Breaking News

সবকিছু যেন চলে না যায় রাজনীতির গ্রাসে

মহিউদ্দিন খান মোহন

সবকিছু যেন চলে না যায় রাজনীতির গ্রাসে সবকিছু যেন চলে না যায় রাজনীতির গ্রাসে
রাজনীতি করেন ও পছন্দ করেন আমাদের দেশে এমন মানুষের সংখ্যা যেমন অনেক, তেমনি রাজনীতির নাম শুনলে দশ হাত পিছিয়ে যান এমন লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড, অনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, জনস্বার্থহানিকর ভূমিকা মানুষকে রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। আজকাল অনেকেই দেশ বা সমাজে ঘটে যাওয়া যেকোনো বিতর্কিত ঘটনার জন্য রাজনীতিকেই দায়ী করেন। কেউ কেউ ‘সবকিছুর জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী’- এমন মন্তব্যও করে থাকেন। অথচ যারা এ ধরনের নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন তারাও স্বীকার করেন, দেশ, স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সবকিছুর পেছনে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে রাজনীতি। কারণ, সমাজ বা রাষ্ট্রকে পরিচালিত করে রাজনীতি।


প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি হলো দেশ ও মানুষের সেবা করার সবচেয়ে উত্তম একটি পথ। রাজনীতি না করলে সমাজ বা মানবসেবা করা যায় না বা যাবে না তা বলছি না; তবে, রাজনীতি যেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব হাতে পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম, সেহেতু এর মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে দেশ ও মানুয়ের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। আমাদের ইতিহাসে যেসব রাজনীতিবিদ অমর হয়ে আছেন, তাদের জীবনালেখ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- তারা ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা দল নয়, সর্বোচ্চে স্থান দিয়েছেন দেশ ও জাতির স্বার্থকে। ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ তাদের চিন্তা-চেতনাকে কখনোই অচ্ছন্ন করতে পারেনি। আর সেজন্যই জাতি আজো তাদের নাম স্মরণ করে অকৃত্রিম শ্রদ্ধায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, সময়ের সাথে সাথে অন্য অনেক কিছুর মতো আমাদের রাজনীতির ধরন ধারণও অনেক পাল্টে গেছে। মুখে দেশ ও জাতির স্বার্থের কথা বললেও বাস্তবে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে আমাদের রাজনীতিকেরা যেন ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। দলীয় স্বার্থে তারা এতটাই ব্যাপৃত যে, তাদের অন্তরে দেশ বা মানুষের ঠাঁই আছে- এটাই অনেক সময় বোঝাই যায় না। দলীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে দেখলে কোনো কোনো রাজনীতিক যেন হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে তারা এমন সব কথা বলেন বা কাজ করেন, মানুষ তাদের সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়ে।
রাজনীতি সম্বন্ধে আমাদের দেশের মানুষের একটি বড় অংশের ধারণা ভালো নয়। তারা মনে করেন, ভালো মানুষেরা রাজনীতি করে না। এ জন্য কারা দায়ী, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে, ধারণাটি যে একেবারে অমূলক নয় সেটা বলা যাবে না। এ প্রসঙ্গে মুম্বাইয়ের সাড়া জাগানো একটি চলচ্চিত্রের কথা না বলে পারছি না। ‘নায়ক’ নামের সে চলচ্চিত্রে ‘একদিনের মুখ্যমন্ত্রী’ অনিল কাপুরকে রাজনীতিতে নামতে রাজি করাতে না পেরে অভিনেতা পরেশ রাওয়াল যে মন্তব্য করেন, তার বাংলা তরজমা হলো- সবাই আইএএস অফিসার, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, কিন্তু একজন লোকও পাওয়া যাবে না যে, জনগণের নেতা হতে চায়, ভালো নেতা হতে চায়। আর এ সুযোগে ‘বলরাজ চৌহান’দের মতো খারাপ লোকেরা রাজনীতির মাঠ দখল করে জনগণকে শাসন করে।
আমাদের দেশের চিত্র কি তার চেয়ে খুব একটা ভিন্ন? প্রতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় যারা কৃতিত্বপূর্ণ রেজাল্ট করে, গণমাধ্যমে তাদের অনেকের সাক্ষাৎকার প্রচার-প্রকাশ করা হয়। ভবিষ্যতে কি হতে চাও- এ প্রশ্নের জবাবে কেউ বলে ডাক্তার হবো, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বিসিএস ক্যাডার এবং কেউ আইনজীবী বা ব্যবসায়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বলে। কিন্তু একজনকেও বলতে শোনা যায়নি যে, রাজনীতি করব বা রাজনীতিক হবো। বরং রাজনীতির প্রসঙ্গ তুললেই তারা ভ্রু কুঞ্চিত করে নেতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়ে দেয়। নতুন