টাঙ্গাইলে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ছাত্রলীগ সভাপতির ধর্ষণ
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মো. সেলিম মিয়াকে প্রধান আসামি করে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।
মামলায় অন্য আসামি হলেন- দেলদুয়ার উপজেলার চালাআটিয়া গ্রামের মো. রিয়াজ ওরফে শেখ শিপন। ছাত্রলীগ নেতা সেলিমের বাড়িও একই গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালে দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া মাজার প্রাঙ্গণে একটি মেলায় ওই নারীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা সেলিমের পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে সেলিম স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ওই নারী তাতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর সোয়েব ও তার এক সহযোগী শিপন স্বামী পরিত্যক্তা নারীর আশেকপুর গোডাউন ব্রিজসংলগ্ন বাসায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ওই নারী ডাক-চিৎকার শুরু করলে হাত ও মুখ বেঁধে সেলিম তাকে ধর্ষণ করে। আর ওই ধর্ষণের ভিডিওচিত্র শিপন তার মোবাইলে ধারণ করে।
পরে তারা চলে যাওয়ার সময় ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। অন্যথায় ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানায়।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল থানা মামলা না নেয়ায় ওই নারী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সেলিম মিয়া ওরফে শেখ সোয়েব ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্র।
No comments