ভ্রমণ: মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন আকর্ষণ-Tourism attraction of Moulvibazar district
লাউয়াছড়া জাতীয়
উদ্যান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
মৌলভীবাজার ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন শ্রীমঙ্গলের এই ন্যাশনাল পার্ক শুধু যে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অনন্য শুধু তাই নয়, দেশের সবকটি বনাঞ্চলের মধ্যে সব
চেয়ে নান্দনিক ও আকর্ষনীয়। ১২৫০ হেক্টর আয়তনের এই
বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করে। লাউয়াছড়া যাবার পথে চোখে পড়বে চোখ জুড়ানো চা বাগান, পাহাড়, বন বনানী, উঁচু-নিচু টিলা শ্রেণী, আনারস, লিচু ও লেবু বাগান। স্থানীয় চা শ্রমিকদের ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর। পাখ-পাখালির কূজন, আর চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি যেন সবুজ একটি স্বর্গ রাজ্য। লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করা মাত্রই শুনতে পাওয়া যাবে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। গাছে গাছে পাখিদের কিচির-মিচির। মূল রাস্তার দু-ধারে বিশাল-বিশাল বনজ বৃক্ষের বহর দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন তার নিকট যাবার পথটা তৈরি করে রেখেছে আমাদের জন্য। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম বনগুলোর একটি। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রানীর এক জীবন্ত সংগ্রহশালা। বনে প্রবেশের সাথে সাথেই নানা ধরনের বন্যপ্রাণী, পাখি এবং কীটপতঙ্গের শব্দ শোনা যায়। বনের মধ্যে প্রায় সারাক্ষণই সাইরেনের মত শব্দ হতে থাকে; প্রকৃতপক্ষে এটি এক ধরণের ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। লাউছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রানী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক (Hoolock Gibbon) এর জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল, মেছোবাঘ, বন্য কুকুর, ভাল্লুক, মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার),অজগরসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু। মায়া হরিণ সাধারণত উচ্চতায় ২০-২২ ইঞ্চি। এদের বাদামী রঙের দেহ যা পিঠের দিকে ঘিয়ে গাঢ় রং ধারণ করে। উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, বনমোরগ, তুর্কি বাজ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালোমাথা টিয়া, কালো ফর্কটেইল. ধূসর সাত শৈলী, পেঁচা, ফিঙ্গে, লেজকাটা টিয়া, কালোবাজ, হীরামন, কালোমাথা বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাধারণ দর্শনীয় পাখির মধ্যে টিয়া, ছোট হরিয়াল, সবুজ সুইচোরা, তোতা, ছোট ফিঙ্গে, সবুজ কোকিল, পাঙ্গা, কেশরাজ প্রভৃতির দেখা মিলে। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মাইকেল অ্যান্ডারসন নির্দেশিত হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ(Around the World in 80 Days)-এর কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিলো লাউয়াছড়ার এই জাতীয় উদ্যানে। নৈসর্গ প্রকল্পের আওতায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রকৃতি ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট হারে প্রবেশ মূল্য দিয়ে এ বনের ভেতর প্রকৃতি ভ্রমণ করা যায়। প্রকৃতি ভ্রমণের জন্য বনে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটা পথ রয়েছে। তিনটি পথের মধ্যে একটি ৩ ঘণ্টার পথ, একটি ১ ঘণ্টার পথ আর অপরটি ৩০ মিনিটের পথ। প্রশিক্ষিত গাইডের সহায়তায় বনের একেবারে ভেতর পর্যন্ত যাওয়া যায়। প্রকৃতিকে বিরক্ত না করে তৈরি করা এ তিনটি পথে চোখে পড়বে নানা প্রজাতির কীটপতঙ্গ, গাছপালা, পাখি ও অর্কিড। ভাগ্য ভালো হলে হনুমান, বানর এবং উল্লুকেরও দেখা মিলতে