নীলফামারী-২:আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বিএনপি-জামায়াতে বিরোধ
এ আসনের বর্তমানে এমপি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি এখানে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। নিয়মিত গণসংযোগ, দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসন থেকে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ২০-দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান জামান এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে বিএনপি জোটের শরিক
নীলফামারী জেলা
জামায়াতের নায়েবে আমির মনিরুজ্জামান মন্টু স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন এ আসনে। সে ক্ষেত্রে তিনি ২০-দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবেও সমর্থন চাইতে পারেন। এ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে ২০-দলীয় জোটের প্রধান দুই শরিক দল বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না।
আর মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি অন্যান্য আসনগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও জেলার এই গুরুত্ব্বপূর্ণ আসনে কোনো নেতা এখনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। নীলফামারী-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমরা শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমাবদ্ধ না থেকে জনগণের উন্নয়নের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান একক প্রার্থী হলেও জোটের শরিক জামায়াতের জেলা নায়েবে আমির নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় কিছুটা বেকায়দায় ফেলেছে বিএনপিকে। শেষ মুহূর্তে জোটের প্রধান এই দুই দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে এর সুফল পাবে আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না এই দুই দল। শামসুজ্জামান জামান বলেন, এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী বারবারই পরাজিত হয়েছেন। এবারও আসনটি তাদের ছেড়ে দিলে তা হারাতে হবে। বর্তমানে এই আসনে জামায়াতের চেয়ে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। যে কোনো সময়ের চেয়ে বিএনপির ভোট বেড়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর কোনো বিকল্প নেই। জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, জোটগত নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই আসনটি সবসময় জামায়াতের ছিল। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তবে আমি নির্বাচন করব।
No comments