৪০ দিন আগেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় ‘জঙ্গি’ আনোয়ারকে
রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার
করা হয় নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে। তবে গ্রেফতার এই দুই সদস্যের মধ্যে
আনোয়ারকে একমাস ১০ দিন আগেই সাভার থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে আটক
করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
এমনকি আটক হওয়ার পরের দিনই আনোয়ারের পরিবার এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করেন। পরে ওই ডায়েরির তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রফিকুল ইসলাম ‘নব্য জেএমবি’ আনোয়ারের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তাকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে বলেও জানিয়ে দেয় তার পরিবারকে।
রবিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আনোয়ার নিখোঁজের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়। ওই ডায়েরির তদন্ত শেষে আনোয়ার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে রয়েছে, সেখানে খোঁজ নেওয়ার জন্য নিখোঁজের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আনোয়ারের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন
এদিকে এ ঘটনায় নিখোঁজ আনোয়ারকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করে। তার একটি প্রিন্ট কপি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে আনোয়ারের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন দেখা যায়, ২৩, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরনী, ওয়ার্ড ৫৩, মগবাজার, রমনা, ঢাকা।
আনোয়ারের পরিবার ও একাধিক স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনোয়ার হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকায় দশ বছরেরও বেশি সময় যাবৎ গাড়ি মেরামত ওয়ার্কশপের কাজ করছেন।
আনোয়ার ওয়ার্কশপ নামের তার একটি গ্যারেজ রয়েছে। এখানে তার সঙ্গে তার ছোট ভাই রেজাউল করিমও কাজ করেন। আনোয়ার নিয়মিত তার ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। তাকে অন্যকোনও আড্ডা বা গ্যারেজ বন্ধ রাখতেও দেখেনি স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা বলেন, ‘আনোয়ার এলাকায় সবার সঙ্গেই মিশতেন। তার চলা-ফেরায় আমাদের কখনও কোনও সন্দেহ হয়নি। আর তুলে নিয়ে যাওয়ার একমাস পর পুলিশ কিভাবে তাকে গ্রেফতার করে তাও বুঝতে পারছি না।’
গত ১ আগস্ট সাভার মডেল থানা দায়ের করা জিডি (নং ১৩) সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হেমায়েতপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো ৩১ জুলাই সোমবার সকাল থেকেই কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে গাড়ি ঠিক করার কথা বলে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন তার ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাভার থানায় জিডির কপিআনোয়ারের বড় ভাই আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বড়ি শরীয়তপুর এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার মেজো। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে আমাদের লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। ১২ বছর বয়স থেকেই আনোয়ার গ্যারেজে কাজ করে। সেখানে কাজ শেখার পরে হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেই গাড়ি মেরামতের গ্যারেজ চালু করে। ছোট ভাই রেজাউল করিমও তার সঙ্গে কাজ করতো।’
আলী হোসেন বলেন, ‘ডিবি পুলিশ তার ভাইকে গ্যারেজ থেকে তুলে নিয়ে যায় ৩১ জুলাই। তার দুই ভাই গ্যারেজে কাজ নিয়েই ব্যাস্ত থাকেতেন। জঙ্গি হওয়া তো দূরের কথা, এ সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাও নেই।’
তিনি আরও জানান, ডিবি পুলিশ তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর শোনার পরপরই মা স্ট্রোক করে, গত চার দিন আগে মায়ের মৃত্যু হয়। এর পরের দিন তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাইকে ডিবি পুলিশ রাজধানীর খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘খিলক্ষেত থেকে আমার ভাইকে পুলিশ কিভাবে গ্রেফতার করে, বুঝতে পারছি না। ডিবি পুলিশ এক মাস ১০ দিন আগেই সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার গ্যারেজ থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় জিডিও করার পর পুলিশ জানিয়েছিলো সে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছে।’
ঢাকা জেলা উত্তরের ডিবি পুলিশের ওসি এএসএম সায়েদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে থানা পুলিশেরই বিষয়টি জানার কথা।’
এমনকি আটক হওয়ার পরের দিনই আনোয়ারের পরিবার এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করেন। পরে ওই ডায়েরির তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রফিকুল ইসলাম ‘নব্য জেএমবি’ আনোয়ারের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে তাকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে বলেও জানিয়ে দেয় তার পরিবারকে।
রবিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আনোয়ার নিখোঁজের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়। ওই ডায়েরির তদন্ত শেষে আনোয়ার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে রয়েছে, সেখানে খোঁজ নেওয়ার জন্য নিখোঁজের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আনোয়ারের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন
এদিকে এ ঘটনায় নিখোঁজ আনোয়ারকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করে। তার একটি প্রিন্ট কপি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে আনোয়ারের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন দেখা যায়, ২৩, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরনী, ওয়ার্ড ৫৩, মগবাজার, রমনা, ঢাকা।
আনোয়ারের পরিবার ও একাধিক স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনোয়ার হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকায় দশ বছরেরও বেশি সময় যাবৎ গাড়ি মেরামত ওয়ার্কশপের কাজ করছেন।
আনোয়ার ওয়ার্কশপ নামের তার একটি গ্যারেজ রয়েছে। এখানে তার সঙ্গে তার ছোট ভাই রেজাউল করিমও কাজ করেন। আনোয়ার নিয়মিত তার ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। তাকে অন্যকোনও আড্ডা বা গ্যারেজ বন্ধ রাখতেও দেখেনি স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা বলেন, ‘আনোয়ার এলাকায় সবার সঙ্গেই মিশতেন। তার চলা-ফেরায় আমাদের কখনও কোনও সন্দেহ হয়নি। আর তুলে নিয়ে যাওয়ার একমাস পর পুলিশ কিভাবে তাকে গ্রেফতার করে তাও বুঝতে পারছি না।’
গত ১ আগস্ট সাভার মডেল থানা দায়ের করা জিডি (নং ১৩) সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হেমায়েতপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো ৩১ জুলাই সোমবার সকাল থেকেই কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে গাড়ি ঠিক করার কথা বলে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন তার ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাভার থানায় জিডির কপিআনোয়ারের বড় ভাই আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বড়ি শরীয়তপুর এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার মেজো। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে আমাদের লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। ১২ বছর বয়স থেকেই আনোয়ার গ্যারেজে কাজ করে। সেখানে কাজ শেখার পরে হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেই গাড়ি মেরামতের গ্যারেজ চালু করে। ছোট ভাই রেজাউল করিমও তার সঙ্গে কাজ করতো।’
আলী হোসেন বলেন, ‘ডিবি পুলিশ তার ভাইকে গ্যারেজ থেকে তুলে নিয়ে যায় ৩১ জুলাই। তার দুই ভাই গ্যারেজে কাজ নিয়েই ব্যাস্ত থাকেতেন। জঙ্গি হওয়া তো দূরের কথা, এ সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাও নেই।’
তিনি আরও জানান, ডিবি পুলিশ তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর শোনার পরপরই মা স্ট্রোক করে, গত চার দিন আগে মায়ের মৃত্যু হয়। এর পরের দিন তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাইকে ডিবি পুলিশ রাজধানীর খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘খিলক্ষেত থেকে আমার ভাইকে পুলিশ কিভাবে গ্রেফতার করে, বুঝতে পারছি না। ডিবি পুলিশ এক মাস ১০ দিন আগেই সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার গ্যারেজ থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় জিডিও করার পর পুলিশ জানিয়েছিলো সে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছে।’
ঢাকা জেলা উত্তরের ডিবি পুলিশের ওসি এএসএম সায়েদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে থানা পুলিশেরই বিষয়টি জানার কথা।’
No comments