পারে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন লাউয়াছড়ায় প্রকৃতি ভ্রমণে আসেন। বছরজুড়েই এই বনে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও শীতের সময় সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয়। আধ ঘণ্টার ট্রেকিং: এ পথটির শুরু রেললাইন পেরিয়ে হাতের বাঁ দিক থেকে। এ পথের শুরুতে উঁচু উঁচু গাছগুলোতে দেখা মিলতে পারে কুলু বানরের। নানা রকম গাছ-গাছালির ভেতর দিয়ে তৈরি করা এ হাঁটা পথটিতে চলতে চলতে জঙ্গলের নির্জনতায় শিহরিত হবেন যে কেউ। এ ছাড়া এ পথের বড় বড় গাছের ডালে দেখা মিলবে বুনো অর্কিড। যদিও এ সময়টা অর্কিডে ফুল ফোটার সময় নয়। নির্দেশিত পথে হাতের বাঁয়ে বাঁয়ে চলতে চলতে এই ট্রেইলটির শেষ হবে ঠিক শুরুর স্থানেই। এক ঘণ্টার ট্রেকিং: এক ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের শুরুতেই দেখবেন বিশাল গন্ধরুই গাছ। এ গাছের আরেক নাম কস্তুরী। এগাছ থেকে নাকি সুগন্ধি তৈরি হয়। এ ছাড়া এ পথে দেখবেন ঝাওয়া, জগডুমুর, মুলী বাঁশ, কাঠালি চাঁপা, লেহা প্রভৃতি গাছ। আরো আছে প্রায় শতবষর্ী চাপলিশ আর গামারি গাছ। এ ছাড়া এ পথে নানারকম ডুমুর গাছের ফল খেতে আসে উলস্নুক, বানর, হনুমান ছাড়াও এ বনের বাসিন্দা আরো অনেক বন্যপ্রাণী। ভাগ্য সহায় হলে সামনেও পড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলতে পারে মায়া হরিণ আর বন মোরগের। রোমাঞ্চকর ট্রেকিং: তিন ঘণ্টার হাঁটা পথটিও বেশ রোমাঞ্চকর। এ পথের বাঁয়ে খাসিয়াদের বসত মাগুরছড়া পুঞ্জি। এ পুঞ্জির বাসিন্দারা মূলত পান চাষ করে থাকেন। ১৯৫০ সালের দিকে বনবিভাগ এ পুঞ্জি তৈরি করে। এ পথে দেখা মিলবে বিশাল বাঁশবাগান। এ বাগানে আছে কুলু বানর আর বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর। লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। এরা দিনের বেলায় বাঁশের ঝারে ঘুমিয়ে কাটায়। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির পাখির, আর পথের শেষের দিকে দেখা মিলতে পারে এ বনের অন্যতম আকর্ষণ উলস্নুক পরিবারের। এরা বনের সবচেয়ে উঁচু গাছগুলোতে দলবদ্ধভাবে বাস করে। লাউয়াছড়ার পশ্চিম প্রান্তে একটি গ্রাম দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামটি মূলত খাসিয়া পল্লী (পুঞ্জি) খাসিয়াদের ভাষায়। ছোট একটি ছড়া পার হয়েই খাসিয়া পল্লীতে প্রবেশ করতে হয়। টিলার উপর দেখতে পাওয়া যাবে খাসিয়াদের মাচাং ঘর, আনারস বাগান ও তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস পান চাষের বরজ বা ক্ষেত। পান চাষ করতে খাসিয়া পুরুষরা চারা রোপন, গাছের উপর উঠে পান নামানো ইত্যাদি কাজ করে থাকে। মেয়েদের কাজ পানগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে আটি বেঁধে পাইকারদের নিকট বিক্রি করা। খাসিয়াদের বর্ণাঢ্য জীবনধারা সত্যিই চমৎকার। কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে রেল ও সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, টি আর টন্সাভেলস ইত্যাদি বাস যায় শ্রীমঙ্গল। ঢাকা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায় শ্রীমঙ্গল। ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬·৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আত্ম:নগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস, দুপুর ২·০০ মিনিটে প্রতিদিন ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ১০·০০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জের রাস্তায় ৭ কি·মি· এগুলেই লাউয়াছড়া পার্কের সীমানা। শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোড থেকে বাসে, প্রাইভেট কারে বা অটোরিক্সায় যেতে পারবেন। কোথায় থাকবেন: লাউয়াছড়ায় রয়েছে ১টি ফরেস্ট রেস্ট হাউজ, ফরেস্টের অনুমতি নিয়ে আপনি লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজেই থাকতে পারেন।