ধুমধামে বিয়ে মৃদুলের পুলিশ বলছে পলাতক
পাঁচ মাসেও ধরা পড়েনি গৃহবধূ মৌসুমী রানীর হত্যাকারীরা। এই ঘটনায়
অভিযুক্ত স্বামী ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ বলছে পলাতক। শুধু
তা-ই নয়, অদৃশ্য কারণে পুলিশ এই মামলার চার্জশিট দিতেও গড়িমসি করছে বলে
অভিযোগ উঠেছে। হত্যাকা টি ভিন্ন খাতে নিতে ঘাতকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালের
রেজিস্ট্রি খাতায় ভুল তথ্য দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ মতে, গত ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানা এলাকার আন্দারকিল্লার ঘাট ফরহাদবেগ ইয়াকুব ম্যানসনের দ্বিতীয় তলার বাসায় মৌসুমী রানী সিংহের শরীর আগুনে ঝলসে দেয় স্বামী মৃদুল চন্দ্র। রানীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ মে মারা যান ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় নিহতের মা অঙ্গনা রানী সিংহ বাদি হয়ে চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মৃদুলকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেনÑ মানিক চন্দ্র সিংহ, চন্দনা রানী সিংহ, বাদল চন্দ্র সিংহ, প্রশান্ত চন্দ্র সিংহ, প্রদীপ চন্দ্র সিংহ ও প্রিতম চন্দ্র সিংহ। কিন্তু অদ্যাবধি পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি বলেন, পুলিশ তাদের বলছে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
অথচ সম্প্রতি মামলা প্রধান আসামি নিহত মৌসুমীর স্বামীর মৃদুল ঢাকঢোল পিটিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরছে। শুধু তা-ই নয়, মামলা তুলে নিতে মৌসুমীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলেছেন, ‘আমরা থানা কিনে ফেলেছি। কিছুই হবে না আমাদের।’ নিহতের স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্নভাবে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আসছিল মৃদুল। তার অনেক দাবিই পূরণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে রানীর ছোট বোনের দিকে। মৌসুমীকে হত্যা করে ছোটবোনকে বিয়ে করতে পারলে ওই পরিবারের সব সম্পত্তির মালিক হতে পারত। উল্লেখ্য, মৌসুমীরা দুই বোন। তাদের আর কোনো ওয়ারিশ না থাকার সুযোগটি কাজে লাগাতে চেয়েছিল মৃদুল। নিহতের মা ও স্বজনরা মৌসুমী হত্যার বিচার চেয়ে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে ও বিচারে তারা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন।
এ দিকে মৌসুমী রানী সিংহ ও তার স্বামী মৃদুলের নাম সংশোধনের আবেদন করেছেন নিহতের মা অঙ্গনা রানী। আবেদনে তিনি বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও হাসপাতালে ভর্তির সময় ঘাতক স্বামীর নাম ‘মৃদুল রায়’ উল্লেখ করা হয়েছে। ইচ্ছে করেই আসামিরা এ কাজ করেছে। মৌসুমী রানীর স্বামীর প্রকৃত নাম মৃদুল চন্দ্র সিংহ। তবে নিহত মৌসুমী রানী সিংহের পারিবারিক নাম ডিডা সিংহ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র শীল বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। চার্জশিট দেয়া নির্ভর করছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ওপর। ওই রিপোর্ট পেলে চার্জশিট দেয়া হবে।
অভিযোগ মতে, গত ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানা এলাকার আন্দারকিল্লার ঘাট ফরহাদবেগ ইয়াকুব ম্যানসনের দ্বিতীয় তলার বাসায় মৌসুমী রানী সিংহের শরীর আগুনে ঝলসে দেয় স্বামী মৃদুল চন্দ্র। রানীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ মে মারা যান ওই গৃহবধূ।
এ ঘটনায় নিহতের মা অঙ্গনা রানী সিংহ বাদি হয়ে চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মৃদুলকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেনÑ মানিক চন্দ্র সিংহ, চন্দনা রানী সিংহ, বাদল চন্দ্র সিংহ, প্রশান্ত চন্দ্র সিংহ, প্রদীপ চন্দ্র সিংহ ও প্রিতম চন্দ্র সিংহ। কিন্তু অদ্যাবধি পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি বলেন, পুলিশ তাদের বলছে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
অথচ সম্প্রতি মামলা প্রধান আসামি নিহত মৌসুমীর স্বামীর মৃদুল ঢাকঢোল পিটিয়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরছে। শুধু তা-ই নয়, মামলা তুলে নিতে মৌসুমীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলেছেন, ‘আমরা থানা কিনে ফেলেছি। কিছুই হবে না আমাদের।’ নিহতের স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্নভাবে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আসছিল মৃদুল। তার অনেক দাবিই পূরণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে রানীর ছোট বোনের দিকে। মৌসুমীকে হত্যা করে ছোটবোনকে বিয়ে করতে পারলে ওই পরিবারের সব সম্পত্তির মালিক হতে পারত। উল্লেখ্য, মৌসুমীরা দুই বোন। তাদের আর কোনো ওয়ারিশ না থাকার সুযোগটি কাজে লাগাতে চেয়েছিল মৃদুল। নিহতের মা ও স্বজনরা মৌসুমী হত্যার বিচার চেয়ে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে ও বিচারে তারা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন।
এ দিকে মৌসুমী রানী সিংহ ও তার স্বামী মৃদুলের নাম সংশোধনের আবেদন করেছেন নিহতের মা অঙ্গনা রানী। আবেদনে তিনি বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও হাসপাতালে ভর্তির সময় ঘাতক স্বামীর নাম ‘মৃদুল রায়’ উল্লেখ করা হয়েছে। ইচ্ছে করেই আসামিরা এ কাজ করেছে। মৌসুমী রানীর স্বামীর প্রকৃত নাম মৃদুল চন্দ্র সিংহ। তবে নিহত মৌসুমী রানী সিংহের পারিবারিক নাম ডিডা সিংহ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র শীল বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। চার্জশিট দেয়া নির্ভর করছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ওপর। ওই রিপোর্ট পেলে চার্জশিট দেয়া হবে।
No comments