দক্ষিণ সুরমার উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশ গোয়াইনঘাটের কামাল উদ্দিনের
এম কামাল উদ্দিন
এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানাধীন তেলিবাজার এর সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস রাস্তার লাতুপুর থেকে উদ্ধারকৃত লাশটি গোয়াইনঘাট উপজেলার বহর গ্রামের বাসিন্দা এম কামাল উদ্দিনের (৩০)। তিনি ফার ইস্ট
ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত ইসহাক আলী। তিনি সিলেট জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জীর ভাতিজা। এ ঘটনায় শাহীন নামের একজনকে আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন নিহত কামালের স্বজনরা।
গত বুধবার সকাল ১০ টায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। ময়না তদন্তশেষে লাশটি ওসমানী হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের তত্বাবধানে নগরীর মানিকপীর(র.) কবরস্থানে দাফন দাফন করে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা লাশের ছবি প্রকাশিত কামালের স্বজনরা দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
মাওলানা আতাউর রহমান জানান, থানার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তারা কামালের লাশ মানিকপীর(র.) টিলা থেকে উত্তোলন করে আজ শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে গোয়াইনঘাটের লামাপাড়া গ্রামের শাহীনের মোবাইল ফোন পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় কামাল উদ্দিন। বের হওয়ার সময় সে সাথে এক লাখ টাকাও নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মিলছিল না। কামাল ছাড়া তাদের আরো তিন ভাই ও তিন বোন রয়েছে।
মাওলানা আতাউর জানান, শাহীনকেই তারা এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা হিসাবে সন্দেহ করছেন। তারা তাকে ধরে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, কামাল স্টুডেন্ট হেলপ সোসাইটি সিলেট এর সভাপতি,বহর আলোর দিশারী তরুণ সংঘ এর সভাপতি ও সালুটিকর ছাত্র ও যুব কল্যাণ ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।
No comments