জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ভাষণের কড়া সমালোচনা করেছে কয়েকটি সদস্য দেশ। ইরান, ভেনিজুয়েলা, সুইডেন, বলিভিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ ট্রাম্পের ভাষণের সমালোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ট্রাম্প তার ভাষণে উত্তর কোরিয়ারকে পুরোপুরি ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছেন।
ইরানকে বেশধারী
গণতান্ত্রিক দেশ ও তাদের প্রধান নেতাকে সহিংসতার
রপ্তানিকারক বলে অভিহিত করা হয়েছে। ভেনিজুয়েলা সরকারকে ‘সমাজবাদী
স্বৈরশাসক’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিকে
‘সবচেয়ে বাজে চুক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ট্রাম্পের এ
ভাষণকে ‘ঘৃণামূলক ভাষণ’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাভেদ জারিফ বলেছেন, ‘জাতিসংঘে ট্রাম্পের এ অন্ধ ঘৃণামূলক ভাষণ মধ্যযুগীয়;
২১ শতকের নয়। এ বক্তব্যের জবাব পাওয়ার যোগ্যতা নেই। তার ভুয়া সমবেদনা কোনো
ইরানিকে বোকা বানাতে পারবে না।’ ট্রাম্পের ভাষণকে ভুল বলে অভিহিত করেছেন
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালস্ট্রম। তিনি বলেছেন, ‘ভুল সময়ে, ভুল
শ্রোতাদের উদ্দেশে এটি একটি ভুল ভাষণ।’ উত্তর কোরিয়ার হুমকিকে প্রাধান্য
দিয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহান শক্তি ও
ধৈর্য আছে; কিন্তু তারা যদি আমাদের ও আমাদের মিত্রদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে
বাধ্য করে, তা হলে উত্তর কোরিয়াকে পুরোপুরি ধ্বংস করা ছাড়া আর কোনো গতি
থাকবে না।’ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের
উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম ভাষণে মঙ্গলবার এ
হুমকি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এটিই ট্রাম্পের
সোজাসাপটা ভাষায় প্রথম হামলার হুমকি। তবে ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে এখনো
কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া। এর আগে নিষেধাজ্ঞার জবাবে তারা
বলেছিল, এর ফলে তাদের পরমাণু কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। কিম জং উনের কৌতুকি
নাম ব্যবহার করে ট্রাম্প বলেন, ‘রকেটম্যান নিজের জন্য আত্মহত্যার মিশনে
আছেন।’ বিবিসি।
No comments