জয়া আহসান মাঝেমধ্যে এমন করেন’ কি করেন ?
ম্যালাদিন হলো ব্যস্ততা তাকে জড়িয়ে আছে দারুণভাবে। সমানতালে কাজ করে
যাচ্ছেন ঢাকা এবং
কলকাতার চলচ্চিত্রে। দিনকয়েক দেশের ছবির কাজ করে উড়াল দিচ্ছেন কলকাতায়। সেখানে কিছুদিন থেকে ওখানকার ছবির শুটিং কিংবা অন্যান্য কাজের অবসরে আবার ফিরছেন দেশের মাটিতে। ভার্সেটাইল অভিনেত্রী জয়া আহসানের গেল কয়েক বছরের শিডিউল খাতার পাতা উল্টালে এমন চিত্রই মেলে। এ অভিনেত্রী
বর্তমানে কলকাতায় পূজার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপে মেতে আছেন। গত কয়েক বছর ধরেই পূজা এলে তাকে জড়াতে হয় এই ব্যস্ততায়। কারণ নিজ দেশের পাশাপাশি কলকাতার চলচ্চিত্রেও তিনি এখন ব্যাপক জনপ্রিয় একজন তারকা। আর কলকাতার পূজায় সেখানকার টিভি এবং চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন। জয়াও তা নিয়েই ব্যস্ত এ সময়ে। এরই মধ্যে হঠাৎ ইচ্ছা জাগলো মায়ের সঙ্গে সময় কাটাবেন। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতেই বৃহস্পতিবার বিকালে উড়ে এসেছিলেন দেশে। ফোন করে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বাসায় ঢুকে ফ্রেশ হয়ে মায়ের হাতের রান্না খাবেন। মাও সেইমতে রান্না করে রেখেছিলেন জয়ার সব প্রিয় খাবার। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, বাগান করা আমার খুব শখ। আমার বাসার ছাদে তাই নিজ হাতে একটি বাগান করেছি। ফুল, ফলের পাশাপাশি সেখানে নানা পদের সব্জিও হয়। সে বাগানেরই বেগুন দিয়ে মজার একটি আইটেম এবার মা রান্না করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই পেটপুরে তা খেয়েছি। শুক্রবারও মা নানা রকম মজার মজার আইটেম রান্না করে আমায় খাইয়েছেন। এর মধ্যে আমার প্রিয় শিং মাছও ছিল। ও একটা কথা বলি, আমি কিন্তু মাঝে-মধ্যে এমন করি। কোনো এক বিকালে হঠাৎ ঢাকায় চলে আসি। একরাত থেকে মায়ের হাতের মজার রান্না খেয়ে আবার পরদিন কলকাতা যাই। এবারও তেমনই হঠাৎ দেশে আসা। অবশ্য এবার একটা দিন বেশি হাতে নিয়ে এসেছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় গিয়েছিলাম। আর গতকাল দুপুরে আবার কলকাতা চলে যাই। কলকাতায় এত ব্যস্ততা কিসের প্রশ্ন করা হলে জয়া বলেন, এ সময়ের ব্যস্ততা পূজার বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে। এছাড়া নতুন সিনেমা নিয়েও ব্যস্ত আছি। কলকাতায় বর্তমানে জয়া অর্ণব পালের পরিচালনায় ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’ নামে একটি ছবিতে কাজ করছেন। মানসিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে এ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। এটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অংশুমান-প্রত্যূষ। ছবিতে জয়া আহসানের সঙ্গে আরো রয়েছেন চিরঞ্জিত, রাজেশ শর্মা প্রমুখ। ছবিতে নায়িকা বৃষ্টির চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া। যিনি ‘ইস্প্লিট পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’-এর রোগী। ডাক্তারের পরামর্শে বাইরে ঘুরতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় জড়িয়ে যান। এদিকে দেশে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবি ‘খাঁচা’। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছবিটির পরিচালক আকরাম খান। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ছোটগল্প ‘খাঁচা’ অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম এবং পরিচালক আকরাম খান দুজনে মিলে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। ছবির শুটিং করেছি নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা, ঢাকার দোহার আর নাটোরে। শুক্রবার বিকালেই বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে দর্শকদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখেছেন জয়া। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দর্শকদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখতে অন্যরকম লাগলো। ছবিশেষে অভিনয়ের ফিডব্যাক সরাসরি পেয়েছি তাদের কাছ থেকে। এ যে কি পরম আনন্দের বলে বোঝাতে পারবো না। কারণ একজন শিল্পীর মূল অনুপ্রেরণা হচ্ছে দর্শকের ভালোবাসা। ছবিটি প্রসঙ্গে জয়া বলেন, দারুণ একটা ছবি হয়েছে এটি। এতে বিভিন্ন ধাপে আমাকে দু’তিনটা বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। একদম ত্রিশ থেকে শুরু করে সত্তর বছর বয়সী নারীর রূপে দেখা যাবে আমাকে। তিনি আরো বলেন, এর আগে ৪৭ এর দেশভাগ নিয়ে তো আমাদের দেশে তেমন কোনো ছবি হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। এমন গল্পের কারণেই মনে হচ্ছে ছবিটি অনেকে দেখবেন।
