স্পিনের জন্য তামিমরাও তৈরি
স্পিন দিয়েই গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে
হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজটা শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র হয়েছিল। তবে
ভাগ্য একটু ভালো হলেই ফল ২-০ হতে পারত। এবারও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই
স্পিনেই আস্থা রাখতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা আবার হিতে বিপরীত হয়ে যাবে
না তো? বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া দলে যখন নাথান লায়ন-অ্যাস্টন অ্যাগারের মতো
স্পিনার আছেন!
ভাবনাটা বাংলাদেশের মাথায়ও আছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও
অস্ট্রেলিয়ান স্পিন সামলাতে তৈরি। কাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে
মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হাউজুয়ের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে
তামিম ইকবাল সেটি বলেও দিলেন।
স্পিনিং উইকেট হলেই বাংলাদেশ জিতে যাবে—এমনটা মনে করেন না
তামিম, ‘আমাদের কন্ডিশনে স্পিন ভালো হয়, এটা সত্যি। কিন্তু ওদের দলেও সেরা
মানের স্পিনার আছে। নাথান লায়ন যেমন খুবই ভালো স্পিনার। আমাদের সবকিছুর
জন্যই তৈরি থাকতে হবে। আমরা স্পিনিং উইকেট বানালেই যে জিতে যাব, এমনটা নয়।
ওই স্পিনিং উইকেটে ওদের জন্য যেমন রান করা কষ্টকর হবে, আমাদের জন্যও তা-ই
হবে।’
আর এ কারণেই অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের সামলাতেও প্রস্তুতির
কমতি রাখছেন না তামিমরা, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই কাজ করছি। ওরা যেমন আমাদের
জন্য তৈরি হচ্ছিল, আমরাও ওদের জন্য তৈরি হয়েছি। তবে যেটা আমি বলব, সবকিছুর
জন্য আপনি তৈরি থাকতে পারবেন, কিন্তু মাঠে সেটা করে দেখাতেও হবে। আমরা যদি
ওদের চেয়ে ভালোভাবে কাজটা করতে পারি, অবশ্যই আমাদের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’
সর্বশেষ ১০ বছরে উপমহাদেশে ২২টি টেস্ট খেলে মাত্র দুটি
জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের মাটিতে এই সিরিজটা তাই স্মিথদের জন্য বড়
চ্যালেঞ্জ বলেই মানছেন অনেকে। তবে এটা ভেবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে
যেতেও রাজি নন তামিম, ‘আমরা ঘরের মাঠে খেলব, এটা তো একটা বাড়তি সুবিধাই।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে এসেছে বলেই আগে থেকে হেরে যাবে, এমন কিছু না।
ওরা খুব পেশাদার দল। টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল। ওদের সঙ্গে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে বা জিততে হলে প্রতিটি সেশন আগে জিততে হবে।
প্রতিটি ছোট ছোট ধাপ জিততে পারলে তবেই টেস্টে হারানোর চিন্তা।’
প্রায় এক দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। কিন্তু সীমিত ওভারে
এর আগে অনেকবার মুখোমুখি হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কখনো টেস্ট খেলা হয়নি
তামিমের। শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগটা যখন এল, তামিম ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে।
ব্যাট হাতেও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকায় সেঞ্চুরি
করেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে হাফ সেঞ্চুরি, শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষেও গল ও কলম্বো দুই টেস্টেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। এমন ফর্মের তামিম
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত, ‘ওদের বিপক্ষে খেলাটা সব
সময়ই রোমাঞ্চকর। ওরা টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল। আমার চেষ্টা থাকবে যত
বেশি পারা যায় রান করা এবং দলকে সর্বোচ্চ সাহায্য করা।’
No comments