সাকিবের স্পিন ছোবলে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের স্পিনে বিধ্বস্ত বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। এরপরও তাদের যে সহজেই নাগালে পাওয়া যাবে না, সে ইঙ্গিতটা তারা দিয়ে ফেলেছেন! প্রথম দিনের শেষ ভাগে এসে সহজে তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কাল দ্বিতীয় দিনে আরো ভালো কিছুর ছিল প্রত্যাশা।
সূচনা হয়েছিল তেমনই। কিন্তু অসিরা সে বিপর্যস্ত অবস্থা কিছুটা হলেও কাভার করেছে। তবু অস্ট্রেলিয়ার মতো একটা দলকে পেছনে ফেলে ২১৭ রানে অল আউট করার কৃতিত্বটা বাংলাদেশের বোলারদেরই। আসলেই তোÑ বাংলাদেশের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে বেসামাল, বিধ্বস্ত হয়েছেন তারা। একজন ব্যাটসম্যানও পৌঁছাতে পারেনি হাফ সেঞ্চুরির সীমানায়। হোমে ইংল্যান্ডের পর আবারো শক্তিশালী এক ব্যাটিং লাইনের দল অস্ট্রেলিয়াকেও বিপাকে ফেলে দিয়েছেন সাকিবরা।
সফরকারীরা ৪৩ রানে পিছিয়ে ২১৭ রানে ইনিংস শেষ করলে যে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তা হলো দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ভালো ব্যাটিং। দিন শেষে মেহেদি হাসান মিরাজ যেভাবে বলছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে হলে তাদের ৩০০ প্লাস টার্গেট দিতে হবে।’ দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৮৮ রানে। সৌম্য সরকার ইতোমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ফলে আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনের ওপরই সব ফোকাস। তামিম ও মুশফিকদের আজ ভালো একটা ব্যাটিং প্রয়োজন। মিরাজের ভাষ্য অনুসারে চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর তুলতে সক্ষম হলে চাপে ফেলা সম্ভব হবে। কারণ আরো একটা রয়েছে। মিরপুরের উইকেট অতটা বাজে বলে মনে হয় না। মিরাজ বলছিলেন, বাংলাদেশ খুব ভালো বোলিং করেছে বিধায় উইকেট নেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে ব্যাটসম্যানরাও পরিশ্রম করলে রান পাবেÑ মনে হচ্ছে এমনটাই। অসিদের একটা গুণ রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি খুব দ্রুত মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস। দ্বিতীয় ইনিংসে যদি তেমনই হয়, তাহলে ২০০৬ সালে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টের মতোও হয়ে যেতে পারে! যে ম্যাচে তিন শতাধিক রানের টার্গেট দিয়েও হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। অবশ্য এসব কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আগে দেখতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটিংটা কেমন করে এবং উইকেটের ধরনটা কেমন থাকে। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা টাফ হবে এটা ঠিক। তবে মিরপুরের উইকেট শেষের দিকে একেবারে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে যাওয়ারও বহু রেকর্ড আছে! ফলে চিন্তা, টেনশন, রোমাঞ্চ, সব কিছুরই অপেক্ষা করছে এ ম্যাচে।
কাল বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করে দিয়ে দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করেছে। ক্রিজে রয়েছেন তামিম ইকবাল ও নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। তামিম ৭০ বলে ৩০ ও তাইজুল শূন্য রানে রয়েছেন অপরাজিত। আজ আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন এরা। আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। ১৫ রান করে আগারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন এ ওপেনার। এর আগে সকালে আগের দিনের ৩/১৮ নিয়ে খেলতে নেমে স্টিভেন স্মিথ বাধা হয়ে দাঁড়াবেন এমনটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজের বলে দিনের সূচনায় আউট হয়ে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে দেন। স্মিথ আউট হওয়ার পর প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা আর দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে কেউই। হ্যান্ডকম্ব, ম্যাক্সওয়েল, ওয়েড কেউই দাঁড়াতে পারেনি ক্রিজে। বাংলাদেশের স্পিনের সামনে মলিন হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। নবম উইকেট জুটিতে প্যাট কামিন্স ও আগার যদি ৪৯ রানের ইনিংসটা না খেলতে পারতেন, তাহলে দুশ্চিন্তার আর অন্ত ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ওই দুই ব্যাটসম্যানের প্রায় এক সেশনের ব্যাটিংয়ে ব্যবধানটাও কমে যায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের চেয়ে ৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে ২১৭ তে ইনিংস শেষ করে তারা, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনি¤œ স্কোর অসিদের। দিনের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট লাভ। নিজের পঞ্চাশতম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন এ অল রাউন্ডার। সাকিব বিশ্বের চতুর্থ টেস্ট বোলার। যিনি টেস্ট প্লেয়িং প্রতিটা দেশের বিপক্ষেই পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। এর আগে এ কৃতিত্ব গড়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই বোলার মুরালিধারান, রঙ্গনা হেরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন।
