সুন্দরী স্কুলছাত্রীদের ধরে এনে গোপন ডেরায় যৌনদাসী করে রাখেন কিম!
উত্তর
কোরিয়ার সুন্দরী স্কুলছাত্রীদের ধরে এনে গোপন ডেরায় যৌনদাসী করে রাখেন
দেশটির নেতা কিম জং উন। সেখানেই ওই কিশোরীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়
বলে দাবি করেছেন দেশটি থেকে চলে যাওয়া এক তরুণী।
ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার নেতার নানা অত্যাচার পর্যবেক্ষণ করে ভয়ে ওই দেশ ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আশ্রয় নিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী তরুণী হি ইয়ন লিম। পিয়ংইয়ংয়ে সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেয়ে তিনি। ২০১৫ সালে তিনি উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করেন। সম্প্রতি তিনি কিম জং উনের এই গোপন কর্ম ফাঁস করে এমন তথ্য দিয়েছেন।
হি ইয়ন লিম দাবি করেন, ‘পশ্চিমা গোয়েন্দাদের নজর ফাঁকি দিয়ে অনেক বিলাসবহুল গোপন ডেরা তৈরি করেছেন কিম। সেখানেই কিমের নির্দেশে স্কুলের ছাত্রীদের ধরে এনে যৌনদাসী করে রাখা হয়। নিজের যৌনদাসী হিসেবে স্কুলের সবচেয়ে সুন্দর ছাত্রীকে ধরে আনার নির্দেশ দেন তিনি। কিম মূলত সুন্দর পা দেখেই তাদের নির্বাচন করেন।’
হি ইয়ন আরও বলেন, তিনি যে স্কুলে পড়াশোনা করতেন, সেই স্কুল থেকেই অনেক মেয়েকে দেশটির নেতার নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বলা হতো কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই মেয়েদের কাজ হলো নেতাকে খাওয়ানো ও তাঁর শরীর মালিশ করা। যারা এতে আপত্তি জানাত, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না।
হি ইয়ন লিম বলেন, ১১ জন সংগীতশিল্পীকে উড়োজাহাজ ধ্বংসকারী কামানের মুখে বেঁধে উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সে সময় এই দৃশ্য দেখতে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে বাধ্য করা হয়েছিল। নিহত সংগীতশিল্পীদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ংয়ের মিলিটারি একাডেমিতে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ করা হয়েছিল।
দেশত্যাগী এই তরুণী বলেন, বিমানবিধ্বংসী কামানের মুখ থেকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়া লাশের ওপর দিয়ে তারা ট্যাংক চালিয়েছে। মাটির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে প্রতিটি দেহ। অমানবিক ও নির্মম এই দৃশ্য দেখতে ওই ১০ হাজার মানুষের মধ্যে মিলিটারি একাডেমিতে এক বান্ধবীসহ তাঁকেও বাধ্য করা হয়েছিল। এই দৃশ্য দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হি ইয়ন লিমের বাবা উই ইয়ন লিম উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। ওই সময় একটি অনুষ্ঠানে কিমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল হির। কিমের অনেক বর্বর ঘটনার সাক্ষী তিনি। ৫১ বছর বয়সে ২০১৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর হি ও তাঁর পরিবার পালিয়ে চীনে চলে যান। সেখান থেকে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
হি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ায় খুবই কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তাই যেকোনো সত্য তথ্য প্রতিষ্ঠা করাটা সেখানে খুবই কঠিন ব্যাপার।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির এশিয়া বিশেষজ্ঞ কলিন আলেসান্দর বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ায় যৌনদাসী রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আমি দেশটিতে গোপন ডেরা ও যৌনদাসী থাকার বিষয়ে অনেক কিছু পড়েছি।’
চলতি সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়াকে চাপ দেওয়া উচিত। ২০০৮ সাল থেকে এ ধরনের চারটি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিছু কিছু অভিভাবক পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে চান না। কারণ তাঁদের ধারণা, পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তারা এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করবেন না।
উত্তর কোরিয়ার নেতারা এ প্রসঙ্গে বলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ‘অসম্ভব’ ব্যাপার।
আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এই অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। উত্তর কোরিয়া থেকে আর বস্ত্র কিনবে না চীন। আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা এই দেশটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহও সীমিত করে দেবে চীন। চীনের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তারা উত্তর কোরিয়াকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে। এই বক্তব্যের জন্য ট্রাম্পকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দেন উন।
ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার নেতার নানা অত্যাচার পর্যবেক্ষণ করে ভয়ে ওই দেশ ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আশ্রয় নিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী তরুণী হি ইয়ন লিম। পিয়ংইয়ংয়ে সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেয়ে তিনি। ২০১৫ সালে তিনি উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করেন। সম্প্রতি তিনি কিম জং উনের এই গোপন কর্ম ফাঁস করে এমন তথ্য দিয়েছেন।
হি ইয়ন লিম দাবি করেন, ‘পশ্চিমা গোয়েন্দাদের নজর ফাঁকি দিয়ে অনেক বিলাসবহুল গোপন ডেরা তৈরি করেছেন কিম। সেখানেই কিমের নির্দেশে স্কুলের ছাত্রীদের ধরে এনে যৌনদাসী করে রাখা হয়। নিজের যৌনদাসী হিসেবে স্কুলের সবচেয়ে সুন্দর ছাত্রীকে ধরে আনার নির্দেশ দেন তিনি। কিম মূলত সুন্দর পা দেখেই তাদের নির্বাচন করেন।’
হি ইয়ন আরও বলেন, তিনি যে স্কুলে পড়াশোনা করতেন, সেই স্কুল থেকেই অনেক মেয়েকে দেশটির নেতার নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বলা হতো কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই মেয়েদের কাজ হলো নেতাকে খাওয়ানো ও তাঁর শরীর মালিশ করা। যারা এতে আপত্তি জানাত, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না।
হি ইয়ন লিম বলেন, ১১ জন সংগীতশিল্পীকে উড়োজাহাজ ধ্বংসকারী কামানের মুখে বেঁধে উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সে সময় এই দৃশ্য দেখতে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে বাধ্য করা হয়েছিল। নিহত সংগীতশিল্পীদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ংয়ের মিলিটারি একাডেমিতে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ করা হয়েছিল।
দেশত্যাগী এই তরুণী বলেন, বিমানবিধ্বংসী কামানের মুখ থেকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়া লাশের ওপর দিয়ে তারা ট্যাংক চালিয়েছে। মাটির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে প্রতিটি দেহ। অমানবিক ও নির্মম এই দৃশ্য দেখতে ওই ১০ হাজার মানুষের মধ্যে মিলিটারি একাডেমিতে এক বান্ধবীসহ তাঁকেও বাধ্য করা হয়েছিল। এই দৃশ্য দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হি ইয়ন লিমের বাবা উই ইয়ন লিম উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। ওই সময় একটি অনুষ্ঠানে কিমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল হির। কিমের অনেক বর্বর ঘটনার সাক্ষী তিনি। ৫১ বছর বয়সে ২০১৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর হি ও তাঁর পরিবার পালিয়ে চীনে চলে যান। সেখান থেকে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
হি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ায় খুবই কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তাই যেকোনো সত্য তথ্য প্রতিষ্ঠা করাটা সেখানে খুবই কঠিন ব্যাপার।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির এশিয়া বিশেষজ্ঞ কলিন আলেসান্দর বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ায় যৌনদাসী রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আমি দেশটিতে গোপন ডেরা ও যৌনদাসী থাকার বিষয়ে অনেক কিছু পড়েছি।’
চলতি সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়াকে চাপ দেওয়া উচিত। ২০০৮ সাল থেকে এ ধরনের চারটি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিছু কিছু অভিভাবক পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে চান না। কারণ তাঁদের ধারণা, পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তারা এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করবেন না।
উত্তর কোরিয়ার নেতারা এ প্রসঙ্গে বলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ‘অসম্ভব’ ব্যাপার।
আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এই অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। উত্তর কোরিয়া থেকে আর বস্ত্র কিনবে না চীন। আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা এই দেশটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহও সীমিত করে দেবে চীন। চীনের এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তারা উত্তর কোরিয়াকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে। এই বক্তব্যের জন্য ট্রাম্পকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দেন উন।
No comments