পৌষের হাওয়া পাহাড়জুড়ে। মুক্তোর দানার মতো স্বচ্ছ শিশিরের ফোঁটা। মাকড়সার জালে
কুয়াশা দেখতে অনেকটা মুক্তোর মালার মতো, যেন সাজিয়ে রেখেছে। সবুজ পাহাড়ে অলস কুয়াশাময়
শীতের প্রকৃতি।
দিনের বেলায় পাহাড় বেয়ে সূর্যোদয় হতে পেরিয়ে যায় অনেকটা বেলা। কুয়াশার চাদর ভেদ করে পাহাড়ে ভ্রমণ অন্য রোমাঞ্চের ছোঁয়া দেয়!
পাহাড় যেন মায়াবীপুরীর অন্যদেশ, এখানে সকালে সূর্যোদয় কুয়াশায় মোড়ানো, দুপুরে মিষ্টি রৌদের আলো আর দিন শেষে সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য। মেঘ-পাহাড় পেরিয়ে সূর্যোদয়ে মোহনীয় রূপ আপনাকে বিমোহিত করবে।
নীলগিরি কিংবা নীলাচল অথবা সাজেক উপত্যকা থেকে সূর্যোদয় দর্শন যেন স্বপ্নের মতোই সুন্দর।
নীলাচলে দাঁড়িয়ে চিম্বুক পাহাড়েরর চূড়া যেন আকাশ ছুঁয়ে যাবে। কি দারুণ বিশালতায়
দাঁড়িয়ে আছে চিম্বুকের শীর্ষস্থান। নীলাচল থেকে সুবিশাল উপত্যকা পেরিয়ে চিম্বুকের চূড়া।
সবুজ পাহাড়জুড়ে সোনালি রংয়ের রাজত্ব। নীলগিরিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে বদলে যায়
মেঘের রঙ, সোনালি আলোয় ঢেকে যায় সাদা মেঘ।
বান্দরবানের বেড়ানোর অধ্যায় শেষ করে রাঙামাটি-বান্দরবান অভ্যন্তরীন রাস্তায় পৌঁছে যাবেন জলের দেশ রাঙামাটিতে। পানি ছুঁয়ে এখানে মেঘেরা দল বাঁধে।
চারপাশে ঘিরে থাকা পাহাড়ের চূড়া পেরিয়ে সূর্যের সোনাঝরা আলো, সকালের ঘুম ভেঙে
চোখে পড়ে নীলাভ-স্বচ্ছ টলমল জলের স্রোত। পানিপথ পেরিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আছে প্রাগতৈহাসিক কালের পাথুরে পাহাড়। অবিন্যাস্ত
পাহাড়, আর ৭২৫ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে কাপ্তাই লেকের বিস্তৃতি।
সবুজ পানির হ্রদে সহসাই চোখে পড়ে পানকৌড়ির দলের ছুটে বেড়ানো। দিন-রাত জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। দিনের শেষে সোনালি বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য সবই ধরা দেয় ভূস্বর্গ রাঙামাটিতে।
সাজেক যেতে পেরোতো হবে অরণ্যভূমি সাজেক। মিজোরামের পাহাড় থেকে বেরিয়ে আসা সূর্যটা
যেন অন্য রূপে দেয় সাজেক উপত্যকায়। দূরের পাহাড়ে বেয়ে ওঠা সূর্যে কিরণে পাল্টে যায়
মেঘের রং, সোনার আভা নিয়ে সূর্যের বেরিয়ে আসার দৃশ্যটা সাজেকের নিজস্ব সৌন্দর্য, সূর্য
বোধহয় এমন ভাবে অন্য কোথাও ধরা দেয় না।পাহাড় ভ্রমণে করণীয়: পাহাড় ভ্রমণে কিছু
প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখতে পারেন। তাতে ভ্রমণ হবে আরও আনন্দদায়ক আর নিরাপদ।
* প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক বা অন্যন্য জিনিসপত্র নিয়ে ব্যাগ ভারী করবেন না।
* হাল্কা পাতলা, সহজে শুকিয়ে যায় এমন তিন, চার সেট জামা-কাপড় আর অবশ্যই শীতের কাপড় নিতে হবে। পাহাড়ে ঠাণ্ডা একটু বেশি পড়ে।
* ট্রেকিং স্যান্ডেল/ শু; (হিলের স্যান্ডেল না নেওয়া উচিত)।
* সান্সক্রিন নিতে পারেন।
* নিজের প্রয়োজনীয় মিনিপ্যাক সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, ব্রাশ।
* তোয়ালে'র পরিবর্তে গামছা নিতে পারেন। তাতে ব্যাগ হালকা থাকবে। আর গামছা শুকায় তাড়াতাড়ি।
