হাত পায়ের যত্ন
বৃষ্টির কারণে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। এ জন্য খুব ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করা উচিত। সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব করলে ভালো হয়। চালের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস, গাজরের রস ও মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো হবে। গরম পানির মধ্যে আধ চামচ শ্যাম্পু, একটু লবণ দিয়ে পা ডুুবিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। ব্রাশ দিয়ে এরপর পা ঘষে নিন। বাজারে মাটির ঝামা কিনতে পাওয়া যায়, সেটা দিয়ে গোড়ালির নিচের অংশটুকু ঘষে নিন। মরা চামড়া উঠে যাবে।
বাজারে মেনিকিউর, পেডিকিউর কিট কিনতে পাওয়া যায়। এতে নখ পরিষ্কার করার সামগ্রীও থাকে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নখে একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নখের চারপাশ পরিষ্কার করে নিন। লেবুর রসও খুব ভালো পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। সবশেষে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুবার এভাবে যত্ন নিলে হাত পা দুটি ভালোই থাকবে।
তবে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। লেবু যাতে ত্বকে খুব একটা না লাগে সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অনেকের ত্বকে এতে জ্বালাপোড়া করে।
কনুইয়ের অংশে অনেক সময় কালো ছোপ পড়ে যায়। মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে ঘষুন। কালো ছোপ কমে যাবে।
ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে অনেকের হাত-পায়ে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। দুধ, মধু, লেবুর রস, মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে একটু ঘন পেস্টের মতো করে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে সুফল পাবেন। এ ছাড়া তিলের পেস্ট, কাঠ বাদাম ও ময়দা মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বক ছাড়া প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি ভালো। তেঁতুল ও মধুর মিশ্রণ লাগাতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা।
যাঁরা এ সময় শুষ্কতায় ভুগছেন, তাঁরা ঘরোয়া ময়শ্চারাইজার বানাতে পারেন। তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালে শুষ্ক ভাব কমে যাবে। এ সময় ত্বক যেন অনেক সময় ধরে ভেজা না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
No comments