মরণ সাগরের যাত্রী সুরের জাদুকর
বিচ্ছেদ-বিষাদে ক্রমেই ভারি হচ্ছে শরতের বাতাস। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক
অঙ্গনের আকাশ থেকে একের পর এক নক্ষত্রের নিভে যাওয়া দেখে আমরা শোকে
মুহ্যমান; বেদনায় হতবিহ্বল। মাত্র কিছুদিন আগে বাংলা সিনেমার চিরসবুজ
অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন। নায়করাজের বিচ্ছেদ শোক না
কাটতেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বার।
পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের গানের ভুবনে আলো ছড়ানো কিংবদন্তি এই শিল্পী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে অনন্তের পথে পা বাড়িয়েছেন। ১৯৫৭ সালে একটি বিচিত্রা অনুষ্ঠানে তার কণ্ঠে নজরুল সংগীত ‘ঘুমিয়ে আছো বুলবুলি গো মদিনার গুলবাগে’ গানটি শুনে ঢাকা বেতারের গীতিকার আহিজুর রহমান তাকে রাজধানীতে নিয়ে আসার পর বেতারের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর সিনেমায় প্লেব্যাকের প্রস্তাব পান আবদুল জব্বার। ১৯৬২ ‘নতুন সুর’ সিনেমার মাধ্যমে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এর বছর দুয়েক পর থেকে বিটিভিতেও নিয়মিতভাবে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। এরপর থেকেই শুরু হয় তার উত্থানপর্ব। চলচ্চিত্রে তার প্রায় প্রতিটি গানই হয় জনপ্রিয়।
বাংলা গানের শ্রোতাদের হৃদয়ে আপন মহিমায় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আবদুল জব্বার। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার ছাড়াও জহির রায়হান স্মৃতি পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত আবদুল জব্বার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে কলকাতার পথে-প্রান্তরে সংগীত পরিবেশন করে মুজিবনগর সরকারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। সেই দুঃসময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গেয়েছেন অসংখ্য গান। তার গাওয়া গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছে, বাড়িয়েছে মনোবল। পরবর্তী নয় মাসে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘অনেক রক্ত দিয়েছি মোরা’, ‘আমি এক বাংলার মুক্তিসেনা’ গানগুলো দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরন্তর অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। বস্তুত ষাটের দশকের শেষদিকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতারের সময় থেকে প্রতিবাদী গণসংগীতে কণ্ঠ দিতে থাকেন আবদুল জব্বার। ১৯৬৯ সালে ‘বিমূর্ত’ নামের একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। একই সময়ে গঠন করেন ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পীগোষ্ঠী’, যার সভানেত্রী ছিলেন বেগম মুজিব। অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেয়া যে কণ্ঠশিল্পী মুক্তি খুঁজেছিলেন ‘সারেং বৌ’ ছায়াছবির ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানে, আজ তিনি অসীম মরণ সাগরের যাত্রী। তার গানগুলো তাকে বাঁচিয়ে রাখবে দীর্ঘদিন। তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আপন মহিমায়। আমরা তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা।
পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের গানের ভুবনে আলো ছড়ানো কিংবদন্তি এই শিল্পী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে অনন্তের পথে পা বাড়িয়েছেন। ১৯৫৭ সালে একটি বিচিত্রা অনুষ্ঠানে তার কণ্ঠে নজরুল সংগীত ‘ঘুমিয়ে আছো বুলবুলি গো মদিনার গুলবাগে’ গানটি শুনে ঢাকা বেতারের গীতিকার আহিজুর রহমান তাকে রাজধানীতে নিয়ে আসার পর বেতারের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। কিছুদিন পর সিনেমায় প্লেব্যাকের প্রস্তাব পান আবদুল জব্বার। ১৯৬২ ‘নতুন সুর’ সিনেমার মাধ্যমে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এর বছর দুয়েক পর থেকে বিটিভিতেও নিয়মিতভাবে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। এরপর থেকেই শুরু হয় তার উত্থানপর্ব। চলচ্চিত্রে তার প্রায় প্রতিটি গানই হয় জনপ্রিয়।
বাংলা গানের শ্রোতাদের হৃদয়ে আপন মহিমায় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আবদুল জব্বার। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার ছাড়াও জহির রায়হান স্মৃতি পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত আবদুল জব্বার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে কলকাতার পথে-প্রান্তরে সংগীত পরিবেশন করে মুজিবনগর সরকারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। সেই দুঃসময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গেয়েছেন অসংখ্য গান। তার গাওয়া গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছে, বাড়িয়েছে মনোবল। পরবর্তী নয় মাসে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘অনেক রক্ত দিয়েছি মোরা’, ‘আমি এক বাংলার মুক্তিসেনা’ গানগুলো দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরন্তর অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। বস্তুত ষাটের দশকের শেষদিকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতারের সময় থেকে প্রতিবাদী গণসংগীতে কণ্ঠ দিতে থাকেন আবদুল জব্বার। ১৯৬৯ সালে ‘বিমূর্ত’ নামের একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। একই সময়ে গঠন করেন ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পীগোষ্ঠী’, যার সভানেত্রী ছিলেন বেগম মুজিব। অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেয়া যে কণ্ঠশিল্পী মুক্তি খুঁজেছিলেন ‘সারেং বৌ’ ছায়াছবির ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানে, আজ তিনি অসীম মরণ সাগরের যাত্রী। তার গানগুলো তাকে বাঁচিয়ে রাখবে দীর্ঘদিন। তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আপন মহিমায়। আমরা তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা।
Post Comment
No comments