে পারবেন না কাঞ্চনা। চিৎকার করে সাহায্য চাইলেও পথচলতি কারো সাহায্য পাননি তিনি। কলকাতার এহেন অমানবিক মুখ দেখে কার্যত হতাশ অভিনেত্রী। কিন্তু সঠিক সময়ে সেখানে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশের একটি ভ্যান। পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলায় ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে শ্লীলতাহানির খবর। এবার কলকাতার জনবহুল প্রকাশ্যে রাস্তাতে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হলো জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে। পেশাগত কারণে প্রায়দিনই রাতে শুটিং সেরে ওই রাস্তা দিয়েই তাকে বাড়ি ফিরতে হয়, তাই কিছুটা আতঙ্কিত হলেও দমে যাওয়ার পাত্রী তিনি নন। কারণ, কাঞ্চনা মনে করেন ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে কলকাতার কোনো রাস্তা দিয়েই আর চলাচল করা যাবে না।
বিবিসি
পর্নগ্রাফি মিউজিক ভিডিও : যা বললেন কুসুম
বাংলাদেশে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদারের যে মিউজিক ভিডিওর বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফির অভিযোগে মামলা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, গানটিতে কোনো শয্যাদৃশ্য কিংবা চুম্বনের দৃশ্য নেই।
তবে মিউজিক ভিডিওতে সুইমিং পুলের দৃশ্য কিংবা কয়েকটি স্বাভাবিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকলেও সেগুলোকে অশ্লীল অথবা বেআইনি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।
কুসুম সিকদারের নিজের লেখা এবং গাওয়া গানের মিউজিক ভিডিও 'নেশা'র বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির অভিযোগে রোববার ঢাকার একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় মিজ সিকদারসহ আরো ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে অগাস্ট মাসে গানটি রিলিজ হবার পরই অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান একজন আইনজীবী।
কুসুম বিবিসি বাংলার কাছে দাবী করেছেন, মিউজিক ভিডিওতে কোন শয্যাদৃশ্য কিংবা চুম্বনের দৃশ্য নেই। তবে সুইমিং পুলে গোসলের দৃশ্য কিংবা কয়েকটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকলেও সেগুলোকে তিনি অশ্লীল অথবা বেআইনি হয়েছে বলে মনে করেন না।
কুসুম বলেন, বাংলাদেশ আইন মেনেই গানের দৃশ্যায়ন বা শ্যুট করা হয়েছে, এবং নিয়ম মেনেই সেটি ইউটিউবের বঙ্গবিডি নামক চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছে।
মামলা বিষয়ে তিনি এখনো আদালতের কোনো নোটিশ পাননি।
গণমাধ্যমে দেখে জেনেছেন। এর আগে লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন।
এখন যেহেতু মামলা হয়ে গেছে, ফলে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
এদিকে, মামলার বাদী সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান বলেছেন, মিউজিক ভিডিওটিতে অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে রগরগে দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও তৈরি এবং প্রকাশনা পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
No comments