হাসপাতালে মদের আসর
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিউ ওয়েলকেয়ার হাসপাতাল। ওই হাসপাতালের মালিক শরীফ।
নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ডা: বি আর আহমেদ শরীফ। মেডিক্যাল জ্ঞান না থাকলেও
লাগিয়েছেন এমবিবিএস, এফসিপিএস (অর্থো:) পার্ট-২ এর তকমা। শুধু তাই নয়,
সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগাতে দালালের মনোরঞ্জনের জন্য প্রতি রাতে ওই
নিউ
ওয়েলকেয়ার হাসপাতালেই বসে মদ-গাঁজার আসর। সন্ধ্যা হলেই পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ওঁৎ পেতে রোগী ভাগানো ফাঁদ পাতে দালালরা। রাতে কিনিকে ফিরে মনোরঞ্জন শেষে কমিশন নিয়ে বাসায় ফেরে তারা। ওই হাসপাতালের নিয়োগকৃত প্রায় অর্ধশত দালাল রয়েছে যারা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-২ এর একটি অভিযানিক দল ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে বিদেশী মদ ও গাঁজা নিয়ে মেতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের মালিক ভুয়া এমবিবিএস বিআর আহমেদ শরীফ ও তাদের এজেন্ট দালালচক্রের আটজনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পঙ্গু হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আরো চারজনকে আটক করে র্যাব-২। গত রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ ও অর্থদ দেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
র্যাব জানায়, পঙ্গু হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে রোগীদের কৌশলে সুচিকিৎসার প্রলোভনে ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক মৌখিক রেফার্ড করার মিথ্যা কথা বলে ও বিভিন্ন অপকৌশলে নিউ ওয়েলকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পরপরই বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক টেস্ট, ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনা ও সার্ভিস চার্জসহ একটি ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দিয়ে রোগী ও আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, নিউ ওয়েলকেয়ারে গ্রামের অসহায় নি¤œ-মধ্যবিত্ত রোগীদের ভয় দেখিয়ে যেমন, পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীর হাত-পা কেটে ফেলতে হয়, আমাদের কিনিকে আসুন ওষুধ দিয়ে আরোগ্য লাভ করবে; কিন্তু ভর্তি করানোর পর অপারেশনসহ ওষুধের বিল বাবদ লাখ লাখ টাকা দাবি করে কর্তৃপক্ষ। এ টাকা পরিশোধ করতে অনেকেরই নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করেও নিষ্কৃৃতি পাচ্ছে না। এরা অনেক অসহায় রোগীকে রক্ত দেয়ার নাম করে রক্তের ব্যাগ ঝুলিয়ে রেখে রক্ত চলছে জানিয়ে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এসব কারণে বাবুল হোসেন ও প্রশান্ত হালদারকে তিন বছর করে কারাদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাহিদ আহমেদ, সাদেক, রিয়াজ আহমেদ, সোহাগ ও বি আর আহমেদ শরীফকে দুই বছর করে কারাদ এবং দেলোয়ার হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদ দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান ও সাইফুল ইসলামকে তিন মাস করে এবং মোহাম্মদ ইসলামকে দুই মাসের কারাদ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি রবিউল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে হাসপাতালের একটি রুম থেকে বিদেশী মদ ও গাঁজা নিয়ে মেতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের মালিকপক্ষ ও তাদের এজেন্ট দালালচক্রের আটজনকে আটক করে র্যাবের আভিযানিক দল। এরপর তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী দালাল চক্রের আরো চার সদস্যকে আটক করা হয়। তারা জানায়, পঙ্গু হাসপাতালে সেসব রোগী রাতে ভর্তি হতে আসে তাদের সুকৌশলে ভাগিয়ে নেয়ার জন্য দালালচক্র পঙ্গু হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় এবং একে অন্যকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে রোগীদের কমিশনের লোভে হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি জানান, আটককৃত বি আর আহমেদ শরীফ জিজ্ঞাসাবাদে জানায় প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ওয়েলকেয়ার হাসপাতালের কিনিকে বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে এবং তিনিই পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে আনা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে থাকেন।
ওয়েলকেয়ার হাসপাতালেই বসে মদ-গাঁজার আসর। সন্ধ্যা হলেই পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ওঁৎ পেতে রোগী ভাগানো ফাঁদ পাতে দালালরা। রাতে কিনিকে ফিরে মনোরঞ্জন শেষে কমিশন নিয়ে বাসায় ফেরে তারা। ওই হাসপাতালের নিয়োগকৃত প্রায় অর্ধশত দালাল রয়েছে যারা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-২ এর একটি অভিযানিক দল ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে বিদেশী মদ ও গাঁজা নিয়ে মেতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের মালিক ভুয়া এমবিবিএস বিআর আহমেদ শরীফ ও তাদের এজেন্ট দালালচক্রের আটজনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পঙ্গু হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আরো চারজনকে আটক করে র্যাব-২। গত রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ ও অর্থদ দেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
র্যাব জানায়, পঙ্গু হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে রোগীদের কৌশলে সুচিকিৎসার প্রলোভনে ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক মৌখিক রেফার্ড করার মিথ্যা কথা বলে ও বিভিন্ন অপকৌশলে নিউ ওয়েলকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পরপরই বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক টেস্ট, ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনা ও সার্ভিস চার্জসহ একটি ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দিয়ে রোগী ও আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, নিউ ওয়েলকেয়ারে গ্রামের অসহায় নি¤œ-মধ্যবিত্ত রোগীদের ভয় দেখিয়ে যেমন, পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীর হাত-পা কেটে ফেলতে হয়, আমাদের কিনিকে আসুন ওষুধ দিয়ে আরোগ্য লাভ করবে; কিন্তু ভর্তি করানোর পর অপারেশনসহ ওষুধের বিল বাবদ লাখ লাখ টাকা দাবি করে কর্তৃপক্ষ। এ টাকা পরিশোধ করতে অনেকেরই নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করেও নিষ্কৃৃতি পাচ্ছে না। এরা অনেক অসহায় রোগীকে রক্ত দেয়ার নাম করে রক্তের ব্যাগ ঝুলিয়ে রেখে রক্ত চলছে জানিয়ে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এসব কারণে বাবুল হোসেন ও প্রশান্ত হালদারকে তিন বছর করে কারাদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাহিদ আহমেদ, সাদেক, রিয়াজ আহমেদ, সোহাগ ও বি আর আহমেদ শরীফকে দুই বছর করে কারাদ এবং দেলোয়ার হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদ দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান ও সাইফুল ইসলামকে তিন মাস করে এবং মোহাম্মদ ইসলামকে দুই মাসের কারাদ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি রবিউল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে হাসপাতালের একটি রুম থেকে বিদেশী মদ ও গাঁজা নিয়ে মেতে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের মালিকপক্ষ ও তাদের এজেন্ট দালালচক্রের আটজনকে আটক করে র্যাবের আভিযানিক দল। এরপর তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী দালাল চক্রের আরো চার সদস্যকে আটক করা হয়। তারা জানায়, পঙ্গু হাসপাতালে সেসব রোগী রাতে ভর্তি হতে আসে তাদের সুকৌশলে ভাগিয়ে নেয়ার জন্য দালালচক্র পঙ্গু হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় এবং একে অন্যকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে রোগীদের কমিশনের লোভে হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি জানান, আটককৃত বি আর আহমেদ শরীফ জিজ্ঞাসাবাদে জানায় প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ওয়েলকেয়ার হাসপাতালের কিনিকে বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে এবং তিনিই পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে আনা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে থাকেন।
Post Comment
No comments