Breaking News

‘আমার পরিশ্রম আমাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে এসেছে’

‘আমার পরিশ্রম আমাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে এসেছে’
















                   ‘আমার পরিশ্রম আমাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে এসেছে’

নুর বুখারী একাধারে জনপ্রিয় অভিনেত্রী, নির্মাতা ও মডেল। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী শোবিজ জগতকে বিদায় জানিয়েছেন, নিয়মিত হিজাব পরছেন, হিজাব ছাড়া ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন না। পাকিস্তানি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ‘ললিউডে’ দর্শক নন্দিত এই তারকার হিজাব পরা ছবি দেখে অনেক ভক্ত চমৎকৃত হয়েছেন।
নূর বলেন, 'আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তিনি আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন এবং নিজের ধর্ম ইসলামের সঙ্গে আমি আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। ধর্ম নিয়ে কাজ করব আমি। ধর্মের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভবিষ্যতে শো ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতেও প্রস্তুত আছি। আমি মনে করি যে কোনো পেশার মাধ্যমেই খ্যাতি ও শ্রদ্ধা অর্জন করা যায় এবং আমি আমার কঠোর পরিশ্রম ও সততার কারণেই ললিউডে এই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছি। তবে আমি ভবিষ্যতে কোনো সিনেমা বা টিভি শো করব না। ইতোমধ্যে আমি চলমান সকল প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি এবং এতে আর অংশ নিচ্ছি না।’
নূর বুখারী বলেন, ‘আমি এমন একটি সময় অতিক্রম করছিলাম; যেটি মানসিক আঘাত এবং অন্যান্য কষ্টের সঙ্গে জড়িত। আমি এ সম্পর্কে আর ভাবতে চাই না। ইসলামের পথে আসতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে মহান আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার বিষয়টি আপনি চাইলেই বাছাই করে নিতে পারেন না, বরং আল্লাহই আপনাকে পছন্দ করে নেন। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাকে পছন্দ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন পরিবর্তিত নারী। আমার দর্শনসমূহও পরিবর্তিত হয়েছে। আমার পরিশ্রম আমাকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে এসেছে এবং আমি আমার এই রূপান্তর সবার সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার পাশাপাশি এই পথ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চাই। বিশেষত ইসলামিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে শিখব।’
উল্লেখ্য নূর ৯০ এর দশকেই শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আসেন নূর। 'পেয়ার করা তো নাহি ডরনা' (১৯৯২), 'উরুসা' (১৯৯৩) এবং 'জান্নাত' (১৯৯৩) সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০০০ সালে শান শহিদের বিপরীতে মুজে চান চাহিয়া ছবিতে অভিনয় করে পাকিস্তানের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হন। নূর নাট্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত উফ ইয়াহ লারিকিয়ান এবং মেরে আগনে মেইন এর মতো প্রকল্পগুলোতে কাজ করেছেন। 'মর্নিং উইথ হাম', 'ফির তানহা'সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টিভি শো উপস্থাপনা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার শেষ ছবি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। এতে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন সাবেক স্বামী ওয়ালি হামিদ। 'ভাই লোগ', 'আগ কা দরিয়া', 'তেরে পেয়ার মে', 'বিল্লি', জিল-ই-শাহ', 'কব আও গে'র মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
বিশ্বজুড়ে আলোচিত পাঁচ মুসলিম তরুণী
প্রেসিডেন্টের সাথেও করমর্দনে অস্বীকৃতি
ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে প্রেসিডেন্টের সাথে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আলোচনার জন্ম দেন জার্মান তরুণী। প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম গাউক দেশটির অফেনবাউচ শহরের থিওডোর হিয়াস নামক একটি স্কুল পরিদর্শনে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টের সাথে করমর্দন করছে। একপর্যায়ে হিজাব পরিহিত ওই তরুণীর সামনে এসে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট; কিন্তু মেয়েটি প্রতিউত্তরে হাত না বাড়িয়ে মাথা নিচু করে হাসি মুখে প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান। প্রেসিডেন্টও বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসি মুখে সামনে এগিয়ে যান। এ ঘটনার বেশ কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
মোহরানা হিসেবে নিলেন বই
