বাংলাদেশের আকাশে আবার ঢুকল মিয়ানমারের সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টার
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ড্রোন ও হেলিকপ্টার গতকাল বৃহস্পতিবার এবং গত ১০ ও ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে তার কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
আজ রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার ঘটনা তুলে ধরে এই প্রতিবাদলিপিতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লংঘনের মতো ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে সে বিষয় নিশ্চিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রতিবাদলিপিতে দাবি জানিয়ে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনায় অনাকাংক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
রোহিঙ্গাদের জন্য ইরান ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ত্রাণ এসেছে
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ইরান ও ইন্দোনেশিয়া থেকে মোট ৪৮ দশমিক ১৬ টন ত্রাণসামগ্রী শুক্রবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহীম রাহিমপুর তার দেশের ৪১ টন ত্রাণসামগ্রী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু তৈরীর সরঞ্জাম, কম্বল, ভোজ্য তেল ও কাপড়।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় ৭ দশমিক ১৬ টন ত্রাণ নিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি বিমান।
এসব ত্রাণ সামগ্রী উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষংছড়িতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে রোহিঙ্গাদের জন্য গতকাল ভারত থেকে ৫৩ টন এবং মরোক্কো থেকে ১৪ টন ত্রাণ সামগ্রী
বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সরকার ১২ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠায়।
শিগগিরই রোহিঙ্গাদের তালিকা করে আইডি কার্ড দেয়া হবে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শিগগিরই রোহিঙ্গাদের তালিকা করে আইডি কার্ড দেয়া হবে এবং তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সেদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে ও সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেসবাহ উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ খান প্রমুখ।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ বর্তমান আধুনিক বিশ্বের সভ্য সমাজে এক নজিরবিহীন ঘটনা। এই ধরনের গণহত্যার পর অং সান সুচির শান্তির নোবেল পদক আর থাকতে পারে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, নিরস্ত্র রোহিঙ্গা জনগণের উপর হত্যাযজ্ঞ ঘটনা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর যেভাবে বাঙ্গালী নিরস্ত্র জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল আজও একই কায়দায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনে খাদ্য ভাগ করে খাওয়ার যে কথা বলেছেন তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষেই কেবল এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ার সাহস আছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যা যা করার দরকার সবকিছুই করবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ওমর ফারুক অবিলম্বে সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করার জন্য দাবি জানিয়ে বলেন, ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা দেয়ার কথা বলেও তা বিলম্বিত হওয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।
পরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে এক সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
No comments