প্রজন্মের মেধাবীদের মধ্যে রাজনীতির প্রতি কেন এ অনীহা, তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন? ওদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। রাজনীতির বর্তমান হালহকিকত দেখেই ওদের মনে রাজনীতি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। কেউ হয়তো বলতে পারেন, তাই বলে কি আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গন খালি পড়ে আছে? দলগুলোতে কি কর্মীর অভাব আছে? না, তা নেই। কিন্তু কারা সে স্থান পূরণ করছে, তা একটু গভীর দৃষ্টিতে তাকালেই অনুধাবন করা সম্ভব। ভালো ছেলেরা রাজনীতিতে আসছে না বলেই আজ ‘তুফান’দের মতো ছেলেরা নেতা হয়ে যেতে পারছে।
রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ অনেকে বলে থাকেন, রাজনীতি থেকে নীতি উধাও হয়ে গেছে। নেতা-নেত্রীরা এখন দেশ-জাতি নয়, দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেন সর্বাগ্রে ও সবোর্চ্চ। দলীয় স্বার্থবিরোধী কোনো বিষয়কেই তারা মেনে নিতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তারা নীতি- নৈতিকতার কথা যেমন ভুলে যান, তেমনি বিস্মৃত হন তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশার কথা। একই সাথে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার কথাও তাদের মনে থাকে না। ফলে কথা বলতে গিয়ে তারা সীমা লঙ্ঘন করেন, তেমনি জন্ম দেন অবাঞ্ছিত বিতর্কের।
সাম্প্রতিক সময়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যা হচ্ছে, তা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। রায়ের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশের পর প্রধান বিরোধী দল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সঙ্গত কারণেই। কেননা, তারা এতদিন ধরে এ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করে আসছিল তার কিয়দংশ রায়ের পর্যবেক্ষণে পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে। বিএনপি রায়ের জন্য ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এ সরকারের বৈধতার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অভিমতও আশা করেছে। সরকারের বাইরে থাকা বিএনপি, রায়কে নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গীপ্রসূত বক্তব্য দেবে এটাই স্বাভাবিক। কোর্টের রায়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের মধ্যে বর্তমান সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা আরো পোক্ত করার চেষ্টা বিরোধীদল করতেই পারে।
কিন্তু যারা সরকারে আছে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া কি অনুরূপ হতে পারে? সরকারে থাকার কারণে তাদের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি সামনে চলে আসে। সরকারের বাইরে থাকা একটি রাজনৈতিক দল বা এর নেতারা আদালত বা বিচারকদের সম্বন্ধে যে দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কথা বলবেন, সরকারের মন্ত্রী বা সে দলের নেতারাও যদি একই কায়দায় কথা বলেন, তখন গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। তারপরও বিএনপি রায় সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা বলেছে, তাতে তাদের পরিমিতিবোধ কারো নজর এড়ায়নি। কিন্তু সরকার দলের নেতারা এ রায়কে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগ, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন এবং করছেন তা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য হতে পারে? তারা রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির প্রতি তাদের সীমাহীন ক্ষোভের বিষয়টি চেপে রাখতে পারেননি। তাই তাদের কেউ তাকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলারও হুমকি দিচ্ছেন। কেউ আবার রাজনৈতিক ফতোয়া দিচ্ছেন, বিচারপতি এস কে সিনহা হিন্দু নন। আবার কেউ বলছেন, তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী। আজ যারা এসব কথা বলছেন, তাদের সরকারের আমলেই তো সিনহা বিচারপতি এবং প্রধান বিচারপতি হয়েছেন।