সহজ সমীকরণে খসরু-লতিফ ( চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-পতেঙ্গা)
অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন ব্যবসায়ী নেতাদের কেউ একজন। এটা এক প্রকার নিশ্চিত বলা যায়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নানা সমীকরণে আগামী নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগ নেতা এম এ লতিফ নিজ নিজ জোটের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ সুযোগ পেলেই বিএনপিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বড় ব্যবধানে জিতব এ বিশ্বাস রয়েছে। ’ এম এ লতিফ বলেন, ‘এলাকাবাসীর সুখে-দুঃখে তাদের পাশে আছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে এ আসন থেকে হ্যাটট্রিক জয় পাব। ’ ২০০৮ সালে সব হিসাব পাল্টে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম এ লতিফ। পরেরবারও তিনি নির্বাচিত হন। তবে সুনামের সঙ্গে কিছু দুর্নামও পিছু নেয় লতিফের। বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে মামলা করেন নিজ দলের এক নেতা। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে তার বিরোধ শুরু থেকেই। কিন্তু গরিবদের মাঝে সারা বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে এলাকায় আলাদা ইমেজ তৈরি করেছেন এম এ লতিফ। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে লতিফের তৈরি হয়েছে শক্তশালী অবস্থান। কিন্তু মনোনয়নযুদ্ধে তার অগ্নিপরীক্ষা নেবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুসারী খোরশেদ আলম সুজন। ইপিজেড, বন্দরসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনোনয়নযুদ্ধ চালিয়ে যাবেন সুজন। এ আসনে সুজনের পাশাপাশি মনোনয়ন প্রত্যাশায় সরব রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু। তিনি মনোনয়ন পেতে জোর তদবির চালাচ্ছেন। এ ছাড়া সাবেক কমিশনার নজরুল ইসলাম বাহাদুর মনোনয়ন চাইতে পারেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার মনোনয়ন এক প্রকার নিশ্চিত। তবে তার মনোনয়নে বাধা হতে পারে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী। এ আসন থেকে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলামের। অলৌকিক কিছু না ঘটলে মনোনয়ন যাবে আমীর খসরুর ঘরে।
No comments