পূজার দিনগুলোতে তৈরি করুন মজাদার সব খাবার।
কড়া নাড়ছে শারদ উৎসব। পূজার দিনগুলোতে তৈরি করুন মজাদার সব খাবার। রেসিপি দিয়েছেন মণিদীপা দাশ
আলু ফুলকপি
উপকরণ: আলু ৪-৫টি, বড় ফুলকপি ১িট, পোস্তবাটা ২ চা-চামচ, নারকেলবাটা ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ২ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ বা পরিমাণমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, এলাচি/দারুচিনি ১টা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ২টি, কাঁচা মরিচ ৬–৭টি, হলুদ/মরিচ/জিরার গুঁড়ো আধা চা-চামচ।
প্রণালি: টুকরো করা আলু ও ফুলকপি ভেজে তুলে রাখতে হবে। ভাজা তেলে পাঁচফোড়ন, পেঁয়াজ, আদাবাটা, পোস্তবাটা, নারকেলবাটা, টমেটো, ভাজা আলু ও ফুলকপি ভালো করে কষিয়ে নিয়ে হলুদ/মরিচ/জিরাগুঁড়ো দিয়ে ২ কাপ গরম পানিতে কম আঁচে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। তরকারি সেদ্ধ হয়ে এলে, ঘি, চিনি, কাঁচামরিচ, এলাচি, দারুচিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
লুচিউপকরণ: ময়দা ২ কাপ, তেল আধা লিটার, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ৫–৬ চা-চামচ, কালিজিরা সামান্য, গুঁড়ো দুধ ২ চা-চামচ।
প্রণালি: ২ কাপ ময়দার সঙ্গে সামান্য কালিজিরা, দুধ, ঘি, ২ চামচ তেল, লবণ ভালো করে কিছুক্ষণ মেখে নিতে হবে। হালকা গরম পানিতে ৩০ মিনিট মিশ্রণটি ময়ান দিয়ে রেখে দিতে হবে।
ময়ানটি ছোট ছোট গোল আকারে বেলে নিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
কড়াইতে আধা লিটার তেল, ২ চামচ ঘি, ভালো করে গরম হওয়ার পর লুচিগুলো একটি পাত্রে তুলে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
দইয়ের শরবতউপকরণ: দই ৪ কাপ, পানি আধা কাপ (ঠান্ডা পানি), বরফকুচি ৪ কিউব, চিনি ২ টেবিল চামচ বা পরিমাণমতো, পুদিনা পাতা ৫–৬টা পাতা, কাঁচা মরিচ ১টা, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: ৪ কাপ দইয়ের সঙ্গে পানি, বরফকুচি, চিনি, পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ, লবণ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
স্টাফ্ড পটলউপকরণ: পটোল ৪টি, সরষেবাটা ৫ টেবিল চামচ, পোস্তবাটা ৪ চা-চামচ, নারকেলবাটা ২ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৮টি, আদা ১ চা–চামচ, চিনি আধা চা–চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ–মরিচ গুঁড়া সামান্য, ধনে পাতা পরিমাণমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ৪টি।
প্রণালি: পটোলগুলো মাঝখানে কেটে নিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। সেদ্ধ করা পটোলের বিচিসহ ভেতরের অংশ বের করে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে ২ চামচ তেল গরম হওয়ার পর ২টা পেঁয়াজের কুচি, সরষেবাটা, পোস্তবাটা, নারকেলবাটা, ৪টি কাঁচা মরিচ কুচি, আদা, লবণ, চিনি, ধনে পাতা কুচি, হলুদ–মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। কষিয়ে নেওয়া মিশ্রণ, সেদ্ধ করা পটোলের মধ্যে একে একে ভরে নিতে হবে। চামচ তেলের মধ্যে কিউব করা কাটা পেঁয়াজ দুটো আদাবাটা, হলুদ–মরিচ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ ও সামান্য লবণ-চিনি দিয়ে কষিয়ে নিয়ে, পুরভরা পটোলগুলো কষানো তেলের মধ্যে বসিয়ে দিয়ে কম আঁচে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। পুরভরা পটোলগুলো উল্টানো যাবে না। সামান্য পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে নিতে হবে।
দই পোস্তের আলুর দম
উপকরণ: আলু মাঝারি ৪–৫িট, দই ১ কাপ (টকদই), পোস্ত ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫–৬টা, লবণ পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো, ঘি ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ ৩টা (কিউব করে কাটা), আদা আধা চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, এলাচি/দারুচিনি ১টি। (একেবারে নিরামিষ করতে চাইলে পেঁয়াজ দেবেন না)
প্রণালি: টুকরো করা আলুগুলো সামান্য তেলে ভেজে নিয়ে তুলে রাখতে হবে।
২ টেবিল চামচ তেলে পেঁয়াজ, আদা, ভাজা আলুগুলো পোস্ত ও দই দিয়ে ভালো করে কষানোর পর পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।