আবার মৌলভীবাজার শহরের বুকে আছে সুনামধন্য রেস্ট ইন হোটেল & রেস্টুরেন্ট যেখানে আপনারা নিরাপদে থাকতে পারবেন মোবাইল নং:০১৭১৯৩৩৩৫৫৫ ,শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য ভালো মানের জায়গা ভানুগাছ রোডে টি রিসর্ট (০১৭১২৯১৬০০১)। শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ সড়কে আরেকটি ভালো আবাসন ব্যবস্থা হলো রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট (০১৯৩৮৩০৫৭০৭)। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য হোটেল হলো হবিগঞ্জ সড়কে টি টাউন রেস্ট হাউস (০৮৬২৬-৭১০৬৫), কলেজ রোডে হোটেল পস্নাজা (০৮৬২৬-৭১৫২৫), হোটেল ইউনাইটেড, সবুজ বাংলা, মুক্ত, আল-রহমান, নীলিমা, মুন, সন্ধ্যা ইত্যাদি।
বিস্তারিত পড়ুন: http://buletnews.info/news/8467
বন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করে। লাউয়াছড়া যাবার পথে চোখে পড়বে চোখ জুড়ানো চা বাগান, পাহাড়, বন বনানী, উঁচু-নিচু টিলা শ্রেণী, আনারস, লিচু ও লেবু বাগান। স্থানীয় চা শ্রমিকদের ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর। পাখ-পাখালির কূজন, আর চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি যেন সবুজ একটি স্বর্গ রাজ্য। লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করা মাত্রই শুনতে পাওয়া যাবে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। গাছে গাছে পাখিদের কিচির-মিচির। মূল রাস্তার দু-ধারে বিশাল-বিশাল বনজ বৃক্ষের বহর দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন তার নিকট যাবার পথটা তৈরি করে রেখেছে আমাদের জন্য। জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম বনগুলোর একটি। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রানীর এক জীবন্ত সংগ্রহশালা। বনে প্রবেশের সাথে সাথেই নানা ধরনের বন্যপ্রাণী, পাখি এবং কীটপতঙ্গের শব্দ শোনা যায়। বনের মধ্যে প্রায় সারাক্ষণই সাইরেনের মত শব্দ হতে থাকে; প্রকৃতপক্ষে এটি এক ধরণের ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। লাউছড়ার জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রানী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক (Hoolock Gibbon) এর জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে। উল্লুক ছাড়াও এখানে রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল, মেছোবাঘ, বন্য কুকুর, ভাল্লুক, মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার),অজগরসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু। মায়া হরিণ সাধারণত উচ্চতায় ২০-২২ ইঞ্চি। এদের বাদামী রঙের দেহ যা পিঠের দিকে ঘিয়ে গাঢ় রং ধারণ করে। উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, বনমোরগ, তুর্কি বাজ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালোমাথা টিয়া, কালো ফর্কটেইল. ধূসর সাত শৈলী, পেঁচা, ফিঙ্গে, লেজকাটা টিয়া, কালোবাজ, হীরামন, কালোমাথা বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাধারণ দর্শনীয় পাখির মধ্যে টিয়া, ছোট হরিয়াল, সবুজ সুইচোরা, তোতা, ছোট ফিঙ্গে, সবুজ কোকিল, পাঙ্গা, কেশরাজ প্রভৃতির দেখা মিলে। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মাইকেল অ্যান্ডারসন নির্দেশিত হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ(Around the World in 80 Days)-এর কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিলো লাউয়াছড়ার এই জাতীয় উদ্যানে। নৈসর্গ প্রকল্পের আওতায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রকৃতি ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট হারে প্রবেশ মূল্য দিয়ে এ বনের ভেতর প্রকৃতি ভ্রমণ করা যায়। প্রকৃতি ভ্রমণের জন্য বনে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটা পথ রয়েছে। তিনটি পথের মধ্যে একটি ৩ ঘণ্টার পথ, একটি ১ ঘণ্টার পথ আর অপরটি ৩০ মিনিটের পথ। প্রশিক্ষিত গাইডের সহায়তায় বনের একেবারে ভেতর পর্যন্ত যাওয়া যায়। প্রকৃতিকে বিরক্ত না করে তৈরি করা এ তিনটি পথে চোখে পড়বে নানা প্রজাতির কীটপতঙ্গ, গাছপালা, পাখি ও অর্কিড। ভাগ্য ভালো হলে হনুমান, বানর এবং উল্লুকেরও দেখা মিলতে পারে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন লাউয়াছড়ায় প্রকৃতি ভ্রমণে আসেন। বছরজুড়েই এই বনে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও শীতের সময় সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয়। আধ ঘণ্টার ট্রেকিং: এ পথটির শুরু রেললাইন পেরিয়ে হাতের বাঁ দিক থেকে। এ পথের শুরুতে উঁচু উঁচু গাছগুলোতে দেখা মিলতে পারে কুলু বানরের। নানা রকম গাছ-গাছালির ভেতর দিয়ে তৈরি করা এ হাঁটা পথটিতে চলতে চলতে জঙ্গলের নির্জনতায় শিহরিত হবেন যে কেউ। এ ছাড়া এ পথের বড় বড় গাছের ডালে দেখা মিলবে বুনো অর্কিড। যদিও এ সময়টা অর্কিডে ফুল ফোটার সময় নয়। নির্দেশিত পথে হাতের বাঁয়ে বাঁয়ে চলতে চলতে এই ট্রেইলটির শেষ হবে ঠিক শুরুর স্থানেই। এক ঘণ্টার ট্রেকিং: এক ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের শুরুতেই দেখবেন বিশাল গন্ধরুই গাছ। এ গাছের আরেক নাম কস্তুরী। এগাছ থেকে নাকি সুগন্ধি তৈরি হয়। এ ছাড়া এ পথে দেখবেন ঝাওয়া, জগডুমুর, মুলী বাঁশ, কাঠালি চাঁপা, লেহা প্রভৃতি গাছ। আরো আছে প্রায় শতবষর্ী চাপলিশ আর গামারি গাছ। এ ছাড়া এ পথে নানারকম ডুমুর গাছের ফল খেতে আসে উলস্নুক, বানর, হনুমান ছাড়াও এ বনের বাসিন্দা আরো অনেক বন্যপ্রাণী। ভাগ্য সহায় হলে সামনেও পড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলতে পারে মায়া হরিণ আর বন মোরগের। রোমাঞ্চকর ট্রেকিং: তিন ঘণ্টার হাঁটা পথটিও বেশ রোমাঞ্চকর। এ পথের বাঁয়ে খাসিয়াদের বসত মাগুরছড়া পুঞ্জি। এ পুঞ্জির বাসিন্দারা মূলত পান চাষ করে থাকেন। ১৯৫০ সালের দিকে বনবিভাগ এ পুঞ্জি তৈরি করে। এ পথে দেখা মিলবে বিশাল বাঁশবাগান। এ বাগানে আছে কুলু বানর আর বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর। লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। এরা দিনের বেলায় বাঁশের ঝারে ঘুমিয়ে কাটায়। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির পাখির, আর পথের শেষের দিকে দেখা মিলতে পারে এ বনের অন্যতম আকর্ষণ উলস্নুক পরিবারের। এরা বনের সবচেয়ে উঁচু গাছগুলোতে দলবদ্ধভাবে বাস করে। লাউয়াছড়ার পশ্চিম প্রান্তে একটি গ্রাম দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামটি মূলত খাসিয়া পল্লী (পুঞ্জি) খাসিয়াদের ভাষায়। ছোট একটি ছড়া পার হয়েই খাসিয়া পল্লীতে প্রবেশ করতে হয়। টিলার উপর দেখতে পাওয়া যাবে খাসিয়াদের মাচাং ঘর, আনারস বাগান ও তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস পান চাষের বরজ বা ক্ষেত। পান চাষ করতে খাসিয়া পুরুষরা চারা রোপন, গাছের উপর উঠে পান নামানো ইত্যাদি কাজ করে থাকে। মেয়েদের কাজ পানগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে আটি বেঁধে পাইকারদের নিকট বিক্রি করা। খাসিয়াদের বর্ণাঢ্য জীবনধারা সত্যিই চমৎকার। কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে রেল ও সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, টি আর টন্সাভেলস ইত্যাদি বাস যায় শ্রীমঙ্গল। ঢাকা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায় শ্রীমঙ্গল। ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬·৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আত্ম:নগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস, দুপুর ২·০০ মিনিটে প্রতিদিন ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ১০·০০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জের রাস্তায় ৭ কি·মি· এগুলেই লাউয়াছড়া পার্কের সীমানা। শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোড থেকে বাসে, প্রাইভেট কারে বা অটোরিক্সায় যেতে পারবেন। কোথায় থাকবেন: লাউয়াছড়ায় রয়েছে ১টি ফরেস্ট রেস্ট হাউজ, ফরেস্টের অনুমতি নিয়ে আপনি লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজেই থাকতে পারেন।