মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা : ২০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ঘাতক স্বামী
রাজধানীতে মাদকের জন্য যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামী মনির হোসেনকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বাবা আব্দুর রব। একই সাথে মাকে হত্যার জন্য
বাবা মনিরের বিচার চেয়েছে তাদের ১৪ বছরের সন্তান পারভেজ মোশাররফও।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রব বলেন, ঘটনার ২০ দিন পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘাতক মনিরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
তিনি বলেন, গত ১৭/১৮ বছর আগে আমার বড় মেয়ে সাহানা আক্তার ওরফে পারভিনের সাথে ঢাকার রামপুরা থানাধীন ৪৩৫ পশ্চিম রামপুরা মক্কি মসজিদ গলির মৃত শফি উল্লাহ খান ও আক্তার বানুর ছেলে মো: মনির হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে মনিরকে নগদ এক লাখ টাকা ও ঘর সাজাতে ফার্নিচার দেয়া হয়। এরপর ব্যবসা করার কথা বলে মনির বিভিন্ন সময় সাহানাকে চাপ দিতে থাকলে পুনরায় কয়েকটি কিস্তিতে তাকে আরো দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এর মধ্যে সাহানার ঘরে পারভেজ ও সুমাইয়া নামে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি বলেন, মনির কোন কাজ করতো না। ব্যবসার কথা বলে যৌতুক হিসেবে তাদের কাছ থেকে টাকা নিতো তা দিয়ে মাদক সেবন করতো। টাকা দিতে না পারলে সাহানার উপর নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলতি বছর ২০ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি জিডি করে সাহানা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মনির। এক পর্যায়ে সাহানা রামপুরার বাসায় থেকে ভয়ে তাদের ফেনীর সোনাগাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, চতুর মনির নিজে ও তার মাকে দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সাহানাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ তারিখ সকালে শুরু হয় সাহানার উপর অমানুষিক নির্যাতন। তাকে ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে মনির। এরপর গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় মনির। পরে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে সাহানার অবুঝ দুটি শিশু সন্তান তার নানা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
সাহানার ১৪ বছরের ছেলে পারভেজ বলে, ‘আমার বাবা ইয়াবায় আসক্ত ছিলো। কোনো কাজ না করার কারণে টাকার দরকার হলেই মায়ের কাছে হাত পাততো। মা কোথা থেকে টাকা দিবে। এই তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বাবা মাঝে-মধ্যেই মাকে মারধর করতেন। তাদের এই অশান্তির কারণে আমি বাধ্য হয়ে নানাবাড়ির একটি স্কুলে গিয়ে ভর্তি হই।’
পারভেজ বলে, ‘যেহেতু আমার বাবা আমার মায়ের হত্যাকারী, তাই আমি তার বিচার চাই।’
এদিকে মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিহতের পরিবার।
একই সাথে মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থারগুলোর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রব বলেন, ঘটনার ২০ দিন পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘাতক মনিরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
তিনি বলেন, গত ১৭/১৮ বছর আগে আমার বড় মেয়ে সাহানা আক্তার ওরফে পারভিনের সাথে ঢাকার রামপুরা থানাধীন ৪৩৫ পশ্চিম রামপুরা মক্কি মসজিদ গলির মৃত শফি উল্লাহ খান ও আক্তার বানুর ছেলে মো: মনির হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে মনিরকে নগদ এক লাখ টাকা ও ঘর সাজাতে ফার্নিচার দেয়া হয়। এরপর ব্যবসা করার কথা বলে মনির বিভিন্ন সময় সাহানাকে চাপ দিতে থাকলে পুনরায় কয়েকটি কিস্তিতে তাকে আরো দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এর মধ্যে সাহানার ঘরে পারভেজ ও সুমাইয়া নামে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি বলেন, মনির কোন কাজ করতো না। ব্যবসার কথা বলে যৌতুক হিসেবে তাদের কাছ থেকে টাকা নিতো তা দিয়ে মাদক সেবন করতো। টাকা দিতে না পারলে সাহানার উপর নেমে আসতো নির্যাতনের খড়গ। তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলতি বছর ২০ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি জিডি করে সাহানা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মনির। এক পর্যায়ে সাহানা রামপুরার বাসায় থেকে ভয়ে তাদের ফেনীর সোনাগাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, চতুর মনির নিজে ও তার মাকে দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সাহানাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ তারিখ সকালে শুরু হয় সাহানার উপর অমানুষিক নির্যাতন। তাকে ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে মনির। এরপর গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় মনির। পরে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে সাহানার অবুঝ দুটি শিশু সন্তান তার নানা বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
সাহানার ১৪ বছরের ছেলে পারভেজ বলে, ‘আমার বাবা ইয়াবায় আসক্ত ছিলো। কোনো কাজ না করার কারণে টাকার দরকার হলেই মায়ের কাছে হাত পাততো। মা কোথা থেকে টাকা দিবে। এই তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বাবা মাঝে-মধ্যেই মাকে মারধর করতেন। তাদের এই অশান্তির কারণে আমি বাধ্য হয়ে নানাবাড়ির একটি স্কুলে গিয়ে ভর্তি হই।’
পারভেজ বলে, ‘যেহেতু আমার বাবা আমার মায়ের হত্যাকারী, তাই আমি তার বিচার চাই।’
এদিকে মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিহতের পরিবার।
একই সাথে মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থারগুলোর কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
No comments