কলকাতার চলচ্চিত্রে। দিনকয়েক দেশের ছবির কাজ করে উড়াল দিচ্ছেন কলকাতায়। সেখানে কিছুদিন থেকে ওখানকার ছবির শুটিং কিংবা অন্যান্য কাজের অবসরে আবার ফিরছেন দেশের মাটিতে। ভার্সেটাইল অভিনেত্রী জয়া আহসানের গেল কয়েক বছরের শিডিউল খাতার পাতা উল্টালে এমন চিত্রই মেলে। এ অভিনেত্রী
বর্তমানে কলকাতায় পূজার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপে মেতে আছেন। গত কয়েক বছর ধরেই পূজা এলে তাকে জড়াতে হয় এই ব্যস্ততায়। কারণ নিজ দেশের পাশাপাশি কলকাতার চলচ্চিত্রেও তিনি এখন ব্যাপক জনপ্রিয় একজন তারকা। আর কলকাতার পূজায় সেখানকার টিভি এবং চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকেন। জয়াও তা নিয়েই ব্যস্ত এ সময়ে। এরই মধ্যে হঠাৎ ইচ্ছা জাগলো মায়ের সঙ্গে সময় কাটাবেন। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতেই বৃহস্পতিবার বিকালে উড়ে এসেছিলেন দেশে। ফোন করে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বাসায় ঢুকে ফ্রেশ হয়ে মায়ের হাতের রান্না খাবেন। মাও সেইমতে রান্না করে রেখেছিলেন জয়ার সব প্রিয় খাবার। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, বাগান করা আমার খুব শখ। আমার বাসার ছাদে তাই নিজ হাতে একটি বাগান করেছি। ফুল, ফলের পাশাপাশি সেখানে নানা পদের সব্জিও হয়। সে বাগানেরই বেগুন দিয়ে মজার একটি আইটেম এবার মা রান্না করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই পেটপুরে তা খেয়েছি। শুক্রবারও মা নানা রকম মজার মজার আইটেম রান্না করে আমায় খাইয়েছেন। এর মধ্যে আমার প্রিয় শিং মাছও ছিল। ও একটা কথা বলি, আমি কিন্তু মাঝে-মধ্যে এমন করি। কোনো এক বিকালে হঠাৎ ঢাকায় চলে আসি। একরাত থেকে মায়ের হাতের মজার রান্না খেয়ে আবার পরদিন কলকাতা যাই। এবারও তেমনই হঠাৎ দেশে আসা। অবশ্য এবার একটা দিন বেশি হাতে নিয়ে এসেছিলাম। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় গিয়েছিলাম। আর গতকাল দুপুরে আবার কলকাতা চলে যাই। কলকাতায় এত ব্যস্ততা কিসের প্রশ্ন করা হলে জয়া বলেন, এ সময়ের ব্যস্ততা পূজার বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে। এছাড়া নতুন সিনেমা নিয়েও ব্যস্ত আছি। কলকাতায় বর্তমানে জয়া অর্ণব পালের পরিচালনায় ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’ নামে একটি ছবিতে কাজ করছেন। মানসিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে এ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। এটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অংশুমান-প্রত্যূষ। ছবিতে জয়া আহসানের সঙ্গে আরো রয়েছেন চিরঞ্জিত, রাজেশ শর্মা প্রমুখ। ছবিতে নায়িকা বৃষ্টির চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া। যিনি ‘ইস্প্লিট পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’-এর রোগী। ডাক্তারের পরামর্শে বাইরে ঘুরতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় জড়িয়ে যান। এদিকে দেশে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবি ‘খাঁচা’। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছবিটির পরিচালক আকরাম খান। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ছোটগল্প ‘খাঁচা’ অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম এবং পরিচালক আকরাম খান দুজনে মিলে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। ছবির শুটিং করেছি নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা, ঢাকার দোহার আর নাটোরে। শুক্রবার বিকালেই বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে দর্শকদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখেছেন জয়া। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দর্শকদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখতে অন্যরকম লাগলো। ছবিশেষে অভিনয়ের ফিডব্যাক সরাসরি পেয়েছি তাদের কাছ থেকে। এ যে কি পরম আনন্দের বলে বোঝাতে পারবো না। কারণ একজন শিল্পীর মূল অনুপ্রেরণা হচ্ছে দর্শকের ভালোবাসা। ছবিটি প্রসঙ্গে জয়া বলেন, দারুণ একটা ছবি হয়েছে এটি। এতে বিভিন্ন ধাপে আমাকে দু’তিনটা বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। একদম ত্রিশ থেকে শুরু করে সত্তর বছর বয়সী নারীর রূপে দেখা যাবে আমাকে। তিনি আরো বলেন, এর আগে ৪৭ এর দেশভাগ নিয়ে তো আমাদের দেশে তেমন কোনো ছবি হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। এমন গল্পের কারণেই মনে হচ্ছে ছবিটি অনেকে দেখবেন।
No comments