ভারতে এক মুসলিম তরুণী নিজের বিয়েতে ব্যতিক্রমী ধরনের মোহরানা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। কেরালার এই তরুণীর নাম সাহলা নেচিলি। তিনি হায়দারবাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। বিয়ের কথাবার্তা চুড়ান্ত হওয়ার পর সাহলা শর্ত দেন যে, মোহারানা হিসেবে তিনি প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণ বা অর্থ নেবেন না বরং তার পছন্দের একগুচ্ছ বই কিনে দিতে হবে হবু বর তরুণ আনিস নাদুদীকে! দু’পক্ষের অনেকেই বেঁকে বসলেও সাহলা সহজে দমবার পাত্রী নন। তিনি বললেন ধর্ম তাকে যে পছন্দের স্বাধীনতা দিয়েছে তা সমাজ বা আত্মীয় স্বজনরা কেড়ে নিতে পারে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাহলা বলেন, ‘আমি দু’টি কারণে বই চেয়েছি। প্রথমত, এটা আমার শখ। আর মোহরানার ক্ষেত্রে মেয়েদের শখ বা ইচ্ছাতে পুরুষের গররাজি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই সেটি প্রমাণ করতে। আর দ্বিতীয়ত, আমার এলাকা মালাপুরামের অধিবাসীদেরকে, একটা বার্তা দিতে চেয়েছি যে, কাড়িকাড়ি স্বণ বা টাকা লেনদেনের বাইরেও মুসলিমদের একটি সুন্দর বিয়ে হতে পারে। ধর্ম আমাদেরকে আমাদের ইচ্ছানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিয়েছে। অথচ মেয়েরা ভয়ে তাদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে না বা নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আনিকে (হবু বর) আমার চাওয়া বইগুলো খুঁজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অবশ্য মোহরানার ধারণাটাই হচ্ছে হবু বরকে একটু খাটাখাটনি করিয়ে নেয়া!’
হিজাব পরেও বক্সিংয়ে জিতলেন
হিজাব পরে বক্সিং করার অনুমতি পেলেন মার্কিন তরুণী আমাইয়া জাফর। আগামী ২০২০ টোকিও অলিম্পিককে টার্গেট করে ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এ অনুমতি শুধুমাত্র আমেরিকায় যখন তিনি বক্সিং করবেন তখন প্রযোজ্য হবে। এখন অপেক্ষা করছেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনুমোদনের।
আমাইয়ার কোচ নাথানিয়েল হেইল বলেন, ‘ও এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছে। গত ২ বছর ধরে অক্লান্ত চেষ্টা করে গেছে। অবশেষে এই অধিকার অর্জন করল। আমি ওর জন্য খুব খুশি। তবে আসল লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষেত্রে এটি প্রথম ধাপ মাত্র। ” তার মা সারা ওকিফ-ও এ জন্য খুব খুশি। অলিম্পিকে হিজাব পরে রিংয়ে লড়ার কোনো নিয়ম নেই। এর জন্য আমাইয়াকে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) কাছে আবেদন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২ বছর আগে ফ্লোরিডায় একটি প্রতিযোগিতার জন্য যান আমাইয়া। সেখানে রিংয়ে নামার সময় যখন হিজাব পরে প্রস্তুত হন তখন কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, বক্সিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পরে তবেই রিংয়ে নামতে হবে। এ কথা শোনার পর তিনি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার পর থেকেই শুরু হয় হিজাব পরার অনুমতির জন্য তার লড়াই।
বোরকা দিয়ে আগুন নিভিয়ে বাঁচালেন প্রাণ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক মুসলিম তরুণী উপস্থিত বুদ্ধির জোরে জলন্ত ট্রাকের মধ্যে থেকে বের করে ভারতীয় চালক হরকিরিত সিংয়ের প্রাণ বাঁচালেন। হাসপাতালে বন্ধুকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন জওয়াহের সেফ আল কুমায়িতি নামে ২২ বছরের ওই তরুণী। পথে রাস আল-খাইমা শহরের কাছে তিনি দেখেন দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ট্রাকেই আগুন লেগে যায়। কুমায়িতির কানে আসে, একটি ট্রাক থেকে কেউ একজন চিৎকার করে বাঁচানোর আর্তি করছেন। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গী বন্ধুর পরনের জোব্বা নিয়ে তিনি ছুটে গিয়ে আগুন নিভিয়ে চালককে বের করে আনেন।
কুমায়িতি বলেন, আমি গিয়ে দেখি, ওই চালক পড়ে রয়েছেন। ওর গায়ে আগুন লেগে রয়েছে। ওর শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। আমি জোব্বা দিয়ে তাকে ঢেকে দিই। ওই চালক তাকে জানান, তিনি মরতে চান না। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই চালককেই হাসপাতালে নিয়ে যান।ওই ব্যক্তির প্রাণ বাঁচাতে পেরে তার ভালো লাগছে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামীর বিরল ভালোবাসা
আন্দ্রেয়া আদরিয়ানা এবং আলফিয়ান রিজালের অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রশংসীত হয়েছে। ইসলামে ধর্মান্তরিত আন্দ্রেয়া (৩১) ভয়াবহ ক্যান্সারে আক্রান্ত আলফিয়ানকে বিয়ে করার মাধ্যমে তার নিখাঁদ ভালবাসার প্রমাণ দেন। আলফিয়ান বর্তমানে চতুর্থ স্তরের কোলন ও হার্ট ক্যান্সারে ভুগছেন।
মালয়েশিয়ার মালেকা ইসলামিক কাউন্সিলে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। কাউন্সিলের প্রধান রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শোকরি মোস্তফা তাদের বিয়ে পড়ান। বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর আন্দ্রেয়া বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে তিনি আমার জন্য সেরা সঙ্গী।’
আন্দ্রেয়া ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। আলফিয়ান জানান, ‘তিনি সবসময় আমার পাশে আছেন, এমনকি আমার কঠিন সময়েও আমাকে সব ধরনের সহায়তা করেছে। আমার এমন অসুস্থ অবস্থার পরেও আমাকে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হওয়ার আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
সূত্র: ডব্লিউএনডি, ডেইলি মেইল, নিউ স্ট্রেইট টাইমস

No comments