আবার মৌলভীবাজার শহরের বুকে আছে সুনামধন্য রেস্ট ইন হোটেল & রেস্টুরেন্ট যেখানে আপনারা নিরাপদে থাকতে পারবেন মোবাইল নং:০১৭১৯৩৩৩৫৫৫ ,শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য ভালো মানের জায়গা ভানুগাছ রোডে টি রিসর্ট (০১৭১২৯১৬০০১)। শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ সড়কে আরেকটি ভালো আবাসন ব্যবস্থা হলো রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট (০১৯৩৮৩০৫৭০৭)। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য হোটেল হলো হবিগঞ্জ সড়কে টি টাউন রেস্ট হাউস (০৮৬২৬-৭১০৬৫), কলেজ রোডে হোটেল পস্নাজা (০৮৬২৬-৭১৫২৫), হোটেল ইউনাইটেড, সবুজ বাংলা, মুক্ত, আল-রহমান, নীলিমা, মুন, সন্ধ্যা ইত্যাদি।
বিস্তারিত পড়ুন: http://buletnews.info/news/8467
লাউয়াছড়া জাতীয়
উদ্যান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
মৌলভীবাজার ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন শ্রীমঙ্গলের এই ন্যাশনাল পার্ক শুধু যে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অনন্য শুধু তাই নয়, দেশের সবকটি বনাঞ্চলের মধ্যে সব
চেয়ে নান্দনিক ও আকর্ষনীয়। ১২৫০ হেক্টর আয়তনের এই বন জীববৈচিত্র্যে
ভরপুর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই বনকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে
ঘোষণা করে।
লাউয়াছড়া যাবার পথে চোখে পড়বে চোখ জুড়ানো চা বাগান, পাহাড়, বন বনানী,
উঁচু-নিচু টিলা শ্রেণী, আনারস, লিচু ও লেবু বাগান। স্থানীয় চা শ্রমিকদের
ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর। পাখ-পাখালির কূজন, আর চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি যেন
সবুজ একটি স্বর্গ রাজ্য। লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করা মাত্রই শুনতে পাওয়া যাবে
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। গাছে গাছে পাখিদের কিচির-মিচির। মূল রাস্তার দু-ধারে
বিশাল-বিশাল বনজ বৃক্ষের বহর দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন তার নিকট যাবার
পথটা তৈরি করে রেখেছে আমাদের জন্য।
জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সমৃদ্ধতম
বনগুলোর একটি। আয়তনে ছোট হলেও এ বন দুর্লভ উদ্ভিদ এবং প্রানীর এক জীবন্ত
সংগ্রহশালা। বনে প্রবেশের সাথে সাথেই নানা ধরনের বন্যপ্রাণী, পাখি এবং
কীটপতঙ্গের শব্দ শোনা যায়। বনের মধ্যে প্রায় সারাক্ষণই সাইরেনের মত শব্দ
হতে থাকে; প্রকৃতপক্ষে এটি এক ধরণের ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। লাউছড়ার জাতীয়
উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭
প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি
এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রানী দেখা যায়।
বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক (Hoolock Gibbon) এর জন্য এ বন বিখ্যাত। বনের মধ্যে
কিছু সময় কাটালেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে। উল্লুক ছাড়াও এখানে
রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, বানর, শিয়াল, মেছোবাঘ, বন্য কুকুর, ভাল্লুক,
মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার),অজগরসহ নানা প্রজাতির জীবজন্তু। মায়া হরিণ
সাধারণত উচ্চতায় ২০-২২ ইঞ্চি। এদের বাদামী রঙের দেহ যা পিঠের দিকে ঘিয়ে
গাঢ় রং ধারণ করে। উদ্যানের বন্য পাখির মধ্যে সবুজ ঘুঘু, বনমোরগ, তুর্কি
বাজ, সাদা ভ্রু সাতভায়লা, ঈগল, হরিয়াল, কালোমাথা টিয়া, কালো ফর্কটেইল.
