Breaking News

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় জাকার্তা


রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী জাকার্তা। এ লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি আজ মঙ্গলবার ১ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তিনি মিয়ানমারের সরকারের উচ্চপর্যায়ে এবং সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকায় পৌঁছবেন।


এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মিয়ানমারের সঙ্গে সব প্রকার বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মালদ্বীপ। দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

রোহিঙ্গা সংকট জটিল আকার ধারণ করায় তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন এরদোগান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আলাপকালে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে যা কিছু করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে অবহিত করেছেন।

এদিকে, মিয়ানমারের হেলিকপ্টার সম্প্রতি কক্সবাজারের কাছে কয়েক দফা আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। এ ঘটনায় শুক্রবার বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে এ ব্যাপারে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়।

সংশি্লষ্ট সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি এবারের বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যস্থতার উদ্যোগ নতুন নয়। ইতিপূর্বে গত বছরের অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার সৃষ্টি হলে রেতনো মারসুদি গত বছরের ডিসেম্বরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

ওই সময়ে তিনি মধ্যস্থতার আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশ তাতে রাজি হলেও উত্তেজনা অনেকটা কমে গেলে সেই উদ্যোগ আর বেশি দূর অগ্রসর হয়নি।

রাখাইন রাজ্যে এবার ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া অভিযানের পর রেতনো মারসুদি টেলিফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

মিয়ানমারে তিনি স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি ও দেশটির সেনাপ্রধান মিং অন হিলিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর ঢাকায় আসার কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

মারসুদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার জনগণের ম্যান্ডেট মেনে তিনি মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফর করছেন।

আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া হল মিয়ানমারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্য হওয়ার সময়ে অনেক দেশ তার বিরোধিতা করলেও ইন্দোনেশিয়া তাকে সমর্থন দিয়েছিল।

বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা সংকট ইন্দোনেশিয়াকে আক্রান্ত করেছে। অনেক রোহিঙ্গা নেৌকায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে মুসলিম দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যস্থতার প্রতি বাংলাদেশেরও আস্থা আছে।

আজ দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি ঢাকায় পঁেৌছবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ও সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করল মালদ্বীপ : রোহিঙ্গাদের ওপর অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মালদ্বীপ।

রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নে মালদ্বীপ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছে দক্ষিণ এশিয়ার এ দ্বীপ রাষ্ট্রটি।

মালদ্বীপ সরকার এ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজরে আনে।

No comments