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তো পরিষ্কার বলেই দিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় এস কে সিনহাকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। মন্ত্রী কথাটি বলার সময় হয়তো খেয়াল করেননি যে, কত মারাত্মক একটি বিতর্কের সূত্রপাত তিনি করে ফেললেন! এস কে সিনহাকে যদি ১৯৯৯ সালে ( আওয়ামী লীগ সরকারের আমল) ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে যুক্তিসঙ্গত কারণেই এটা ধরে নিতে হয় যে, তাদের আমলে এ ধরনের সব নিয়োগই রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনায় আসে। কারণ, হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি এবং তা প্রধান বিচারপতির সুপারিশের ভিত্তিতে। ফলে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনার সুযোগ থাকার কথা নয়। যেহেতু কামরুল ইসলাম সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, সেহেতু তার কথাকে গুরুত্ব দিতেই হয়। জনগণ এটা ধরে নেবে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি এস কে সিনহা একটি রায়ের কারণে এখন এত তেতো হয়ে গেলেন!
দেশবাসী উদ্বেগের সাথেই লক্ষ্য করছে, মন্ত্রীরা প্রধান বিচারপতি সম্বন্ধে এমনসব মন্তব্য করছেন যেগুলো শিষ্টাচার বহির্ভূত। গত ২১ আগস্ট দলীয় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তিনি (প্রধান বিচারপতি) মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা অনুরোধ করব তাকে পরীক্ষা করানো হোক। ডাক্তার দেখানো হোক, তার ভারসাম্য ঠিক আছে কি না। তিনি যেসব কথাবার্তা বলছেন, তাতে পাগল ছাড়া এমন কথা কেউ বলতে পারে না।’ দেশের প্রধান বিচারপতিকে একজন মন্ত্রী যখন পাগল হিসেবে অখ্যায়িত করেন, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না দলীয় স্বার্থচিন্তা এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতার হিতাহিত জ্ঞানকে কোন পর্যায়ে নামিয়েছে।
মন্ত্রী যে দিন প্রধান বিচারপতিকে পাগল আখ্যা দিয়েছেন, সে দিনই রায় প্রসঙ্গে প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বক্তব্য ২২ আগস্টের পত্রিকাগুলোতে সবিস্তারেই প্রকাশিত হয়েছে। সরকার প্রধান প্রধান বিচারপতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উদাহরণ দেখিয়ে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে একদিন আগে যেসব কথা বলেছেন, দৃশ্যত প্রধানমন্ত্রী সেসব কথারই জবাব দিয়েছেন। তার সেসব বক্তব্যের যৌক্তিকতা কতটুকু সে প্রসঙ্গে না-হয় নাইবা গেলাম। কিন্তু ভাবনার বিষয় হলো, রাষ্ট্রের মূল তিনটি স্তম্ভের অন্যতম নির্বাহী বিভাগের প্রধান যখন অরেকটি স্তম্ভ বিচার বিভাগের প্রধানের প্রকাশ্যে তীব্র সমালোচনা করেন, জাতির জন্য তা অশনি সঙ্কেত কি না। রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলো যদি পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বা এর পর্যবেক্ষণ সরকারকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। কিন্তু তার প্রতিকার চাওয়ার পথ তো তাদের সামনে খোলাই ছিল। সে পথে যে তারা শেষ পর্যন্ত যাচ্ছেন, সেটাও এখন পরিষ্কার। সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে যাচ্ছেÑ এ খবর গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। আইনি লড়াই করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারপক্ষ কেন প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আর এখানেই আবার চলে আসে রাজনৈতিক স্বার্থপরতার বিষয়টি। শুধু রাজনৈতিক কারণেই সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এবং অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সরকারি দল প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে বসেছে। কিন্তু তারা কি ভেবে দেখেছেন, এভাবে তারা নিজেদের এবং রাজনীতির কী সর্বনাশ করছেন? প্রধান বিচারপতি তার কথা ও কাজ দিয়ে ইতোমধ্যে দেশবাসীর মনে একজন ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। সে মানুষটি সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-নেত্রী এবং মন্ত্রীদের অশোভন বক্তব্য-মন্তব্য জনমনে যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে, তা বোধকরি তারা ভেবে দেখেননি।
সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, এর ফলে রাজনীতি সম্পর্কে জনগণের নেতিবাচক ধারণা আরো দৃঢ় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের বক্তব্য হলো, রাষ্ট্রের অনেক কিছুই তো রাজনীতির কবলে পড়ে স্বকীয়তা হারিয়েছে। বিচার বিভাগটা অন্তত অক্ষত থাকুক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি সেটাও অপরাজনীতির থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়, তাহলে এ জাতির দুর্ভাগ্যের আর শেষ থাকবে না। আমাদের রাজনীতিকরা এ বিষয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। জনগণের প্রত্যাশা সেটাই।
লেখক : সাংবাদিক

No comments