সৌদি আরবে দুই ধর্মীয় নেতা গ্রেফতার
সৌদি আরবের এক প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর হয়েছে। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের সূত্রে খবরটি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই পোস্টের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শনিবার অথবা রোববার প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা শেখ সালমান আল-আবদাহকে আটক করা হয়েছে। তার মতো আরেকজন ধর্মীয় নেতাকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আল-আবদাহর এক কোটি ৪০ লাখ অনুসারী আছে। সৌদি আরবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রচারণা চালানোর জন্য ১৯৯৪-৯৯ পর্যন্ত কারাবন্দী ছিলেন তিনি। দেশটির চূড়ান্ত ক্ষমতাসম্পন্ন শাসকদের সমালোচনাকারী হিসেবে বিবেচিত ইসলামপন্থীদের দমনের উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর বিরোধ মিটে যেতে পারে, শুক্রবার প্রকাশিত এমন একটি খবরকে টুইটারে নিজের শেষ পোস্টে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। ওই খবরে বলা হয়েছিল, জুনে শুরু হওয়া বিরোধ মেটানোর পথ নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এর প্রতিক্রিয়ায় টুইটার পোস্টে আবদাহ বলেন, ‘তাদের জনগণের মঙ্গলের জন্য আল্লাহ তাদের পরস্পরের হৃদয়কে মিলিয়ে দিন।’ কিন্তু ‘সত্য ঘটনা বিকৃতির’ অভিযোগ তুলে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে সংলাপ স্থগিত করলে দুই পক্ষের বিরোধ মেটানোর আশা নিভে যায়। কাতার ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে এমন অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। অবশ্য কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আবদাহকে নিয়ে গত সপ্তাহে সৌদি কর্তৃপক্ষ দুইজন ধর্মীয় নেতা ও অপর ১৮ জনকে আটক করেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোতে বলা হয়েছে, টুইটারে ২২ লাখ অনুসারী থাকা আরেকজন প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা আওয়াদ আল কারনিকে আটক করা হয়েছে। আবদাহের মতো কারনিও কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর বিরোধ মিটিয়ে ফেলার পক্ষে কথা বলেছিলেন। এই দুই ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়ে মন্তব্যের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সৌদি আরবের কোনো কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ক্রিমিয়ার তাতার নেতার জেল
বিবিসি
তার আইনজীবী বলেছেন, ‘এই কারাদণ্ড বেআইনি এবং তাকে ইউক্রেনে প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করা হবে’। ক্রিমিয়ার মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ তুর্কি ভাষী তাতার, ১৯৯৯ সাল থেকে তাদের ৩৩ জন পার্লামেন্ট সদস্যকে ইউক্রেন বৈধতা দিয়ে রেখেছিল। তবে রাশিয়া তাদের চরমপন্থী সংগঠন বলে গণ্য করে।
২০১৪ সালে কয়েক মাস টানা আন্দোলন চলার পর ইউক্রেনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হলে রাশিয়ান বাহিনী ক্রিমিয়া উপদ্বীপে আক্রমণ করে। এতে তাতার সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা মুসা মুস্তফা ডেমহিমাইলসহ অনেকে পালিয়ে যান। তবে একাধিক রিপোর্টে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ক্রিমিয়া তাতার নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরির সদস্য হওয়ায় তাতারদের চারটি গ্রুপের একটিকে চলতি বছর দোষী সাব্যস্ত করেছে। সোমবার ক্রিমিয়ার সুপ্রিম কোর্ট চাইগোজের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় অংশ নেয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে জেল দিয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
No comments