জেল থেকে দুর্ধর্ষ অপরাধী উধাও
ঢাকার জেল থেকে দুর্ধর্ষ এক অপরাধী লাপাত্তা। রাজধানীর আলোচিত দুই কোটি
টাকা মুক্তিপণের শিশু অপহরণকারী এই অপরাধীর নাম মিজানুর রহমান মিজান।
তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারাগার থেকে কীভাবে উধাও হলো—এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব নেই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা বলছেন, মিজানুরের খোঁজ না পাওয়ায় তারাও চিন্তিত। আর এ কারণে নির্ধারিত তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতেও হাজির করা সম্ভব হয়নি। কারাগারের মতো একটি কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থেকে দুর্ধর্ষ একজন অপরাধীর হাওয়া হয়ে যাওয়ার মতো নজিরবিহীন ঘটনায় তোলপাড় এখন সংশ্লিষ্ট মহলে। তারা বলছেন, মিজানুর কী পালিয়েছে, নাকি জালিয়াতি করে মুক্ত হয়েছে—তা দ্রুত বের করা উচিত। সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ২৪ আগস্ট মিজানুর রহমান মিজানকে শিশু অপহরণ মামলায় ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের হাজিরের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ মামলার অন্য আসামি হাজির করা হলেও মিজানুরকে হাজির করা হয়নি। মূলত তখনই আসামি লাপাত্তার বিষয়টি ফাঁস হয়। পরে কারাগারে খোঁজ নেওয়া হলেও মিজানুরের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফোরকান মিয়া বলেন, নারী ও শিশু ৫০০/১৫ নম্বর মামলার আসামি মিজানুরকে আদালত থেকে কোনো জামিন দেওয়া হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষও আদালতকে আসামির বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। যোগাযোগ করা হলে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। তবে এখন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ’ ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আসামি মিজানুরের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারব না। ’ কারাগারের একটি সূত্র জানায়, মিজানুরের লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি জানাজানির পর কারা কর্মকর্তারা উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে। কোন উপায়ে মিজানুর কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছে, বা তাকে কেন পাওয়া যাচ্ছে না—কারা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। স্পর্শকাতর বিধায় তারা গোপনীয়তা রক্ষা করছেন। এ বিষয়ে কেউ সেভাবে মুখ খুলছেন না। তবে গোপনে তদন্ত করছেন কর্মকর্তারা। কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, মিজানুর রহমান কোনো ভুয়া জামিননামা দেখিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেল কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা অতীতে বেশ কয়েকটি ধরা পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তবে ভুয়া জামিননামা দিয়ে মুক্তি পাওয়ার বিষয় কারা কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারবে না। এখানে দায়িত্বে অবহেলার বিষয় রয়েছে কি-না, সেটিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালের ২ মে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে আট বছর বয়সী শিশু অপহূত হয় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে। শিশুটির বাবা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তার সন্তানকে ফেরত পান চারদিন পর। এ ঘটনায় শিশুটির মামা এনায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১২ দিন পর র্যাব অভিযান চালিয়ে ওই অপহরণে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করে মুক্তিপণের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল। গ্রেফতারকৃতরা হলো মিজানুর রহমান মিজান, রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন মো. বাবর ও শাহ মো. অলিউল্যা। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান টিএনজেড গ্রুপের কর্মী। টিএনজেড গ্রুপের মালিক পক্ষের একজনের সন্তানকেই তারা অপহরণ করে। মিজানুরসহ অন্যরাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিশু আবির উত্তরার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাকে অপহরণের জন্য প্রায় এক বছর ধরে পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও তথ্য সংগ্রহ করেছিল অপহরণকারীরা। এজন্য পল্লবীতে একটি বাসাও ভাড়া করা হয়। তারা নিয়মিত শিশুটির গতিপথ অনুসরণ করে। যে মাদ্রাসায় শিশুটি পড়ে, সেই মাদ্রাসায় পরিচিত একজনের বাচ্চাকে ভর্তিও করে অপহরণকারীরা। এ ছাড়া অপহরণকারীদের সঙ্গে যুক্ত টিএনজেড গ্রুপের তিন কর্মী বিশেষ করে গাড়িচালক রেজাউল নিয়মিত তথ্য দিত। পরে ২ মে শিশুটি গাড়িতে করে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে বনানী উড়ালসড়কের নিচে অপহরণকারীরা তিনটি গাড়ি নিয়ে ওই গাড়ির গতিরোধ করে। নিজেদের একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শিশুটি, ওই গাড়ির চালক ও শিশুটির তত্ত্বাবধানকারীকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। প্রথমে শিশুটিকে তারা আশ্বস্ত করে যে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, অপরাধীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে এসেছে। এরপর শিশুটিকে নিয়ে তারা পল্লবীর ভাড়া বাসায় যায়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শিশুটি কাঁদতে থাকে। অপহরণকারীরা শিশুটির বাবাকে ফোন করে তার কান্নার শব্দ শোনায়। শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। শুরু হয় দর-কষাকষি। ওই রাতেই শিশুটিকে বহনকারী গাড়িটি ৩০০ ফুট (পূর্বাচল) সড়কে গাড়ির চালক ও তত্ত্বাবধানকারীসহ বিমানবন্দর এলাকায় ফেলে রেখে আসে অপহরণকারীরা। চার দিন দর-কষাকষির পর দুই কোটি টাকায় রফা হয়। পরে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা অপহরণকারীদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হোটেল র্যাডিসনের সামনে ২৭ লাখ নগদ টাকা নিয়ে নিজেই অপহরণকারীদের দেন শিশুটির বাবা। এরপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা অপহরণকারীরা শিশুকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়। ব্যবসায়ী তার সন্তানকে ফিরে পাওয়ার পর অপহরণকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। র্যাব বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব থেকে অপহরণকারীদের টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। তাদের আটকের পর মিজানুরকে নিয়ে ব্যাংক থেকে ওই টাকা তোলা হয়। আটক হওয়া টিএনজেড গ্রুপের গাড়িচালক রেজাউল স্বীকারোক্তিতে জানায়, আটক মিজানুর তাদের নেতা। বিভিন্ন সময় রেজাউল তার গাড়িতে করে নগদ টাকা আনা-নেওয়া করত। মিজানুর সেই টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরে তাদের মনে হয় যে মালিকের ছেলেকে অপহরণ করলে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে। সেই ধারণা থেকে তারা পরিকল্পনা শুরু করে। পুরো ঘটনায় ১৪ জনের মতো যুক্ত ছিল। মামলার তদন্তের পর মোট আটজনের বিরুদ্ধ চার্জশিট দাখিল করা হয়। তাদের দলনেতা মিজানুরই কারাগার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে।
তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারাগার থেকে কীভাবে উধাও হলো—এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব নেই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। তারা বলছেন, মিজানুরের খোঁজ না পাওয়ায় তারাও চিন্তিত। আর এ কারণে নির্ধারিত তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতেও হাজির করা সম্ভব হয়নি। কারাগারের মতো একটি কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থেকে দুর্ধর্ষ একজন অপরাধীর হাওয়া হয়ে যাওয়ার মতো নজিরবিহীন ঘটনায় তোলপাড় এখন সংশ্লিষ্ট মহলে। তারা বলছেন, মিজানুর কী পালিয়েছে, নাকি জালিয়াতি করে মুক্ত হয়েছে—তা দ্রুত বের করা উচিত। সূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ২৪ আগস্ট মিজানুর রহমান মিজানকে শিশু অপহরণ মামলায় ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার ১০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের হাজিরের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ মামলার অন্য আসামি হাজির করা হলেও মিজানুরকে হাজির করা হয়নি। মূলত তখনই আসামি লাপাত্তার বিষয়টি ফাঁস হয়। পরে কারাগারে খোঁজ নেওয়া হলেও মিজানুরের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফোরকান মিয়া বলেন, নারী ও শিশু ৫০০/১৫ নম্বর মামলার আসামি মিজানুরকে আদালত থেকে কোনো জামিন দেওয়া হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষও আদালতকে আসামির বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। যোগাযোগ করা হলে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। তবে এখন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ’ ডেপুটি জেলার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আসামি মিজানুরের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারব না। ’ কারাগারের একটি সূত্র জানায়, মিজানুরের লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি জানাজানির পর কারা কর্মকর্তারা উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছে। কোন উপায়ে মিজানুর কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছে, বা তাকে কেন পাওয়া যাচ্ছে না—কারা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। স্পর্শকাতর