মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে লুটেরাদের কবলে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও রাখাইন সম্প্রদায়ের
নির্যাতনের শিকার হয়ে দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে
পুরুষ যুবকের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করার পাশাপাশি মহিলাদের গলা কেটে
হত্যা করা হচ্ছে। শিশুদের নিক্ষেপ করা হচ্ছে আগুনে। তাই ওপারে মৃতে্যুর মুখ
থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা এপারে আসছে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে, কিন্ত
এপারে এসেও দুঃসপ্ন যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না। পালিয়ে এসে পড়ছে লুটেরাদের
হাতে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান নেওয়া এসব লুটেরা পালিয়ে আসা
রোহিঙ্গাদের স্বর্ণ,মুল্যবান জিনিস পত্র সহ গরু মহিষ ও ছাগল কেড়ে নিচ্ছে।
পাশপাশি যুবতী নারী নির্যাতন করারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় আইনশৃংখলা
বাহিনীর কাছে এ সংত্রুান্ত বেশকিছু অভিযোগ গেলেও লুটেরাদের লুটপাট
থামেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সীমান্তর রোজু আমতলী ও হাতিমুরা সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে দলে দলে রোহিঙ্গার ¯্রােত। এসব রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করে টমটম ও বিভিন্ন গাড়ী যোগে দালালের সহায়তায় পৌছে যাচ্ছে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী বস্তিতে। এদের কেউ কেউ চলে গাড়ী যোগে দুরদুরান্তে দেশের আনাচে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রেজু আমতলী পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৩ মহিলার ৮ টি গরু মারধর করে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় লুটেরারা। রাস্তার পাশে এ তিন মহিলাকে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে আজাহারি করতে দেখা যায়। একই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের লেইনছি পাড়া গ্রামের ৭৫ বছরের বৃদ্ধ নবী হোসেনের ৬ টি গরু জোরপূর্বক কেড়ে নেয় দুবৃত্তরা। গত বুধবার সন্ধ্যায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেম্বার মোজাম্মেল ও মুছা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নাইচ্ছাদং পাড়ার ফকির আহামদের পুত্র এহসান ও মৃত মোস্তফার পুত্র খলিলের ১২ টি মহিষ লুট করে তার এলাকায় নিয়ে যায়। এসব মহিষ থেকে ২ মেম্বার ৪ টি রেখে বাকী ৮ টি মহিষ বাইরে বিত্রিু করে দেয়। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটি। পরে বুধবার রাতে উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীকে ডেকে এনে লুটকৃত মহিষগুলো উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের জিম্মায নিতে নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় লুটেরাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন,লুটকৃত মহিষগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বুধবার রাতেও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় জনগন জানান। হাতিমুরা গ্রামের ফজল করিম জানান, সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে জমজমাট ব্যবসা শুরু হয়েছে,কোন রোহিঙ্গার দল বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করলেই পড়ছে লুটেরাদের কবলে। এসব লুটেরারা মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ব্যাপক মারধর করে তল্লাসী পূর্বক সবকিছু কেটে নিচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সাথে করে নিয়ে আসা শত শত গরু,মহিষ,ছাগল ও স্বর্ণ সহ মুল্যবান জিনিস কেড়ে নিচ্ছে লুটেরার দল। এটা এখন বাংলাদেশ সীমান্তবতী এলাকা রেজু আমাতলী,হাতিমুরা,দরগা বিল ডেইলপাড়ার প্রতিদিনকার চিত্র কিছুদুর পর পর এসব লুটেরার দল উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী বস্তি মুখী রোহিঙ্গাদের বহনকারী গাড়ী তল্লাসী চালিয়ে রোহিঙ্গাদের উপর চরম নির্যাতনের পর সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। রাতের আধারে মিয়ানমার থেকে সীমান্তে পেরিয়ে আসা যুবতী নারীদেরও অহরহন করা হচ্ছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মন্জুরুল হাসান খান বলেন, সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এরকম কোন ঘটনা ঘটার কথা নয়। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার সময় বেশকিছু গরু আটক করেছে বিজিবি। তাছাড়া যাতে বাংলাদেশের কোথাও নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সীমান্তর রোজু আমতলী ও হাতিমুরা সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে দলে দলে রোহিঙ্গার ¯্রােত। এসব রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করে টমটম ও বিভিন্ন গাড়ী যোগে দালালের সহায়তায় পৌছে যাচ্ছে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী বস্তিতে। এদের কেউ কেউ চলে গাড়ী যোগে দুরদুরান্তে দেশের আনাচে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে রেজু আমতলী পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকালে ৩ মহিলার ৮ টি গরু মারধর করে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় লুটেরারা। রাস্তার পাশে এ তিন মহিলাকে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে আজাহারি করতে দেখা যায়। একই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের লেইনছি পাড়া গ্রামের ৭৫ বছরের বৃদ্ধ নবী হোসেনের ৬ টি গরু জোরপূর্বক কেড়ে নেয় দুবৃত্তরা। গত বুধবার সন্ধ্যায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেম্বার মোজাম্মেল ও মুছা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নাইচ্ছাদং পাড়ার ফকির আহামদের পুত্র এহসান ও মৃত মোস্তফার পুত্র খলিলের ১২ টি মহিষ লুট করে তার এলাকায় নিয়ে যায়। এসব মহিষ থেকে ২ মেম্বার ৪ টি রেখে বাকী ৮ টি মহিষ বাইরে বিত্রিু করে দেয়। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটি। পরে বুধবার রাতে উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীকে ডেকে এনে লুটকৃত মহিষগুলো উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের জিম্মায নিতে নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় লুটেরাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন,লুটকৃত মহিষগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বুধবার রাতেও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় জনগন জানান। হাতিমুরা গ্রামের ফজল করিম জানান, সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে জমজমাট ব্যবসা শুরু হয়েছে,কোন রোহিঙ্গার দল বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করলেই পড়ছে লুটেরাদের কবলে। এসব লুটেরারা মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ব্যাপক মারধর করে তল্লাসী পূর্বক সবকিছু কেটে নিচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সাথে করে নিয়ে আসা শত শত গরু,মহিষ,ছাগল ও স্বর্ণ সহ মুল্যবান জিনিস কেড়ে নিচ্ছে লুটেরার দল। এটা এখন বাংলাদেশ সীমান্তবতী এলাকা রেজু আমাতলী,হাতিমুরা,দরগা বিল ডেইলপাড়ার প্রতিদিনকার চিত্র কিছুদুর পর পর এসব লুটেরার দল উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী বস্তি মুখী রোহিঙ্গাদের বহনকারী গাড়ী তল্লাসী চালিয়ে রোহিঙ্গাদের উপর চরম নির্যাতনের পর সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। রাতের আধারে মিয়ানমার থেকে সীমান্তে পেরিয়ে আসা যুবতী নারীদেরও অহরহন করা হচ্ছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মন্জুরুল হাসান খান বলেন, সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এরকম কোন ঘটনা ঘটার কথা নয়। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার সময় বেশকিছু গরু আটক করেছে বিজিবি। তাছাড়া যাতে বাংলাদেশের কোথাও নির্যাতনের শিকার না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
No comments