ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি রক্ষার অঙ্গীকার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন -বিপাকে ট্রাম্প।
ইরান চুক্তি রক্ষার অঙ্গীকার ইইউর
বৈদেশিক নীতিতে নিকটতম মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রকে বেশ কড়াভাবে সতর্ক করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। তারা বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া প্রতিরোধের এই চুক্তির কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হলে ব্যাপকভাবে শান্তি বিঘিœত হবে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে ইউরোপীয়রা উদ্বিগ্ন এবং এর ফলে ইরানের সাথে আমাদের আবার সামরিক সংঘাতে ফিরে যেতে হতে পারে।’
২০১৫ সালে চুক্তির সময় চূড়ান্ত পর্যায়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইইউ বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি। এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি মোকাবেলা করার বিষয়ে ২৮ জাতির গোষ্ঠীটি কিভাবে এগিয়ে আসবে আলোচনা করেন এবং ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়েও মন্ত্রীরা আলোচনা করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এরকম খারাপ চুক্তি আর কখনো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণবিক সংস্থার (আইএইএ) কাছে অভিযোগ করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে ফেডেরিকা মোঘেরিনি জোর দিয়ে বলেছেন এই চুক্তিতে কাজ হচ্ছে। তেমনি আইএইএ বলেছে, ইরান এই চুক্তি মেনে চলছে।
কিরকুকের কাছে বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইরাকি বাহিনী
এএফপি
ইরাকি বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, তারা বিতর্কিত কিরকুক নগরীর অদূরে কুর্দি যোদ্ধাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। স্বাধীনতার দাবিতে বিতর্কিত গণভোটের পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই তারা এসবের নিয়ন্ত্রণ নিলো। খবর এএফপি’র।
ইরাকের জয়েন্ট অপারেশন কমান্ড জানান, কিরকুকের নিরাপত্তা পুনঃনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি ছিল তাদের অভিযানের একটি অগ্রগতি।
সেখানে ইরাকি বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে সামরিক ঘাঁটি ও তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। ইসলামিক স্টেট জিহাদি গ্রুপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালে কুর্দি যোদ্ধারা এসব সামরিক ঘাঁটি ও তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
কিরকুকে ইরাকি বাহিনী মোতায়েন
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আবাদি ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে সোমবার সরকারি বাহিনীকে তেল সমৃদ্ধ কিরকুক প্রদেশে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে। জাতীয় আল-ইরাকিয়া টিভি চ্যানেল এ খবর জানায়। খবর সিনহুয়ার।
খবরে বলা হয়, কিরকুকের বিভিন্ন এলাকায় ইরাকের কাউন্টার টেরিরিজম সার্ভিস, ফেডারেল পুলিশ বাহিনী ও নবম সাঁজোয়া ডিভিশন মোতায়েন করা হয়েছে।
আল-ইরাকিয়া টিভি জানায়, কোন ধরণের বাধা ছাড়াই এ সৈন্য মোতায়েন প্রক্রিয়া সহজভাবে চলে।
প্রায় তিন বছর আগে কুর্দি মিলিশিয়ারা সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় তাদের উপস্থিতির কারণে কিরকুক পরিস্থিতি জটিল হয়।
No comments