চালকের খোঁজে জোর তল্লাশি
স্পেনের
বার্সেলোনা শহরের লাস র্যামব্লাসে গত বৃহস্পতিবার গাড়ি হামলার ঘটনার মূল
সন্দেহভাজন ব্যক্তি গতকাল শনিবার পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন বলে মনে
করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, সম্ভবত তিনি এখনো জীবিত ও পালিয়ে রয়েছেন। তঁার
খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চলছে।
স্পেনের গণমাধ্যম গতকাল এ হামলার প্রধান সন্দেহভাজন
ব্যক্তি ও হামলায় ব্যবহৃত গাড়ির চালক হিসেবে ইউনেস আবুইয়াকুব (২২) নামের
মরক্কোর বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছে। এখন তাঁকে ধরতে পুলিশ
অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে মুসা ওকাবির (১৮) নামের এক ব্যক্তিকে বার্সেলোনা
হামলার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে বলা হয়েছিল। বার্সেলোনার পশ্চিমে
ক্যামব্রিলস শহরে বৃহস্পতিবারই আরেক গাড়ি হামলার ঘটনার পর পুলিশের গুলিতে
সন্দেহভাজন যে পাঁচজন হামলাকারী নিহত হন, ওকাবি তাঁদের একজন।
পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তিরা আরও আধুনিক পন্থায়
ভয়াবহ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। বৃহস্পতিবার এ দুই হামলার আগের দিন
বুধবার আলকানার শহরে এক বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় তাঁদের
পরিকল্পনামাফিক ভয়াবহ হামলার জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট বিস্ফোরক নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে স্বল্প পরিসরেই গাড়ি নিয়ে হামলা চালান তাঁরা। আলকানার বিস্ফোরণে এক
ব্যক্তি নিহত হন।
ইউনেস আবুইয়াকুব বার্সেলোনার উত্তরে রিপোল শহরে বসবাস
করতেন। জোড়া হামলার পর এই শহর থেকে তিন ব্যক্তি ও আলকানার থেকে আরও এক
ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বার্সেলোনায় হামলার পর ওকাবিরকে প্রধান
সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে বলা হলেও গত শুক্রবার পুলিশপ্রধান জোসেফ
ট্রাপেরো স্পেনের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, হামলায় ব্যবহৃত গাড়ির চালক
হওয়ায় এ ধারণা এখন ততটা জোরালো নয়।
এল পায়েজ সংবাদপত্র বলেছে, এখন এ ধারণাই বেশি জোরালো হচ্ছে যে, আবুইয়াকুবই হলেন প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি।
বার্সেলোনা হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি ভাড়া করতে ওকাবির তাঁর
ভাইয়ের কাগজপত্রের সহায়তা নেন বলে মনে করা হচ্ছিল। এ ছাড়া হামলার পর আরেকটি
গাড়িকে বার্সেলোনার উত্তরে ভিক শহরের এক স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় শনাক্ত
করা হয়। পুলিশ জানায়, ক্যামব্রিলসে হামলার পর যে পাঁচজন সন্দেহভাজন
হামলাকারী গুলিতে নিহত হন, তাঁদের চারজনকে একাই মেরেছেন একজন পুলিশ সদস্য।
এই ব্যক্তিদের দেহে বিস্ফোরক ভর্তি বেল্টের মতো বস্তু বাঁধা ছিল। তবে পরে
তা নকল প্রমাণিত হয়। গতকাল শনিবার পুলিশ বলেছে, বুধবার আলকানারের বাড়িটিতে
তারা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তাদের ধারণা, অন্তত এক ডজনের বেশি
মানুষের একটি সেল বাড়িতে সক্রিয় ছিল। লাস র্যামব্লাসের চেয়ে আরও রক্তক্ষয়ী
হামলা চালাতে সেটি বোমা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এদিকেলাস র্যামব্লাসের হামলার দায় স্বীকারের পর
ক্যামব্রিলস হামলার দায়ও স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। সংগঠনটির
প্রচারমাধ্যম আমাক-এ গতকাল এ দায় স্বীকার করা হয়।
No comments