ধূসর সাত শৈলী, পেঁচা, ফিঙ্গে, লেজকাটা টিয়া, কালোবাজ, হীরামন, কালোমাথা
বুলবুল, ধুমকল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাধারণ দর্শনীয় পাখির মধ্যে টিয়া,
ছোট হরিয়াল, সবুজ সুইচোরা, তোতা, ছোট ফিঙ্গে, সবুজ কোকিল, পাঙ্গা, কেশরাজ
প্রভৃতির দেখা মিলে।
১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে মাইকেল অ্যান্ডারসন নির্দেশিত হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র
অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ(Around the World in 80 Days)-এর
কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিলো লাউয়াছড়ার এই জাতীয় উদ্যানে।
নৈসর্গ প্রকল্পের আওতায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রকৃতি ভ্রমণের
ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট হারে প্রবেশ মূল্য দিয়ে এ বনের ভেতর
প্রকৃতি ভ্রমণ করা যায়। প্রকৃতি ভ্রমণের জন্য বনে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটা
পথ রয়েছে। তিনটি পথের মধ্যে একটি ৩ ঘণ্টার পথ, একটি ১ ঘণ্টার পথ আর অপরটি
৩০ মিনিটের পথ। প্রশিক্ষিত গাইডের সহায়তায় বনের একেবারে ভেতর পর্যন্ত
যাওয়া যায়। প্রকৃতিকে বিরক্ত না করে তৈরি করা এ তিনটি পথে চোখে পড়বে
নানা প্রজাতির কীটপতঙ্গ, গাছপালা, পাখি ও অর্কিড। ভাগ্য ভালো হলে হনুমান,
বানর এবং উল্লুকেরও দেখা মিলতে পারে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন
লাউয়াছড়ায় প্রকৃতি ভ্রমণে আসেন। বছরজুড়েই এই বনে পর্যটকদের আনাগোনা
থাকলেও শীতের সময় সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয়।
আধ ঘণ্টার ট্রেকিং: এ পথটির শুরু রেললাইন পেরিয়ে হাতের বাঁ দিক থেকে। এ
পথের শুরুতে উঁচু উঁচু গাছগুলোতে দেখা মিলতে পারে কুলু বানরের। নানা রকম
গাছ-গাছালির ভেতর দিয়ে তৈরি করা এ হাঁটা পথটিতে চলতে চলতে জঙ্গলের
নির্জনতায় শিহরিত হবেন যে কেউ। এ ছাড়া এ পথের বড় বড় গাছের ডালে দেখা মিলবে
বুনো অর্কিড। যদিও এ সময়টা অর্কিডে ফুল ফোটার সময় নয়। নির্দেশিত পথে হাতের
বাঁয়ে বাঁয়ে চলতে চলতে এই ট্রেইলটির শেষ হবে ঠিক শুরুর স্থানেই।
এক ঘণ্টার ট্রেকিং: এক ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের শুরুতেই দেখবেন বিশাল গন্ধরুই
গাছ। এ গাছের আরেক নাম কস্তুরী। এগাছ থেকে নাকি সুগন্ধি তৈরি হয়। এ ছাড়া এ
পথে দেখবেন ঝাওয়া, জগডুমুর, মুলী বাঁশ, কাঠালি চাঁপা, লেহা প্রভৃতি গাছ।
আরো আছে প্রায় শতবষর্ী চাপলিশ আর গামারি গাছ। এ ছাড়া এ পথে নানারকম ডুমুর
গাছের ফল খেতে আসে উলস্নুক, বানর, হনুমান ছাড়াও এ বনের বাসিন্দা আরো অনেক
বন্যপ্রাণী। ভাগ্য সহায় হলে সামনেও পড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলতে
পারে মায়া হরিণ আর বন মোরগের।
রোমাঞ্চকর ট্রেকিং: তিন ঘণ্টার হাঁটা পথটিও বেশ রোমাঞ্চকর। এ পথের বাঁয়ে
খাসিয়াদের বসত মাগুরছড়া পুঞ্জি। এ পুঞ্জির বাসিন্দারা মূলত পান চাষ করে
থাকেন। ১৯৫০ সালের দিকে বনবিভাগ এ পুঞ্জি তৈরি করে। এ পথে দেখা মিলবে বিশাল
