সংসার ভেঙে যাক কেউ চায় না

* ডিভোর্সটা হল কেন?
** কোন মেয়েই চায় না তার সংসার ভেঙে যাক। আমিও না। ওর মধ্যে হাজারটা প্রব্লেম ছিল। একেবারে ঘরে বসে খাওয়া একটা ছেলে সে। আমাকে সবসময় মানসিক টর্চারের মধ্যেই রাখত। আরও অনেক বিষয়ই আছে, যা বলতে চাই না। শুধু বলব একজন মেয়ের দেয়ালে পীঠ না ঠেকলে কখনও সংসার ভাঙার পথে এগোয় না।
* রাফসানের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে আপনাদের সম্পর্ক ভাঙার পেছনে তৃতীয় কারও হাত রয়েছে?
** আমাদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ তো আমি বললাম। অনেক অনলাইন গণমাধ্যমে বিষয়টি রং মাখিয়েই প্রকাশ করছে। এমন কথা রাফসান বলেছে কি না আমি জানি না। তবে সে এ ডিভোর্সের জন্য সবসময় আমার মাকেই দায়ী করেন। আমার ভালোমন্দ আমার মায়ের চেয়ে ভালো আর কে বুঝবে? তবে আমার সঙ্গে কথা না বলেই অনেকে যা খুশি নিউজে লিখে দিচ্ছেন। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে বিষয়টি ইস্যু বানিয়ে রং মাখিয়ে যেন সংবাদ পরিবেশন না করা হয়।
* আপনাকে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও গণমাধ্যমকর্মীরা পাননি। যোগাযোগের বাইরে থাকছেন কেন?
** যোগাযোগের বাইরে নয়, দেশের বাইরে ছিলাম। বেশ কিছু কাজ নিয়ে ভারত গিয়েছিলাম। তাই অনেকেই আমাকে ফোনে পাননি। সামাজিক মাধ্যমেও খুব একটা অ্যাকটিভ ছিলাম না।
* আপনারা তো প্রেম করে বিয়ে করছিলেন?
** রাফসান আর আমার ব্যাপারে একটা ভুল তথ্য সবাই নিউজে লিখছেন। বিয়ের নিউজেও এ তথ্য লিখেছিলেন। কিন্তু আমরা তো প্রেম করে বিয়ে করিনি। বিয়ের আগে রাফসানের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল কিন্তু প্রেম ছিল না। আমার প্রেম ছিল অন্য একজনের সঙ্গে। তার সঙ্গে ব্রেকআপ হয়। এতে বেশ ভেঙে পড়ি। এরপরই বিয়ে করে সেটেল্ড হওয়ার চেষ্টা করি। রাফসানদের বাসা থেকে প্রস্তাব আসে। রাজি হয়ে যাই। আমাদের বিয়েটা প্রেমের নয়, পারিবারিকভাবেই হয়েছিল।
No comments