৭ খুন মামলার পিপির মেয়ের মুখে মিষ্টির সঙ্গে বিষ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ
আলী খোকনের মেয়ে মাইশা ওয়াজেদ পাপড়িকে মিষ্টির সঙ্গে বিষ জাতীয় পদার্থ
খাওয়ানোর অভিযোগ করেছে পরিবার। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে
চিকিৎসা দেয়া হয়। পাপড়ির মামা সাইফুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলে জানান, সন্ধ্যা
ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন তৌহিদ টিউটোরিয়াল কোচিং সেন্টারে কোচিং
করে পাপড়ি নিচে নামলে দুই জন অপরিচিত লোক তাকে বলে, তোমার বাবা ভালো কাজ
করেছে। এর জন্য মিষ্টি খাওয়াব তোমাকে।
খেতে না চাইলে তারা জোর করে মুখে দিয়ে দেয়। পাপড়ি বিষয়টি বাসায় জানালে তাকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পাপড়ি ঢাকার ধানমন্ডির একটি প্রতিষ্ঠানের ‘এ’ লেভেলের ছাত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সদর মডেল থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ, ডিবির ওসি মাহাবুবুর রহমানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
পাপড়ির বাবা অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগেরও নেতা। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে তিনি পরিচালনা করেন।
পাপড়ির বাবা অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন তার মেয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গতকাল বিকেলে পাপড়ি নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের উল্টো দিকে অবস্থিত হাজী মঞ্জিলের চতুর্থ তলায় তার মামা তৌহিদের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে পড়া শেষ করে ওই বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে নিচ তলায় নেমে নিজেদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল সে। ওই সময় স্যুট পরিহিত একজন হ্যান্ডসাম ব্যক্তি একটি কেরিনা গাড়ি থেকে নেমে পাপড়ির কাছে এসে জানতে চায় সে নারায়ণগঞ্জের পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে কি না? হ্যাঁ সূচক উত্তর পেয়ে নিজেকে তার বাবার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয়। একই সঙ্গে নিজেকে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের অপর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার কাজলের বন্ধু হিসেবেও নিজের পরিচয় উপস্থাপন করে। এরপরই পাপড়িকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, ‘গতকালতো (মঙ্গলবার) তোমার বাবার জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। তোমার বাবা ৭ খুনের যে মামলা নারায়ণগঞ্জে লড়েছিল সেই মামলায় হাইকোর্ট আসামিদের রায় বহাল রেখেছে। এজন্য তোমাকে মিষ্টি খাওয়াতে এসেছি-এ কথা বলেই জোর করে পাপড়ির মুখে একটি মিষ্টি গুঁজে দিয়েই পানি খাইয়ে দেয়। ওই সময় পাপড়ি সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করতে পেরে তাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় এসে একটি রিকশায় উঠে পড়ে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনকে জানিয়ে কাঁদতে শুরু করে। পরে রিকশার পেছন দিয়ে তাকিয়ে দেখে ওই ব্যক্তি সাদা রঙের কেরিনা গাড়িতে চড়ে নগরীর ২ নম্বর রেলগেট এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে।
অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং মেয়ের কাছ থেকে সব শুনে তাকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে সে ব্যাপারে কোন ধারণা দিতে পারেননি।
সদর মডেল থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, তারা খবরটি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাত সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, কলেজছাত্রী পাপড়ি এখন অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছে একটি প্রাইভেট কারযোগে আসা ৩ ব্যক্তি পাপড়িকে অপহরণের চেষ্টা করে। অপহরণকারীদের একজন পাপড়িকে কিছু খেতে বাধ্য করে। যাতে নেশাজাতীয় বা বিষজাতীয় কিছু মেশানো ছিল। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।
ঘটনার সঙ্গে ৭ খুন মামলার কোনো যোগ সূত্র রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু ভিকটিম এখন অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। সে কিছুটা সুস্থ হলে তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া এ বিষয় নিয়ে তার বাবা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।
খেতে না চাইলে তারা জোর করে মুখে দিয়ে দেয়। পাপড়ি বিষয়টি বাসায় জানালে তাকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পাপড়ি ঢাকার ধানমন্ডির একটি প্রতিষ্ঠানের ‘এ’ লেভেলের ছাত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সদর মডেল থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ, ডিবির ওসি মাহাবুবুর রহমানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
পাপড়ির বাবা অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগেরও নেতা। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে তিনি পরিচালনা করেন।
পাপড়ির বাবা অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন তার মেয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গতকাল বিকেলে পাপড়ি নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের উল্টো দিকে অবস্থিত হাজী মঞ্জিলের চতুর্থ তলায় তার মামা তৌহিদের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে পড়া শেষ করে ওই বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে নিচ তলায় নেমে নিজেদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল সে। ওই সময় স্যুট পরিহিত একজন হ্যান্ডসাম ব্যক্তি একটি কেরিনা গাড়ি থেকে নেমে পাপড়ির কাছে এসে জানতে চায় সে নারায়ণগঞ্জের পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে কি না? হ্যাঁ সূচক উত্তর পেয়ে নিজেকে তার বাবার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয়। একই সঙ্গে নিজেকে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের অপর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার কাজলের বন্ধু হিসেবেও নিজের পরিচয় উপস্থাপন করে। এরপরই পাপড়িকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, ‘গতকালতো (মঙ্গলবার) তোমার বাবার জন্য একটি বিশেষ দিন ছিল। তোমার বাবা ৭ খুনের যে মামলা নারায়ণগঞ্জে লড়েছিল সেই মামলায় হাইকোর্ট আসামিদের রায় বহাল রেখেছে। এজন্য তোমাকে মিষ্টি খাওয়াতে এসেছি-এ কথা বলেই জোর করে পাপড়ির মুখে একটি মিষ্টি গুঁজে দিয়েই পানি খাইয়ে দেয়। ওই সময় পাপড়ি সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করতে পেরে তাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় এসে একটি রিকশায় উঠে পড়ে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনকে জানিয়ে কাঁদতে শুরু করে। পরে রিকশার পেছন দিয়ে তাকিয়ে দেখে ওই ব্যক্তি সাদা রঙের কেরিনা গাড়িতে চড়ে নগরীর ২ নম্বর রেলগেট এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে।
অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং মেয়ের কাছ থেকে সব শুনে তাকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে সে ব্যাপারে কোন ধারণা দিতে পারেননি।
সদর মডেল থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, তারা খবরটি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাত সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, কলেজছাত্রী পাপড়ি এখন অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছে একটি প্রাইভেট কারযোগে আসা ৩ ব্যক্তি পাপড়িকে অপহরণের চেষ্টা করে। অপহরণকারীদের একজন পাপড়িকে কিছু খেতে বাধ্য করে। যাতে নেশাজাতীয় বা বিষজাতীয় কিছু মেশানো ছিল। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।
ঘটনার সঙ্গে ৭ খুন মামলার কোনো যোগ সূত্র রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু ভিকটিম এখন অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। সে কিছুটা সুস্থ হলে তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া এ বিষয় নিয়ে তার বাবা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকনের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।
No comments