মিলার যখন ‘কিলার’

উইকেটে গিয়েছিলেন দশম ওভারে। জীবন পেয়েছেন শূন্য রানে। আউট হতে পারতেন ২ রানে, ১৮ রানে। শেষ পর্যন্ত তিনিই তাণ্ডব চালিয়ে করলেন সেঞ্চুরি! এরপর হল বিশ্ব রেকর্ড। হাশিম আমলার দুর্দান্ত ৮৫ রানের পর ডেভিড মিলারের টর্নেডো সেঞ্চুরি। দু’য়ের যোগফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড! ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে চার উইকেটে ২২৪। ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল তিন উইকেটে ৭৮। পরের পাঁচ ওভারে উঠেছে ৫৬ রান। আর শেষ পাঁচ ওভারে ৯০ রান! টি ২০তে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে মিলার ৩৬ বলে করেন অপরাজিত ১০১ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে টি ২০তে দুইশ’ রানের ইনিংস ছিল তিনটি। ২০১ ও ২০৩ করেছিল পাকিস্তান। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের ২০৪ ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ অবশ্য এটি নয়। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা করেছিল ছয় উইকেটে ২৩৬।
মিলার রেকর্ড গড়ার পথে এগিয়ে গেছেন ১৯তম ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠেই ওভারে প্রথম ছয় ছক্কা দেখেছিল টি ২০ ক্রিকেট। ২০০৭ টি ২০ বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে যুবরাজ সিং মেরেছিলেন ছয়টি ছক্কা। সেটি ছিল ডারবানে। এবার পচেফস্ট্রুমে খুব কাছে গেলেন ডেভিড মিলার। এক ওভারে মারলেন পাঁচটি ছক্কা! শেষ বলটা ছক্কা না হওয়ায় যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন সাইফউদ্দিন। অফ-স্টাম্পের বাইরে ফুল লেন্থের বলটায় এক রান নিতে পারেন মিলার। এক ওভারেই ৩১ রান! শেষ বলে ছক্কা মারতে না পারায় আফসোস করলেন মিলার।
তবে মিলারের শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন। রুবেল হোসেনের একটি বাউন্সার মিলারের ব্যাটের কানায় লেগে লেগ-সাইডে উইকেটের পেছনে চলে যায়। ক্যাচটা গ্লাভসে নিলেও তালুবন্দি করতে পারেননি উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিম। এরপর দুই রানে মিলারের তুলে দেয়া বল পড়েছে তিন ফিল্ডারের মাঝে। ১৮ রানে বোল্ড হননি অল্পের জন্য। এরপর খেলেছেন দুর্দান্ত। ২৪ বলে পাঁচটি চার, তিনটি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পরের ৫০ রান তুলতে তার লেগেছে মাত্র ১১ বল!
Post Comment
No comments