উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতেই পাওয়া গেল ৩১ রোহিঙ্গা নারী-শিশু
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩১
রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্যবিরোধী যৌথ টাস্কফোর্স।
গতকাল বুধবার বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর এলাকার
কয়েকটি বাড়িতে অভিযানের সময় চেয়ারম্যানের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। সেই
বাড়ি থেকে ৩১ রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ তওফিক উদ্দিন
আহমেদ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন সিদ্দিক জানান, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠানোর পাশাপাশি আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই আবদুস শুক্কুর, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম, শীলবনিয়ারপাড়ার সাইফুল করিম এবং পুরান পল্লানপাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুল রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তওফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে তারা মাদকদ্রব্যবিরোধী অভিযান চালান। এ সময় সাইফুল করিমের বাড়িতে স্পিরিট পাওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ৩১ রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে আসার সময় সোনা, অস্ত্র ও মাদক এনে মজুদ করছে, এমন তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা তাদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পে না গিয়ে টেকনাফের বিভিন্ন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদসহ তার তিন ছেলের নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ঘর থেকে নয়, আমার মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসা থেকে কিছু রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তাদের আমি গত কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পে চলে যাওয়ার জন্য বললেও তারা যাচ্ছিল না। এটি নিয়ে তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন সিদ্দিক জানান, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠানোর পাশাপাশি আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই আবদুস শুক্কুর, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম, শীলবনিয়ারপাড়ার সাইফুল করিম এবং পুরান পল্লানপাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুল রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তওফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে তারা মাদকদ্রব্যবিরোধী অভিযান চালান। এ সময় সাইফুল করিমের বাড়িতে স্পিরিট পাওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ৩১ রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে অংশ নেওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে আসার সময় সোনা, অস্ত্র ও মাদক এনে মজুদ করছে, এমন তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গারা তাদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পে না গিয়ে টেকনাফের বিভিন্ন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তালিকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদসহ তার তিন ছেলের নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ঘর থেকে নয়, আমার মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসা থেকে কিছু রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তাদের আমি গত কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পে চলে যাওয়ার জন্য বললেও তারা যাচ্ছিল না। এটি নিয়ে তিলকে তাল বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, টেকনাফের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে।
No comments