বছরে আট মাস পানির নিচে
ওই গ্রামের এটিই একমাত্র খেলার মাঠ। প্রতিবছর দীর্ঘ সময়
মাঠটি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার
শিশু-কিশোর-তরুণেরা খেলাধুলা করতে পারছে না।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল
মহাসড়কের ভাবুকদিয়া থেকে নগরকান্দা আঞ্চলিক সড়কের বাউতিপাড়া গ্রামে ১৯৩৯
সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয় ভবন থেকে মাঠের দূরত্ব প্রায়
৪০০ মিটার। ভাবুকদিয়া থেকে নগরকান্দা সড়কের পূর্ব পাশে ২১ শতাংশ জমির ওপর
বিদ্যালয় ভবন। এর উত্তরে সড়কের পশ্চিম পাশে ৮৬ শতাংশ জমির ওপর রয়েছে
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের চারপাশ পানিতে তলিয়ে
আছে। মাঝখানে কিছু অংশ শুকনো। মাঠের পূর্ব দিকে পূর্ব চকবিল ও পশ্চিমে বড়
চকবিল। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে বিল দুটি পানিতে ভরপুর থাকে। স্থানীয়
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাঠটিতে জুন থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পানি থাকে। তখন
খেলাধুলাসহ কোনো কাজে এটি ব্যবহার করা যায় না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাউতিপাড়া গ্রামের বৃন্দাবন চন্দ্র
মণ্ডল ও হরিচান মণ্ডল বলে, ‘আমরা এই মাঠে ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানা ধরনের
খেলাধুলা করতে চাই। কিন্তু মাঠে পানি। এ কারণে খেলতে পারি না।’
একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন ও গৌতম মণ্ডল বলে,
‘মাঠে পানি থাকায় আমাদের খুব সমস্যা হয়। স্কুলের টিফিনের সময় কিংবা বিকেলে
আমাদের বসে বসে অলসভাবে সময় কাটাতে হয়। খেলাধুলা করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বাউতিপাড়া গ্রামের জহির হোসেন
বলেন, শুধু বাউতিপাড়াই নয়, আশপাশের কয়েকটি গ্রামে এত বড় ও ভালো মাঠ নেই।
যখন পানি থাকে না, তখন এই মাঠে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠিত হয়। তা ছাড়াও গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রিকেট, ফুটবলসহ নানা
টুর্নামেন্ট হয়। কিন্তু মাঠটি অনেক নিচু। এ কারণে বছরের আট মাসই পানিতে
তলিয়ে থাকে। মাটি ফেলে মাঠটি ভরাট করা দরকার। তা হলে সারা বছরই এই মাঠে
খেলাধুলা চলবে। নানা ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যাবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, এই
মাঠের জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে মাটি ফেলে ভরাট করা জরুরি। কিন্তু এ জন্য
কোনো তহবিল তাঁদের নেই।
ফুলসুতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফ ইসলাম
বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করা প্রয়োজন। ইউপির পক্ষ থেকে আমরা মাটি ফেলে
মাঠটি উঁচু করার উদ্যোগ নেব।’
No comments