সহায়ক সরকার নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের ব্যাখ্যা সঠিক নয় : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদেরের ব্যাখ্যা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সহায়ক সরকারের ব্যাখ্যা যেটি দিয়েছেন, সেটা বোধহয় সঠিক নয় বলে আমার কাছে মনে হয়। কারণ সহায়ক সরকার বলতে আমরা যেটা বুঝিয়েছি সেটা হচ্ছে যে, নির্বাচনকালীন সম্পূর্ণ দল-নিরপেক্ষ একটি সরকার থাকবে। আওয়ামী লীগের যে চিন্তা, সেই চিন্তার সাথে এর কোনো মিল নেই। আমরা এ কারণে সহায়ক সরকার নিয়ে আলাপ-আলোচনার কথা বলেছি। যাতে সব দল ওই নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারে।’
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে অবশ্যই যেতে চাই, সেই নির্বাচনটা যেন সবার অংশগ্রহণে হয় এবং নিরপেক্ষ হয়, সেটিই আমরা দাবি করে আসছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরকম একটা সরকার তারা চাচ্ছে না। এর মূল কারণটা হচ্ছে যে, তারা একদলীয় একটা শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় একতরফা একটা নির্বাচন করে। আমরা বলতে চাই, এবার এটা সম্ভব হবে না, এবার দেশের মানুষও গ্রহণ করবে না, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তারা কেউ তাদের এই চিন্তাভাবনাগুলো মেনে নেবে না।
সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে- এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একথা কথা তারা বহুবার বলেছে। সংবিধান অনেকবার এর আগে পরিবর্তনও করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে সংবিধান স্থগিত রেখে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে, ’৯৬ সালে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। সুতরাং মানুষের জন্যই তো সংবিধান, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্টির যে আশা-আকাংখা তার প্রতিফলন সংবিধান। প্রয়োজনে সেটা পরিবর্তনও করা যেতে পারে।
সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতলের কেবিনে চিকিৎসাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল।
টাঙ্গাইলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। ফখরুল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর খোঁজ-খবর নেন এবং তার আশু আরোগ্য কামনা করেন।
এ সময়ে অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, ছাত্র নেতা ইসমত কাদির গামা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা, অধ্যাপক নাজিউর রহমান চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
কাদের সিদ্দিকীর পাশে বসে বিএনপি মহাসচিব কথা-বার্তা বলার এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ কেবিন কক্ষে প্রবেশ করেন। বঙ্গবীরের একপাশে মির্জা ফখরুল এবং অন্যপাশে কাজী ফিরোজ বসে আলাপচারিতা করেন কিছুক্ষণ।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি, আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়েছেন যে এটা অমানবিক শুধু নয়, এটা মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারের উচিত যারা এভাবে বিতাড়িত হয়ে আসছে, তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়া এবং মিয়ানমার সরকারের সাথে অতিদ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে সসম্মানে ফেরতের ব্যবস্থা করা।
মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করছে- এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সহায়ক সরকারের ব্যাখ্যা যেটি দিয়েছেন, সেটা বোধহয় সঠিক নয় বলে আমার কাছে মনে হয়। কারণ সহায়ক সরকার বলতে আমরা যেটা বুঝিয়েছি সেটা হচ্ছে যে, নির্বাচনকালীন সম্পূর্ণ দল-নিরপেক্ষ একটি সরকার থাকবে। আওয়ামী লীগের যে চিন্তা, সেই চিন্তার সাথে এর কোনো মিল নেই। আমরা এ কারণে সহায়ক সরকার নিয়ে আলাপ-আলোচনার কথা বলেছি। যাতে সব দল ওই নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারে।’
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে অবশ্যই যেতে চাই, সেই নির্বাচনটা যেন সবার অংশগ্রহণে হয় এবং নিরপেক্ষ হয়, সেটিই আমরা দাবি করে আসছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরকম একটা সরকার তারা চাচ্ছে না। এর মূল কারণটা হচ্ছে যে, তারা একদলীয় একটা শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় একতরফা একটা নির্বাচন করে। আমরা বলতে চাই, এবার এটা সম্ভব হবে না, এবার দেশের মানুষও গ্রহণ করবে না, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তারা কেউ তাদের এই চিন্তাভাবনাগুলো মেনে নেবে না।
সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে- এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একথা কথা তারা বহুবার বলেছে। সংবিধান অনেকবার এর আগে পরিবর্তনও করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে সংবিধান স্থগিত রেখে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে, ’৯৬ সালে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। সুতরাং মানুষের জন্যই তো সংবিধান, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্টির যে আশা-আকাংখা তার প্রতিফলন সংবিধান। প্রয়োজনে সেটা পরিবর্তনও করা যেতে পারে।
সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতলের কেবিনে চিকিৎসাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল।
টাঙ্গাইলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহর তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। ফখরুল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর খোঁজ-খবর নেন এবং তার আশু আরোগ্য কামনা করেন।
এ সময়ে অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, ছাত্র নেতা ইসমত কাদির গামা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা, অধ্যাপক নাজিউর রহমান চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
কাদের সিদ্দিকীর পাশে বসে বিএনপি মহাসচিব কথা-বার্তা বলার এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ কেবিন কক্ষে প্রবেশ করেন। বঙ্গবীরের একপাশে মির্জা ফখরুল এবং অন্যপাশে কাজী ফিরোজ বসে আলাপচারিতা করেন কিছুক্ষণ।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি, আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়েছেন যে এটা অমানবিক শুধু নয়, এটা মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারের উচিত যারা এভাবে বিতাড়িত হয়ে আসছে, তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়া এবং মিয়ানমার সরকারের সাথে অতিদ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে সসম্মানে ফেরতের ব্যবস্থা করা।
মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করছে- এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments