বাংলাদেশ নিয়ে পোলকের হুঁশিয়ারি

নিজ মাঠে আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে হাল্কাভাবে নিলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ভুল করবে বলে মনে করছেন দেশটির সাবেক পেসার শন পোলক। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু করবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।

নিজেদের সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংলিশদের কাছে ১-২ ব্যবধানে ওয়ানডে ও টি-২০ এবং ১-৩ ব্যাধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছে। এমনকি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে দলটিকে।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশ বর্তমানে তাদের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেট খেলছে।
১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত তিন ফর্মেট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইগাররার ৭২ ম্যাচের ম্যধ্যে একটিতে জয় পাওয়া বাংলাদেশ বর্তমানে একটি শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে। তারা এখন বিশ্বের যে কোন দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। গত এক বছরে টাইগাররা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছে, ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে সপ্তম স্থান নিশ্চিত করেছে। একই সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে তারা হোম এন্ড এ্যাওয়েতে ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকাকে হারিয়েছে। অতি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান সিরিজে ঢাকা টেস্টে স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বাধীন দলকে ২০ রানে হারিয়েছে।
এমন পারফরমেন্সের পর বাংলাদেশকে প্রোটিয়ারা কোনমতেই হাল্কাভাবে নিতে পারবে না।
পোলক বলেন, ‘আপনাকে সব সময়ই আপনার সর্বশেষ সিরিজ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা খুব ভাল অবস্থায় নেই, আমার কথায় ছেলেরা হয়তোবা কিছুটা অসন্তুষ্ট হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাদেরকে অবশ্যই শিখতে হবে। ইংল্যান্ড সফরের ভুলগুলো কোনোভাবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে করা যাবেনা। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে। তবে বাংলাদেশ যদিও নিজ কন্ডিশনে ভালো করছে। তথাপিও তারা কিন্তু বিশ্বকাপেও ভালো করেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ইংল্যান্ড সফরে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রোটিয়া দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ফাফ ডু প্লেসিসের দলের উচিত তারা কি ভুল করেছে সেটা চিহ্নিত করে শোধরাবার চেষ্টা করা। দলের সঠিক ভারসাম্য এনে সিরিজ জয়ের সুযোগটি তাদের কাজে লাগানো উচিত।
তিনি বলেন, ‘নতুনভাবে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য তারা কিছুটা সময় পেয়েছে, নতুন পরিবেশ, নতুন কোচ সব মিলিয়ে জ্বলে ওঠার জন্য তাদের সামনে একটা ভালো সুযোগ।’

আগামী বছর ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করবে ইংল্যান্ড
আগামী বছর নিজ মাঠে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করবে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
ভারতের বিপক্ষে জুলাই মাসে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের পর সমান সংখ্যক ওয়ানডে ম্যাচ সিরিজ খেলবে ইংলিশরা। সীমিত ওভারের সিরিজ শেষে দুই দল এজবাস্টন, লর্ডস, ট্রেন্ট ব্রিজ, রোজ বোল এবং ওভালে মুখোমুখি হবে পাঁচ টেস্ট সিরিজে।
ইসিবি প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আগামী গ্রীষ্মে নিজ মাঠে আন্তর্জাতিক সূচির মূল আকর্ষণ ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।’
‘সমগ্র বিশ্বের ন্যায় ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট সব সময়ই বহুল সমাদৃত।’
‘ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি সব সময়ই দারুণ একাগ্রতা ও গ্রহণযোগ্যতা। আমরা নিশ্চিত যে, পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া আগামী গ্রীষ্মের সাতটি টেস্টে ম্যাচেই প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটবে।’
‘একই সঙ্গে এখানে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ড দলের সাদা বলের লড়াই দারুণ জমবে।’
বর্তমানে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল ভারত সর্বশেষ ১৯৫৯ সালের পর এই প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে।
লর্ডস এবং হেডিংলিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে মে মাসে শুরু হবে ইংল্যান্ডের গ্রীষ্ম মৌসুম।
এডিনবার্গে ১০ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচেও মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের ২০১৮ সালের সূচি :
পাকিস্তান :
মে ২৪-২৮: ১ম টেস্ট, লর্ডস
জুন ১-৫: দ্বিতীয় টেস্ট, হেডিংলি
স্কটল্যান্ড :
জুন ১০: ওয়ানডে, এডিনবার্গ
অস্ট্রেলিয়া :
জুন ১৩: ১ম ওয়ানডে, ওভাল
জুন ১৬: ২য় ওয়ানডে, সোফিয়া গার্ডেন্স
জুন ১৯: ৩য় ওয়ানডে, ট্রেন্ট ব্রিজ
জুন ২১: ৪র্থ ওয়ানডে, চেস্টার লী স্ট্রিট
জুন ২৪: ৫ম ওয়ানডে, ওল্ড ট্রাফোর্ড
জুন ২৭: টি-২০, এজবাস্টন।
ভারত :
জুলাই ৩: ১ম টি-২০, ওল্ড ট্রাফোর্ড
জুলাই ৬: ২য় টি-২০, সোফিয়া গার্ডেন্স
জুলাই ৮: ৩য় টি-২০, কাউন্টি গ্রাউন্ড
জুলাই ১২: ১ম ওয়ানডে, ট্রেন্ট ব্রিজ
জুলাই ১৪: ২য় ওয়ানডে, লর্ডস
জুলাই ১৭: ৩য় ওয়ানডে, হেডিংলি
আগস্ট ১-৫: ১ম টেস্ট, এজবাস্টন
আগস্ট ৯-১৩: ২য় টেস্ট, লর্ডস
আগস্ট ১৮-২২: ৩য় টেস্ট, ট্রেন্ট ব্রিজ
আগস্ট ৩০- সেপ্টেম্বর৩: ৪র্থ টেস্ট, রোহ বোল
সেপ্টেম্বর ৭-১১: ৫ম টেস্ট, ওভাল।