রাজপথের আন্দোলন সর্বশেষ বিকল্প বিএনপির কাছে
একাদশ সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে সহায়ক সরকারসহ দলের নানা দাবি পূরণে রাজপথের আন্দোলনকে ‘সর্বশেষ বিকল্প’ হিসেবে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন
নিশ্চিত করতে এখন থেকে আরো ৪ থেকে ৬ মাস সরকারকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে যাবেন তারা। সরকার কোনো সংলাপে বসতে রাজি না হলে তারা কঠোর কর্মসূচির কথা চিন্তা করবেন। যদিও দলটির নেতারা মনে করছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন করা সরকারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। পরে তা নিয়ে জনমত সৃষ্টি করা হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে জনসংযোগমূলক কর্মসূচি আসবে।
তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক কিংবা সহায়ক সরকার যেটিই হোকÑ নিরপেক্ষ একটি ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। তবে সেই সরকারের প্রধান কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সমঝোতা হতে পারে। এটি নিয়ে শুধু বিএনপি না, সরকার অন্যান্য দলের সাথেও আলোচনায় বসতে পারে। যদি সরকার আলোচনার পথে না আসে তখন আমরা বাধ্য হবো আন্দোলনের জন্য। যদি আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি, তাহলে ২০১৪ সালের উদাহরণ আছে। এ ঝুঁকি বাংলাদেশ আবার নেবে কি নাÑ সেটি হচ্ছে বিষয়।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি।
বিএনপির অভ্যন্তরে এখন একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ভাবনা কাজ করছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই দলটির। নেতারা বলছেন, বিএনপিতে প্রার্থীর কোনো প্রভাব নেই। নির্বাচনে অংশ নিলে ‘ডু অর ডাই’ ধরে নিয়ে সাংগঠনিক সব সমস্যাও সমাধান হয়ে যাবে। নেতাকর্মীরা সব ভেদাভেদ ভুলে এককাতারে এসে দল মনোনীত প্রার্থীকেই বিজয়ী করার জন্য কাজ করবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির চিন্তা মূলত অন্য জায়গায় : সেটি হচ্ছে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’।
দলটির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক। কিন্তু তার আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বেশ কয়েকটি ইস্যুতে রাজনৈতিক মতৈক্য হতে হবে। নির্বাচনের মাঠ যেমন সমতল করতে হবে, তেমনি নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন কেমন হবে তারও ফায়সালা করতে হবে।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বেশ সতর্কভাবে এগোচ্ছে। নির্বাচনের প্রতি অতি উৎসাহ দেখানোর পক্ষপাতী নয় তারা। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করেই ধাপে ধাপে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচন এখনো অনেক দূরে থাকায় দলটি দাবি-দাওয়ার মধ্যেই আরো কয়েকটি মাস পার করতে চায়। কোনো ধরনের সমঝোতা না হলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে সর্বাত্মক আন্দোলনের পথ বেছে নেয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রথমত; সহায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরা, দ্বিতীয়ত; নানা তৎপরতার মাধ্যমে আলোচনা ও সমঝোতার পথে সরকারকে টেনে আনা এবং তৃতীয়ত; আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা দলটির পরিকল্পনায় রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো সঙ্ঘাতে যেতে চায় না। সত্যিকার অর্থেই একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে আগামী নির্বাচন হোক, সেটি তারা চায়। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপে সহায়ক সরকার চাই। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতে চাই, সমঝোতা করতে চাই। আমরা আশা করছি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
নিশ্চিত করতে এখন থেকে আরো ৪ থেকে ৬ মাস সরকারকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে যাবেন তারা। সরকার কোনো সংলাপে বসতে রাজি না হলে তারা কঠোর কর্মসূচির কথা চিন্তা করবেন। যদিও দলটির নেতারা মনে করছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন করা সরকারের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। পরে তা নিয়ে জনমত সৃষ্টি করা হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে জনসংযোগমূলক কর্মসূচি আসবে।
তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক কিংবা সহায়ক সরকার যেটিই হোকÑ নিরপেক্ষ একটি ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। তবে সেই সরকারের প্রধান কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সমঝোতা হতে পারে। এটি নিয়ে শুধু বিএনপি না, সরকার অন্যান্য দলের সাথেও আলোচনায় বসতে পারে। যদি সরকার আলোচনার পথে না আসে তখন আমরা বাধ্য হবো আন্দোলনের জন্য। যদি আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি, তাহলে ২০১৪ সালের উদাহরণ আছে। এ ঝুঁকি বাংলাদেশ আবার নেবে কি নাÑ সেটি হচ্ছে বিষয়।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি।
বিএনপির অভ্যন্তরে এখন একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা ভাবনা কাজ করছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই দলটির। নেতারা বলছেন, বিএনপিতে প্রার্থীর কোনো প্রভাব নেই। নির্বাচনে অংশ নিলে ‘ডু অর ডাই’ ধরে নিয়ে সাংগঠনিক সব সমস্যাও সমাধান হয়ে যাবে। নেতাকর্মীরা সব ভেদাভেদ ভুলে এককাতারে এসে দল মনোনীত প্রার্থীকেই বিজয়ী করার জন্য কাজ করবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির চিন্তা মূলত অন্য জায়গায় : সেটি হচ্ছে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’।
দলটির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক। কিন্তু তার আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বেশ কয়েকটি ইস্যুতে রাজনৈতিক মতৈক্য হতে হবে। নির্বাচনের মাঠ যেমন সমতল করতে হবে, তেমনি নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন কেমন হবে তারও ফায়সালা করতে হবে।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বেশ সতর্কভাবে এগোচ্ছে। নির্বাচনের প্রতি অতি উৎসাহ দেখানোর পক্ষপাতী নয় তারা। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করেই ধাপে ধাপে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচন এখনো অনেক দূরে থাকায় দলটি দাবি-দাওয়ার মধ্যেই আরো কয়েকটি মাস পার করতে চায়। কোনো ধরনের সমঝোতা না হলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে সর্বাত্মক আন্দোলনের পথ বেছে নেয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রথমত; সহায়ক সরকারের রূপরেখা তুলে ধরা, দ্বিতীয়ত; নানা তৎপরতার মাধ্যমে আলোচনা ও সমঝোতার পথে সরকারকে টেনে আনা এবং তৃতীয়ত; আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা দলটির পরিকল্পনায় রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনো সঙ্ঘাতে যেতে চায় না। সত্যিকার অর্থেই একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে আগামী নির্বাচন হোক, সেটি তারা চায়। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপে সহায়ক সরকার চাই। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতে চাই, সমঝোতা করতে চাই। আমরা আশা করছি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
No comments