* পাওয়ার ব্যাঙ্ক, টর্চ, (যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, যেমন -সাজেক, বগালেক আপনার কাজে আসবে)।
* খেজুর, ম্যাংগো বার, বিস্কুটজাতীয় হাল্কা খাবার সঙ্গে রাখা ভালো।
* নিজের ব্যক্তিগত ওষুধপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
* ভ্রমণপ্রিয় মন, যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে।
* পাহাড়ে রবি ও টেলিকটের নেটওয়ার্ক ভালো।
* ব্যাকপ্যাক হলে ভালো, ট্রলি ব্যাগ না নেওয়া উচিত।
প্রয়োজনীয় তথ্য: পাহাড়ে বেড়াতে অবশ্যই
স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি'র ছবি তুলবেন
না। প্রকৃতিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। পাহাড় ভ্রমণের আগে নিজের হোটেল-মোটেলের এবং
ভ্রমণ গন্তব্যে বেড়ানোর গাড়ি বা দেশি নৌকা
আগে থেকেই বুকিং রাখবেন। পাহাড় ভ্রমণে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮১৫-৮৫৬৪৯৭, ০১৫৫৬-৭১০০৪৩
নম্বরে
দিনের বেলায় পাহাড় বেয়ে সূর্যোদয় হতে পেরিয়ে যায় অনেকটা বেলা। কুয়াশার চাদর ভেদ করে পাহাড়ে ভ্রমণ অন্য রোমাঞ্চের ছোঁয়া দেয়!
পাহাড় যেন মায়াবীপুরীর অন্যদেশ, এখানে সকালে সূর্যোদয় কুয়াশায় মোড়ানো, দুপুরে মিষ্টি রৌদের আলো আর দিন শেষে সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য। মেঘ-পাহাড় পেরিয়ে সূর্যোদয়ে মোহনীয় রূপ আপনাকে বিমোহিত করবে।
নীলগিরি কিংবা নীলাচল অথবা সাজেক উপত্যকা থেকে সূর্যোদয় দর্শন যেন স্বপ্নের মতোই সুন্দর।
বান্দরবানের বেড়ানোর অধ্যায় শেষ করে রাঙামাটি-বান্দরবান অভ্যন্তরীন রাস্তায় পৌঁছে যাবেন জলের দেশ রাঙামাটিতে। পানি ছুঁয়ে এখানে মেঘেরা দল বাঁধে।
সবুজ পানির হ্রদে সহসাই চোখে পড়ে পানকৌড়ির দলের ছুটে বেড়ানো। দিন-রাত জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। দিনের শেষে সোনালি বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য সবই ধরা দেয় ভূস্বর্গ রাঙামাটিতে।
* প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক বা অন্যন্য জিনিসপত্র নিয়ে ব্যাগ ভারী করবেন না।
* হাল্কা পাতলা, সহজে শুকিয়ে যায় এমন তিন, চার সেট জামা-কাপড় আর অবশ্যই শীতের কাপড় নিতে হবে। পাহাড়ে ঠাণ্ডা একটু বেশি পড়ে।
* ট্রেকিং স্যান্ডেল/ শু; (হিলের স্যান্ডেল না নেওয়া উচিত)।
* সান্সক্রিন নিতে পারেন।
* নিজের প্রয়োজনীয় মিনিপ্যাক সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, ব্রাশ।
* তোয়ালে'র পরিবর্তে গামছা নিতে পারেন। তাতে ব্যাগ হালকা থাকবে। আর গামছা শুকায় তাড়াতাড়ি।
* পাওয়ার ব্যাঙ্ক, টর্চ, (যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, যেমন -সাজেক, বগালেক আপনার কাজে আসবে)।
* খেজুর, ম্যাংগো বার, বিস্কুটজাতীয় হাল্কা খাবার সঙ্গে রাখা ভালো।
* নিজের ব্যক্তিগত ওষুধপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
* ভ্রমণপ্রিয় মন, যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে।
* পাহাড়ে রবি ও টেলিকটের নেটওয়ার্ক ভালো।
* ব্যাকপ্যাক হলে ভালো, ট্রলি ব্যাগ না নেওয়া উচিত।
পাহাড়ে ভ্রমণ
Reviewed by প্রভাত ফেরি
on
September 24, 2017
Rating: 5
No comments