Breaking News

নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশের সময় ৮ অক্টোবর পর্যন্

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশের আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় প্রর্থনা করলে আদালত এ দিন ধার্য করেন।
শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি বলেন, গত তারিখে কী কথা ছিল? আলাপ আলোচনা করার কথা হয়েছিল। কার সাথে কে কে থাকবে?
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ মিনিস্টার। আদালত বলেন, অল দ্যা জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম আলোচনা পর্যন্ত করলেন না?
প্রধান বিচারতি বলেন, মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। আপনাকে নয়। আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন। কবে কি হবে। আমরা কোনো মন্তব্য করছি?
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, না আপনারা করেননি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার চাওয়া মতো ০৮ তারিখ রাখলাম।
এ সময় এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, আমার আবেদনটি শুনানি করেন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি…সেখানে ধৈর্যর কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী কে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরো পরিপক্কতা দরকার।
এর আগে ০৬ আগস্ট আদালত দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে আলাপ আলোচনা করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে সরকার ও আদালতের মধ্যে কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।
গত ৩০ জুলাইও প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্যে করে বলেছিলেন, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুপুর ২টা থেকে আমি এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা পর্যন্ত আপনাদের (সরকার) সময় দেবো। বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালা নিয়ে আর রশি টানাটানি নয়। আইনমন্ত্রীসহ সরকারের যেকোনো এক্সপার্ট আসবেন, বৈঠকে বসবো। আপনিও থাকবেন।
১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের এ নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত ১৬ জুলাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ সংক্রান্ত গেজেট শিগগিরই প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী। পরবর্তীতে ফের ২৭ জুলাই বিকেলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়াটি হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
কিন্তু ৩০ জুলাই সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ আইনমন্ত্রীর দেয়া খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। উনি খসড়া দিয়ে গেলেন। আমি তো খুশি হয়ে গেলাম। যদিও খুলে দেখিনি। কিন্তু এটা কী!

No comments