শিক্ষকের প্রেমে হাবুডুবু, সতীন হতেও নেই আপত্তি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই স্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সাথে। একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রীটি একই ইউনিয়নের দলুয়া চৌধুরীপাড়ার গ্রামের মেয়ে। গত ৯ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় স্ত্রীর হাতে ধরা পড়ে যান প্রধান শিক্ষক জয়নাল। শিক্ষকের স্ত্রী কয়েকজনকে সাথে নিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে আসেন। এতে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে ধরতে এলাকাবাসী বিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারনসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বিদ্যালয়ে ছুটে আসে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, ইউএনও মো: বজলুর রশিদ, প্যানেল চেয়ারম্যান আজমল হোসন, এসি ল্যান্ড আহমেদ মাহবুবুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, কলেজ ছাত্রীর বাবাকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। একপর্যায়ে সেই ছাত্রীকে অফিস কক্ষে আনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে বিক্ষোভকারীদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও আলোচনা করলে তারা আশ্বস্ত হয়ে বিদ্যালয় চত্ত্বর ছেড়ে যায়।
কলেজ ছাত্রী জানান, জয়নাল স্যারের কোনো সন্তান না থাকায় আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এখন তার স্ত্রীর ভয়ে আমাকে স্বীকার করছেন না। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। তিনি যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।
ছাত্রীর বাবা আব্দুস সালেক জানায়, জয়নাল মাস্টার আমার মেয়েকে বিয়ে করবে এটাই আমার দাবি। যদি না করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীটি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সৈয়দপুরে যুবককে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় রোববার রাত ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর (২৮) নামে এক যুবককে পুকুর ধারে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, রাতের আঁধারে কৌশলে ঘর হতে ডেকে নিয়ে যায় জাহাঙ্গীরকে। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানিয়রা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আহতের সংকটাপন্ন অবস্থা দেখে দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।
আহতের পিতা আলাউদ্দিন জানান, আমরা শহরের ৭ নম্বর নন ষ্টান্ডার্ড পাকিস্তানি ক্যাম্পে বসবাস করি। আলী হোসেনের লেদ মেশিনে কাজ করে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর। ঘটনার দিন রাতে বাড়ি থেকে পরিচিত কয়েকজন যুবক তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বিসিকের পিছনে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে।
তবে আহতকে উদ্ধারকারীরা বলছে, এটি মূলত নারীঘটিত ঘটনার জের। যা আহতের জ্ঞান অবস্থায় কারা এ কাজ করেছে তা সে তাদের কাছে প্রকাশ করেছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। এখনো লিখিত কিংবা মৌখিক কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments