দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সারোয়ার ও ম্যাক্সনের মুক্তি নিয়ে চট্টগ্রামে তোলপাড়
দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ও র্যাব-পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী
সারোয়ার হোসেন ও নুরন্নবী ম্যাক্সনের জেল থেকে মুক্তি নিয়ে তোলপাড় চলছে।
ছয় বছর আগে শক্তিশালী একে-৪৭ অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন তারা।
এরপর চার দেয়ালে বন্দী থেকেই আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। কিন্তু ৩১ আগস্ট রাতে তারা প্রচলিত নিয়ম ভেঙে জামিনে মুক্তি পান বলে অভিযোগ উঠেছে। নজিরবিহীন গোপনীয় এই মুক্তি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। এ ঘটনার জন্য পরস্পর দোষারোপ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারোয়ার ও ম্যাক্সনের জামিনের বিষয়টি জানায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তাই তাদের জামিনে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানতাম না। ’ জামিনের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না বলে জানান সিএমপির মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আকরামুল হোসেনও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কারাবন্দী সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন ও নুরন্নবী ম্যাক্সন সবকটি মামলায় জামিন পান আরও দুই মাস আগে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় তারা বের হননি। অবশেষে সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করার পর ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় মুক্তি নেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০টা ও বিকাল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দুই দফা বন্দীদের মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে দুই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীকে রাত সাড়ে ৮টায় মুক্তি দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান নিয়ম অনুযায়ী দুর্ধর্ষ বন্দীর মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জামিনের সব কাগজপত্র এলে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। এরপর সবুজ সংকেত পেলেই মুক্তি দেওয়া হয় বন্দীদের। সারোয়ার ও ম্যাক্সনের ক্ষেত্রেও সব নিয়ম আমরা অনুসরণ করেছি।
সব সংস্থার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেতে দেরি হওয়ায় মুক্তি দিতে রাত হয়। ’ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সাজ্জাদের হাত ধরে চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে এসে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেন সন্ত্রাসী সারোয়ার ও ম্যাক্সন। এ দুই সন্ত্রাসীর মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট এমনকি জুতায় পর্যন্ত মিল রেখে চলতেন সারোয়ার ও ম্যাক্সন। গোপন তথ্যে ২০১১ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে একে-৪৭ রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। এর আগে থেকেই তাদের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, অপহরণসহ নানা অভিযোগে থানায় জমতে থাকে মামলা। ২০১১ সালে গ্রেফতারের সময় দুজনের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা ছিল। গ্রেফতারের পর কারাগারে একই সেলে থাকতেন দুই সন্ত্রাসী। আদালতে আইনি লড়াইও চালান একসঙ্গে। অভিযোগ রয়েছে, সারোয়ার-ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলায় সাক্ষীরা ঠিকমতো সাক্ষ্য দিতে পারেননি। তাদের অনুগত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ কেউ তুলে নিয়েছেন মামলাও। ফলে একের পর এক মামলা থেকে দায় পেতে থাকেন দুজনই। এর পরও গত বছর অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ১৭ বছর করে সাজা হয় সারোয়ার ও ম্যাক্সনের। সর্বশেষ হিসাবে ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে ৬ আর সারোয়ারের নামে ৯টি মামলা ছিল। এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তারা। আপিলের শর্তে সাজা হওয়া মামলায়ও জামিন মেলে দুই সন্ত্রাসীর। পুলিশের সূত্রমতে, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার ও ম্যাক্সন ভারতে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। হালে তাদের সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরেছে। গ্রেফতারের পর সাজ্জাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পর তাদের গুরু হন আরেক শিবির ক্যাডার নাছির। চট্টগ্রামের আলোচিত আট হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এই নাছির। তবে মাস দু-এক আগে নাছিরের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয় সারোয়ার ও মাক্সনের।
এরপর চার দেয়ালে বন্দী থেকেই আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। কিন্তু ৩১ আগস্ট রাতে তারা প্রচলিত নিয়ম ভেঙে জামিনে মুক্তি পান বলে অভিযোগ উঠেছে। নজিরবিহীন গোপনীয় এই মুক্তি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। এ ঘটনার জন্য পরস্পর দোষারোপ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারোয়ার ও ম্যাক্সনের জামিনের বিষয়টি জানায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তাই তাদের জামিনে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানতাম না। ’ জামিনের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন না বলে জানান সিএমপির মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আকরামুল হোসেনও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কারাবন্দী সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন ও নুরন্নবী ম্যাক্সন সবকটি মামলায় জামিন পান আরও দুই মাস আগে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় তারা বের হননি। অবশেষে সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করার পর ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় মুক্তি নেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০টা ও বিকাল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দুই দফা বন্দীদের মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে দুই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীকে রাত সাড়ে ৮টায় মুক্তি দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান নিয়ম অনুযায়ী দুর্ধর্ষ বন্দীর মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জামিনের সব কাগজপত্র এলে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। এরপর সবুজ সংকেত পেলেই মুক্তি দেওয়া হয় বন্দীদের। সারোয়ার ও ম্যাক্সনের ক্ষেত্রেও সব নিয়ম আমরা অনুসরণ করেছি।
সব সংস্থার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেতে দেরি হওয়ায় মুক্তি দিতে রাত হয়। ’ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সাজ্জাদের হাত ধরে চট্টগ্রামের অপরাধ জগতে এসে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেন সন্ত্রাসী সারোয়ার ও ম্যাক্সন। এ দুই সন্ত্রাসীর মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট এমনকি জুতায় পর্যন্ত মিল রেখে চলতেন সারোয়ার ও ম্যাক্সন। গোপন তথ্যে ২০১১ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে একে-৪৭ রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। এর আগে থেকেই তাদের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, অপহরণসহ নানা অভিযোগে থানায় জমতে থাকে মামলা। ২০১১ সালে গ্রেফতারের সময় দুজনের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা ছিল। গ্রেফতারের পর কারাগারে একই সেলে থাকতেন দুই সন্ত্রাসী। আদালতে আইনি লড়াইও চালান একসঙ্গে। অভিযোগ রয়েছে, সারোয়ার-ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলায় সাক্ষীরা ঠিকমতো সাক্ষ্য দিতে পারেননি। তাদের অনুগত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ কেউ তুলে নিয়েছেন মামলাও। ফলে একের পর এক মামলা থেকে দায় পেতে থাকেন দুজনই। এর পরও গত বছর অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ১৭ বছর করে সাজা হয় সারোয়ার ও ম্যাক্সনের। সর্বশেষ হিসাবে ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে ৬ আর সারোয়ারের নামে ৯টি মামলা ছিল। এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তারা। আপিলের শর্তে সাজা হওয়া মামলায়ও জামিন মেলে দুই সন্ত্রাসীর। পুলিশের সূত্রমতে, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার ও ম্যাক্সন ভারতে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। হালে তাদের সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরেছে। গ্রেফতারের পর সাজ্জাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পর তাদের গুরু হন আরেক শিবির ক্যাডার নাছির। চট্টগ্রামের আলোচিত আট হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এই নাছির। তবে মাস দু-এক আগে নাছিরের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয় সারোয়ার ও মাক্সনের।
No comments