সাধুবাবার পর এবার সাধুমা যাবেন জেলে?
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭,বুধবার, ১৮:৪২
কিন্তু ঘটনাটি ঠিক কী? কী করলেন রাধে মা?
সুরিন্দর মিত্তল নামে এক ব্যক্তি রাধে মা-এর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চাইলে তা নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এর বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে আবেদন করেন মিত্তল। তার আরো অভিযোগ, রাধে মা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন তাকে। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার পুলিশকে রাধে মা-এর বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কিন্তু এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২৮ এপ্রিল বম্বে হাইকোর্টও সুখবিন্দর কউর ওরফে রাধে মা-র বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয়ার জন্য মুম্বইয়ের বোরিভেলি থানাকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু অভিযোগ, তখনও পুলিস রাধে মা-র বিরুদ্ধে সেরকম কোনো পদক্ষেপ করেনি। সেসময় নিকি গুপ্তা নামে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেয় আদালত। ওই মহিলার অভিযোগ ছিল, রাধে মা তার জামাইকে ক্রমাগত যৌতুক দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সেসময় বোম্বে হাইকোর্ট বোরিভালি পুলিশকে নিকি গুপ্তা নামে ওই মহিলার বয়ান রেকর্ড করারও নির্দেশ দেয়।
পর পর দু’টি মামলায় আদালত পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকে রাধে মা। কিন্তু এর আগে নিজের প্রভাব খাটিয়ে বার বার পার পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেয়ায় বষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় চাপে রয়েছে পুলিসও। রাধে মা ইস্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবার যেহেতু আদালতেরই কড়া নির্দেশ রয়েছে, তাই রাধে মা বড় বিপদে পড়তে চলেছেন বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
জেলে বসেই ডেরা চালাবেন রাম রহিম
দীর্ঘ দিন ধরে তিনিই ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান। চণ্ডীপাঠ থেকে জুতো সেলাই— তাঁর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া এত দিন কোনও কিছুই সম্ভব ছিল না। কিন্তু, পরিস্থিতি হঠাত্ করেই মোড় নেয়। ধর্ষণ-কাণ্ডে দোষী ডেরা প্রধান আপাতত জেলে। আদালতের নির্দেশে আগামী ২০ বছর তাঁকে সেখানেই থাকতে হবে। হরিয়ানার সিরসায় ৮০০ একর জমির উপর রাম রহিমের বিশাল ডেরা। তাতে রয়েছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, রিসর্ট, হাসপাতাল, মাল্টিপ্লেক্স, স্কুল-কলেজ, কারখানা। প্রভূত সম্পত্তির মালিকানাও রয়েছে ডেরা প্রধানের। তা হলে এ হেন রাম রহিমের বিশাল সাম্রাজ্য সামলাবেন কে?
ডেরা ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারপার্সন বিপাসনা জানিয়েছেন, জেল থেকেই ‘বাবা’ রাম রহিমই তা সামলাবেন। উত্তরাধিকারী প্রসঙ্গে কোনো নির্দেশই তিনি দেননি। তিনি বলেন, “ডেরা কে চালাবেন তা নিয়ে কোনও ঘোষণাই হয়নি। গুরুজি নিজেই তা চালাবেন। আর ডেরার দৈনন্দিন কাজকর্মের দেখাশোনা করবে ম্যানেজমেন্ট কমিটি।”
জোড়া ধর্ষণ মামলায় গুরমিত রাম রহিম সিংহের সাজা ঘোষণার পর থেকেই নানা নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। বিপাসনা ইনসান থেকে রাম রহিমের ছেলে জসমিতের নাম এসেছে একাধিক বার। এই তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন রাম রহিমের পালিতকন্যা হানিপ্রীত ইনসান। ‘বাবা’ জেলে যাওয়ার পর থেকে যদিও তিনি উধাও। তার নামে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু, ডেরায় যে হানিপ্রীতের কোনো অধিকার নেই সে কথা এ বার স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন বিপাসনা। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে-কে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
No comments