বাংলাদেশ : ২৬০ ও ৪৫/১, অস্ট্রেলিয়া : ২১৭
সফরকারীরা ৪৩ রানে পিছিয়ে ২১৭ রানে ইনিংস শেষ করলে যে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তা হলো দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ভালো ব্যাটিং। দিন শেষে মেহেদি হাসান মিরাজ যেভাবে বলছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে হলে তাদের ৩০০ প্লাস টার্গেট দিতে হবে।’ দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৮৮ রানে। সৌম্য সরকার ইতোমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ফলে আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনের ওপরই সব ফোকাস। তামিম ও মুশফিকদের আজ ভালো একটা ব্যাটিং প্রয়োজন। মিরাজের ভাষ্য অনুসারে চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর তুলতে সক্ষম হলে চাপে ফেলা সম্ভব হবে। কারণ আরো একটা রয়েছে। মিরপুরের উইকেট অতটা বাজে বলে মনে হয় না। মিরাজ বলছিলেন, বাংলাদেশ খুব ভালো বোলিং করেছে বিধায় উইকেট নেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে ব্যাটসম্যানরাও পরিশ্রম করলে রান পাবেÑ মনে হচ্ছে এমনটাই। অসিদের একটা গুণ রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি খুব দ্রুত মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস। দ্বিতীয় ইনিংসে যদি তেমনই হয়, তাহলে ২০০৬ সালে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টের মতোও হয়ে যেতে পারে! যে ম্যাচে তিন শতাধিক রানের টার্গেট দিয়েও হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। অবশ্য এসব কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আগে দেখতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটিংটা কেমন করে এবং উইকেটের ধরনটা কেমন থাকে। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা টাফ হবে এটা ঠিক। তবে মিরপুরের উইকেট শেষের দিকে একেবারে ব্যাটিং সহায়ক হয়ে যাওয়ারও বহু রেকর্ড আছে! ফলে চিন্তা, টেনশন, রোমাঞ্চ, সব কিছুরই অপেক্ষা করছে এ ম্যাচে।
কাল বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে অল আউট করে দিয়ে দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করেছে। ক্রিজে রয়েছেন তামিম ইকবাল ও নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। তামিম ৭০ বলে ৩০ ও তাইজুল শূন্য রানে রয়েছেন অপরাজিত। আজ আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন এরা। আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। ১৫ রান করে আগারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হলেন এ ওপেনার। এর আগে সকালে আগের দিনের ৩/১৮ নিয়ে খেলতে নেমে স্টিভেন স্মিথ বাধা হয়ে দাঁড়াবেন এমনটাই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজের বলে দিনের সূচনায় আউট হয়ে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে দেন। স্মিথ আউট হওয়ার পর প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা আর দাঁড়াতে পারেননি উইকেটে কেউই। হ্যান্ডকম্ব, ম্যাক্সওয়েল, ওয়েড কেউই দাঁড়াতে পারেনি ক্রিজে। বাংলাদেশের স্পিনের সামনে মলিন হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন। নবম উইকেট জুটিতে প্যাট কামিন্স ও আগার যদি ৪৯ রানের ইনিংসটা না খেলতে পারতেন, তাহলে দুশ্চিন্তার আর অন্ত ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ওই দুই ব্যাটসম্যানের প্রায় এক সেশনের ব্যাটিংয়ে ব্যবধানটাও কমে যায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের চেয়ে ৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে ২১৭ তে ইনিংস শেষ করে তারা, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনি¤œ স্কোর অসিদের। দিনের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট লাভ। নিজের পঞ্চাশতম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন এ অল রাউন্ডার। সাকিব বিশ্বের চতুর্থ টেস্ট বোলার। যিনি টেস্ট প্লেয়িং প্রতিটা দেশের বিপক্ষেই পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। এর আগে এ কৃতিত্ব গড়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই বোলার মুরালিধারান, রঙ্গনা হেরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন।
বাংলাদেশ : ২৬০ ও ৪৫/১, অস্ট্রেলিয়া : ২১৭
সাকিবের স্পিন ছোবলে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া
Reviewed by প্রভাত ফেরি
on
August 29, 2017
Rating: 5
No comments