বাঁশবাগান। এ বাগানে আছে কুলু বানর আর বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর।
লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। এরা দিনের বেলায় বাঁশের ঝারে ঘুমিয়ে কাটায়। এ
ছাড়া এ পথে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির পাখির, আর পথের শেষের দিকে দেখা
মিলতে পারে এ বনের অন্যতম আকর্ষণ উলস্নুক পরিবারের। এরা বনের সবচেয়ে উঁচু
গাছগুলোতে দলবদ্ধভাবে বাস করে।
লাউয়াছড়ার পশ্চিম প্রান্তে একটি গ্রাম দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামটি মূলত
খাসিয়া পল্লী (পুঞ্জি) খাসিয়াদের ভাষায়। ছোট একটি ছড়া পার হয়েই
খাসিয়া পল্লীতে প্রবেশ করতে হয়। টিলার উপর দেখতে পাওয়া যাবে খাসিয়াদের
মাচাং ঘর, আনারস বাগান ও তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস পান চাষের বরজ
বা ক্ষেত। পান চাষ করতে খাসিয়া পুরুষরা চারা রোপন, গাছের উপর উঠে পান
নামানো ইত্যাদি কাজ করে থাকে। মেয়েদের কাজ পানগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে আটি
বেঁধে পাইকারদের নিকট বিক্রি করা। খাসিয়াদের বর্ণাঢ্য জীবনধারা সত্যিই
চমৎকার।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে রেল ও সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ
থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, টি আর
টন্সাভেলস ইত্যাদি বাস যায় শ্রীমঙ্গল। ঢাকা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায়
শ্রীমঙ্গল। ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬·৪০
মিনিটে ছেড়ে যায় আত্ম:নগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস, দুপুর ২·০০ মিনিটে
প্রতিদিন ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত
১০·০০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জের
রাস্তায় ৭ কি·মি· এগুলেই লাউয়াছড়া পার্কের সীমানা। শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোড
থেকে বাসে, প্রাইভেট কারে বা অটোরিক্সায় যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন:
লাউয়াছড়ায় রয়েছে ১টি ফরেস্ট রেস্ট হাউজ, ফরেস্টের অনুমতি নিয়ে আপনি
লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজেই থাকতে পারেন।আবার মৌলভীবাজার শহরের বুকে আছে
সুনামধন্য রেস্ট ইন হোটেল & রেস্টুরেন্ট যেখানে আপনারা নিরাপদে থাকতে
পারবেন মোবাইল নং:০১৭১৯৩৩৩৫৫৫ ,শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য ভালো মানের জায়গা
ভানুগাছ রোডে টি রিসর্ট (০১৭১২৯১৬০০১)। শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ সড়কে আরেকটি
ভালো আবাসন ব্যবস্থা হলো রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট (০১৯৩৮৩০৫৭০৭)। এ ছাড়া
শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য হোটেল হলো হবিগঞ্জ সড়কে টি টাউন রেস্ট হাউস
(০৮৬২৬-৭১০৬৫), কলেজ রোডে হোটেল পস্নাজা (০৮৬২৬-৭১৫২৫), হোটেল ইউনাইটেড,
সবুজ বাংলা, মুক্ত, আল-রহমান, নীলিমা, মুন, সন্ধ্যা ইত্যাদি।
No comments