বিধায় তারা গোপনীয়তা রক্ষা করছেন। এ বিষয়ে কেউ সেভাবে মুখ খুলছেন না। তবে গোপনে তদন্ত করছেন কর্মকর্তারা। কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, মিজানুর রহমান কোনো ভুয়া জামিননামা দেখিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেল কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা অতীতে বেশ কয়েকটি ধরা পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তবে ভুয়া জামিননামা দিয়ে মুক্তি পাওয়ার বিষয় কারা কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারবে না। এখানে দায়িত্বে অবহেলার বিষয় রয়েছে কি-না, সেটিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালের ২ মে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবিতে আট বছর বয়সী শিশু অপহূত হয় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে। শিশুটির বাবা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তার সন্তানকে ফেরত পান চারদিন পর। এ ঘটনায় শিশুটির মামা এনায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১২ দিন পর র্যাব অভিযান চালিয়ে ওই অপহরণে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করে মুক্তিপণের টাকাসহ অন্যান্য মালামাল। গ্রেফতারকৃতরা হলো মিজানুর রহমান মিজান, রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন মো. বাবর ও শাহ মো. অলিউল্যা। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান টিএনজেড গ্রুপের কর্মী। টিএনজেড গ্রুপের মালিক পক্ষের একজনের সন্তানকেই তারা অপহরণ করে। মিজানুরসহ অন্যরাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিশু আবির উত্তরার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তাকে অপহরণের জন্য প্রায় এক বছর ধরে পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও তথ্য সংগ্রহ করেছিল অপহরণকারীরা। এজন্য পল্লবীতে একটি বাসাও ভাড়া করা হয়। তারা নিয়মিত শিশুটির গতিপথ অনুসরণ করে। যে মাদ্রাসায় শিশুটি পড়ে, সেই মাদ্রাসায় পরিচিত একজনের বাচ্চাকে ভর্তিও করে অপহরণকারীরা। এ ছাড়া অপহরণকারীদের সঙ্গে যুক্ত টিএনজেড গ্রুপের তিন কর্মী বিশেষ করে গাড়িচালক রেজাউল নিয়মিত তথ্য দিত। পরে ২ মে শিশুটি গাড়িতে করে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে বনানী উড়ালসড়কের নিচে অপহরণকারীরা তিনটি গাড়ি নিয়ে ওই গাড়ির গতিরোধ করে। নিজেদের একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শিশুটি, ওই গাড়ির চালক ও শিশুটির তত্ত্বাবধানকারীকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। প্রথমে শিশুটিকে তারা আশ্বস্ত করে যে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, অপরাধীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে এসেছে। এরপর শিশুটিকে নিয়ে তারা পল্লবীর ভাড়া বাসায় যায়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে শিশুটি কাঁদতে থাকে। অপহরণকারীরা শিশুটির বাবাকে ফোন করে তার কান্নার শব্দ শোনায়। শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। শুরু হয় দর-কষাকষি। ওই রাতেই শিশুটিকে বহনকারী গাড়িটি ৩০০ ফুট (পূর্বাচল) সড়কে গাড়ির চালক ও তত্ত্বাবধানকারীসহ বিমানবন্দর এলাকায় ফেলে রেখে আসে অপহরণকারীরা। চার দিন দর-কষাকষির পর দুই কোটি টাকায় রফা হয়। পরে তিনটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা অপহরণকারীদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হোটেল র্যাডিসনের সামনে ২৭ লাখ নগদ টাকা নিয়ে নিজেই অপহরণকারীদের দেন শিশুটির বাবা। এরপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা অপহরণকারীরা শিশুকে তার বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয়। ব্যবসায়ী তার সন্তানকে ফিরে পাওয়ার পর অপহরণকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। র্যাব বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব থেকে অপহরণকারীদের টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। তাদের আটকের পর মিজানুরকে নিয়ে ব্যাংক থেকে ওই টাকা তোলা হয়। আটক হওয়া টিএনজেড গ্রুপের গাড়িচালক রেজাউল স্বীকারোক্তিতে জানায়, আটক মিজানুর তাদের নেতা। বিভিন্ন সময় রেজাউল তার গাড়িতে করে নগদ টাকা আনা-নেওয়া করত। মিজানুর সেই টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরে তাদের মনে হয় যে মালিকের ছেলেকে অপহরণ করলে আরও বেশি টাকা পাওয়া যাবে। সেই ধারণা থেকে তারা পরিকল্পনা শুরু করে। পুরো ঘটনায় ১৪ জনের মতো যুক্ত ছিল। মামলার তদন্তের পর মোট আটজনের বিরুদ্ধ চার্জশিট দাখিল করা হয়। তাদের দলনেতা মিজানুরই কারাগার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে।
No comments