নামানোর আগে ঘি, চিনি, একিট কের এলাচি, দারুচিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
আলু ফুলকপি
উপকরণ: আলু ৪-৫টি, বড় ফুলকপি ১িট, পোস্তবাটা ২ চা-চামচ, নারকেলবাটা ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ২ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ বা পরিমাণমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, এলাচি/দারুচিনি ১টা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ২টি, কাঁচা মরিচ ৬–৭টি, হলুদ/মরিচ/জিরার গুঁড়ো আধা চা-চামচ।
প্রণালি: টুকরো করা আলু ও ফুলকপি ভেজে তুলে রাখতে হবে। ভাজা তেলে পাঁচফোড়ন, পেঁয়াজ, আদাবাটা, পোস্তবাটা, নারকেলবাটা, টমেটো, ভাজা আলু ও ফুলকপি ভালো করে কষিয়ে নিয়ে হলুদ/মরিচ/জিরাগুঁড়ো দিয়ে ২ কাপ গরম পানিতে কম আঁচে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। তরকারি সেদ্ধ হয়ে এলে, ঘি, চিনি, কাঁচামরিচ, এলাচি, দারুচিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
লুচিউপকরণ: ময়দা ২ কাপ, তেল আধা লিটার, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ৫–৬ চা-চামচ, কালিজিরা সামান্য, গুঁড়ো দুধ ২ চা-চামচ।
প্রণালি: ২ কাপ ময়দার সঙ্গে সামান্য কালিজিরা, দুধ, ঘি, ২ চামচ তেল, লবণ ভালো করে কিছুক্ষণ মেখে নিতে হবে। হালকা গরম পানিতে ৩০ মিনিট মিশ্রণটি ময়ান দিয়ে রেখে দিতে হবে।
ময়ানটি ছোট ছোট গোল আকারে বেলে নিয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
কড়াইতে আধা লিটার তেল, ২ চামচ ঘি, ভালো করে গরম হওয়ার পর লুচিগুলো একটি পাত্রে তুলে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
দইয়ের শরবতউপকরণ: দই ৪ কাপ, পানি আধা কাপ (ঠান্ডা পানি), বরফকুচি ৪ কিউব, চিনি ২ টেবিল চামচ বা পরিমাণমতো, পুদিনা পাতা ৫–৬টা পাতা, কাঁচা মরিচ ১টা, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: ৪ কাপ দইয়ের সঙ্গে পানি, বরফকুচি, চিনি, পুদিনা পাতা, কাঁচা মরিচ, লবণ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
স্টাফ্ড পটলউপকরণ: পটোল ৪টি, সরষেবাটা ৫ টেবিল চামচ, পোস্তবাটা ৪ চা-চামচ, নারকেলবাটা ২ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৮টি, আদা ১ চা–চামচ, চিনি আধা চা–চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ–মরিচ গুঁড়া সামান্য, ধনে পাতা পরিমাণমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ৪টি।
প্রণালি: পটোলগুলো মাঝখানে কেটে নিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। সেদ্ধ করা পটোলের বিচিসহ ভেতরের অংশ বের করে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে ২ চামচ তেল গরম হওয়ার পর ২টা পেঁয়াজের কুচি, সরষেবাটা, পোস্তবাটা, নারকেলবাটা, ৪টি কাঁচা মরিচ কুচি, আদা, লবণ, চিনি, ধনে পাতা কুচি, হলুদ–মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। কষিয়ে নেওয়া মিশ্রণ, সেদ্ধ করা পটোলের মধ্যে একে একে ভরে নিতে হবে। চামচ তেলের মধ্যে কিউব করা কাটা পেঁয়াজ দুটো আদাবাটা, হলুদ–মরিচ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ ও সামান্য লবণ-চিনি দিয়ে কষিয়ে নিয়ে, পুরভরা পটোলগুলো কষানো তেলের মধ্যে বসিয়ে দিয়ে কম আঁচে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। পুরভরা পটোলগুলো উল্টানো যাবে না। সামান্য পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে নিতে হবে।
দই পোস্তের আলুর দম
উপকরণ: আলু মাঝারি ৪–৫িট, দই ১ কাপ (টকদই), পোস্ত ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫–৬টা, লবণ পরিমাণমতো, চিনি পরিমাণমতো, ঘি ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ ৩টা (কিউব করে কাটা), আদা আধা চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, এলাচি/দারুচিনি ১টি। (একেবারে নিরামিষ করতে চাইলে পেঁয়াজ দেবেন না)
প্রণালি: টুকরো করা আলুগুলো সামান্য তেলে ভেজে নিয়ে তুলে রাখতে হবে।
২ টেবিল চামচ তেলে পেঁয়াজ, আদা, ভাজা আলুগুলো পোস্ত ও দই দিয়ে ভালো করে কষানোর পর পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে হালকা আঁচে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।
নামানোর আগে ঘি, চিনি, একিট কের এলাচি, দারুচিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
No comments