বউ কেনাবেচার হাট থেকে ৮ আরব শেখ গ্রেফতার

চাইলেই মিলবে ‘স্ত্রী’। শুধু মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। পুলিশ এমন চক্রের
হদিস পেয়েছে ভারতের হায়দরাবাদে। মধ্যপ্রাচ্যের ধনী ব্যক্তিদের কাছে এভাবে
‘বিক্রি’ হয়ে যাচ্ছে ভারতের বহু নাবালিকা।
সম্প্রতি এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিন কাজিকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ
পুলিশ। সঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ৮ জন আরব শেখও। খবর আনন্দবাজার
পত্রিকার।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে তারা ‘স্ত্রী’-এর খোঁজে এসেছেন ভারতে। সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের হাতেই তুলে দেয়া হচ্ছে নাবালিকাদের।
হায়দরাবাদ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা তাজুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, কেবলমাত্র
ধনীরাই এই ‘বউ-বাজারে’র ক্রেতা নন। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত এক এজেন্ট
ক্রেতাদের অটো-রিকশার মালিক, ইনোভা গাড়ির মালিক, অ্যাম্বাসাডরের মালিক—
এমন ক্রেতা বলেও চিহ্নিত করেছে।
তাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, একজন বিবাহিত শেখ তার ছেলে ও বন্ধুর সঙ্গে এ দেশে
এসেছেন বিয়ে করতে। শেখের সঙ্গে ছিল তার আগের বিয়ের সার্টিফিকেটও। স্ত্রী
নয়, আসলে একজন পরিচারিকা চান তিনি। যাকে দিয়ে ‘অন্য’ কাজও করানো যাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী খুঁজতে আসা আরব শেখদের সামনে নাবালিকাদের রীতিমতো
হাঁটানো হয়। ওই নাবালিকার দরদামও ঠিক করা থাকে। নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য
অনুযায়ী এরপর পছন্দসই নাবালিকাকে বেছে নেন আরব শেখরা।
সম্প্রতি বিবাহ-ইচ্ছুক একজন আরব শেখের বয়স ছিল ৮০। অন্যজন তো বিয়ের নামে ১০ জন নাবালিকার ওপর যৌন অত্যাচার চালিয়েছেন।
গত মাসেই ৬১ বছরের এক শেখ ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করে ওমানে নিয়ে যান।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী এ
বিষয়ে হায়দরাবাদ পুলিশকে তৎপর হতে বলেন। পুলিশি তদন্তে সামনে আসে এই
‘বউ-বাজারে’র কথা।
পুলিশের দাবি, আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়াদের মতোই তা সক্রিয়।
No comments