হারেও প্রাপ্তি বাংলাদেশের

হারেও প্রাপ্তি বাংলাদেশের
















                                                   হারেও প্রাপ্তি বাংলাদেশের
জয়ের দেখা মেলেনি। দুই টেস্ট তিন ওয়ানডের পর প্রথম টি-২০। সেখানেও যথারীতি হার বাংলাদেশের। ব্লমফন্টেইনে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে কিছু প্রাপ্তি রয়েছে টিম বাংলাদেশের। খেলোয়াড়দের একেবারে গা-ছাড়া মনে হয়নি। চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কী হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা দল তো অনেক হিসেবী। অনেক বিশ্লেষণ করেই তারা খেলে ম্যাচ। এতেও সে একই অবস্থা। প্রথম ব্যাটিং করে ১৯৫ করেছে তারা। বাংলাদেশ জয়ের দুঃসাহস দেখিয়েছিল এর পরও।

৯ ওভার পর্যন্ত লড়াই ছিল জয়ের লক্ষ্যে। ওই পর্যন্ত দলের রান ছিল ৯২/২। কিন্তু এরপর অ্যাটাকিং ব্যাটিং করতে থাকা সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর গুছিয়ে ব্যাটিং আর করতে পারেনি। আউট হয়েছেন দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যানরা অনবরতভাবে। এতে ১৭৫ রান করে হেরেছে তারা ২০ রানে।

বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর করেন সৌম্য। ৩১ বলে ৪৭ করেছেন তিনি দুই ছক্কা ও পাঁচটি চারের সাহায্যে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে সাইফের ব্যাট থেকে। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি ২৭ বলে। এক ছক্কা ও তিনটি চার রয়েছে তাতে। এ ছাড়া সাব্বিরের ১৯ রান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের চমৎকার সূচনার পর মূলত আউট হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বহীন ব্যাটিং করে। সাকিব, ইমরুল, মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিকের মতো দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং করেছিল তাদের মতো করেই। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডিকক ও এবি ডি ভিলিয়ার্স ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেন। ডিকক ৪৪ বলে ৫৯ করে আউট হন। তবে তার চেয়েও বেশি অ্যাটাকিং ছিলেন এবি। ২৭ বলে আটটি চারের সাহায্যে করেন তিনি ৪৯ রান। এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হয়নি তার। আউট হয়ে যান মিরাজের বলে।
প্রোটিয়া অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ডেভিড মিলার ও বেহারদিন মিলে ৬২ রানের পার্টনারশিপ খেলে দলকে ওই বিশাল স্কোরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। মিলার ১৯ বলে ২৫ ও বেহারদিন ১৭ বলে ৩৬ করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ দলের বোলারদের মধ্যে মিরাজ নেন দুই উইকেট। সাকিব নিয়েছেন এক উইকেট। বোলিংয়ে চেষ্টা করেছিলেন তারা। তবে তার চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে থেকে ব্যাটিং করে নিজেদের স্কোর উচ্চতায় নিয়ে রাখেন। এতে স্বাগতিকেরা এগিয়ে গেল দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০তে।

No comments