মাওলানা নিজামীর আসনে এবার কে?
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের
পদচারণায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে জাতীয় সংসদের পাবনা-১
(সাঁথিয়া-বেড়া) নির্বাচনী এলাকা।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রার্থিতার বার্তা দিয়ে সরগরম করে তুলেছে এলাকা। এখন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা রাখা এবং মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রত্যাশীরা। এ জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কথা অফিস আদালত, চায়ের দোকান, কাব, রিকশা-বাস-সিএনজি-নছিমন-করিমন স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়েছে কোন দলের পে কারা মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং কে মনোনয়ন পাচ্ছে?
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় রাজনৈতিক দিক থেকে এ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণে এ নির্বাচনী এলাকা জামায়াত-বিএনপির ঘাঁটি বলে খ্যাত হলেও গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তা দখল করে নেয়। এ দিকে আসনটি আওয়ামী লীগ ধরে রাখা আর জামায়াত বা বিএনপি তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে জয়-পরাজয় অনেকটাই নির্ভর করছে প্রার্থীর ওপর।
তাই এ নির্বাচন উভয় জোটের জন্য অগ্নিপরীা। সাঁথিয়া পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬৫ হাজার ৫৮২ এবং বেড়া পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা এক লাখ আট হাজার ৫৩৪ জন। সাঁথিয়ার চেয়ে বেড়ার ভোটার এক-চতুর্থাংশ হলেও স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী ছাড়া সাঁথিয়ার কোনো প্রার্থী এ আসনে বিজয়ী হতে পারেননি।
এ দিকে এলাকার উন্নয়নসহ নানা বৈষ্যম্যের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে সাঁথিয়া-বেড়ার মধ্যে স্নায়ুবিক দ্বন্দ্ব চলে এলেও এবার তা প্রকাশ্যে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। সাঁথিয়ার প্রবেশদ্বার এবং সবচেয়ে বড় হাট সিঅ্যান্ডবি চতুর হাট প্রথমে ছলেবলে কৌশলে পরে আদালতের মাধ্যমে নিজের করে নেয়ায় সাঁথিয়াবাসীর মনে বঞ্চনাসহ নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব কারণে সাঁথিয়াবাসী সাঁথিয়াকে একক নির্বাচনী এলাকা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ নির্বাচনী এলাকা থেকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ২০০৮সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন এবং সরকারের বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হন। এরপর তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়ীদকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। অবশ্য এ আসন থেকে ১৯৭১ ও ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ বিজয়ী হয়েছিলেন। আসছে নির্বাচনে দু’জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাঁথিয়া পৌরসভার বর্তমান নির্বাচিত মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিউর রহমান দুলাল।
এ আসন থেকে জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম মতিউর রহমান নিজামী ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিজয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে জামায়াত নেতাকর্মীদের নামে বহু মামলা থাকায় প্রচুর জনশক্তি ও সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্যে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না। ২০ দলীয় জোটের শরিকদল জামায়াতের সাবেক আমিরের এলাকা হওয়ার কারণে জামায়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বেগম খালেদা জিয়া এ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেবেন বলে জনশ্রুতি থাকলেও প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে জামায়াত এখনো সম্পূর্ণ চুপ রয়েছে।
তার পরও জামায়াতের তৃণমূলের চাহিদা মোতাবেক নৈতিক সমর্থন বেশি দেখা যাচ্ছে বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির ডা: আব্দুল বাসেত খানের দিকে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই জামায়াতের পে মনোনয়ন পাবেন।
অন্য দিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- জাতীয়তাবাদী কর্মজীবীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইউনুস আলী।
এ ছাড়া এলাকার জনসাধারণের মুখে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক মহাসচিব এবং বিএনপি সমর্থক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত এম এ আজিজের নাম শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় তাঁতি কমিটির সভাপতি শাহজাহান সরকার।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রার্থিতার বার্তা দিয়ে সরগরম করে তুলেছে এলাকা। এখন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা রাখা এবং মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রত্যাশীরা। এ জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কথা অফিস আদালত, চায়ের দোকান, কাব, রিকশা-বাস-সিএনজি-নছিমন-করিমন স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়েছে কোন দলের পে কারা মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং কে মনোনয়ন পাচ্ছে?
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় রাজনৈতিক দিক থেকে এ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণে এ নির্বাচনী এলাকা জামায়াত-বিএনপির ঘাঁটি বলে খ্যাত হলেও গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তা দখল করে নেয়। এ দিকে আসনটি আওয়ামী লীগ ধরে রাখা আর জামায়াত বা বিএনপি তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে জয়-পরাজয় অনেকটাই নির্ভর করছে প্রার্থীর ওপর।
তাই এ নির্বাচন উভয় জোটের জন্য অগ্নিপরীা। সাঁথিয়া পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৬৫ হাজার ৫৮২ এবং বেড়া পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা এক লাখ আট হাজার ৫৩৪ জন। সাঁথিয়ার চেয়ে বেড়ার ভোটার এক-চতুর্থাংশ হলেও স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী ছাড়া সাঁথিয়ার কোনো প্রার্থী এ আসনে বিজয়ী হতে পারেননি।
এ দিকে এলাকার উন্নয়নসহ নানা বৈষ্যম্যের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে সাঁথিয়া-বেড়ার মধ্যে স্নায়ুবিক দ্বন্দ্ব চলে এলেও এবার তা প্রকাশ্যে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। সাঁথিয়ার প্রবেশদ্বার এবং সবচেয়ে বড় হাট সিঅ্যান্ডবি চতুর হাট প্রথমে ছলেবলে কৌশলে পরে আদালতের মাধ্যমে নিজের করে নেয়ায় সাঁথিয়াবাসীর মনে বঞ্চনাসহ নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব কারণে সাঁথিয়াবাসী সাঁথিয়াকে একক নির্বাচনী এলাকা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ নির্বাচনী এলাকা থেকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ২০০৮সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন এবং সরকারের বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হন। এরপর তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়ীদকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। অবশ্য এ আসন থেকে ১৯৭১ ও ১৯৯৬ সালে অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ বিজয়ী হয়েছিলেন। আসছে নির্বাচনে দু’জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাঁথিয়া পৌরসভার বর্তমান নির্বাচিত মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিউর রহমান দুলাল।
এ আসন থেকে জামায়াতের সাবেক আমির মরহুম মতিউর রহমান নিজামী ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিজয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে জামায়াত নেতাকর্মীদের নামে বহু মামলা থাকায় প্রচুর জনশক্তি ও সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্যে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না। ২০ দলীয় জোটের শরিকদল জামায়াতের সাবেক আমিরের এলাকা হওয়ার কারণে জামায়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বেগম খালেদা জিয়া এ আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেবেন বলে জনশ্রুতি থাকলেও প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে জামায়াত এখনো সম্পূর্ণ চুপ রয়েছে।
তার পরও জামায়াতের তৃণমূলের চাহিদা মোতাবেক নৈতিক সমর্থন বেশি দেখা যাচ্ছে বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমির ডা: আব্দুল বাসেত খানের দিকে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই জামায়াতের পে মনোনয়ন পাবেন।
অন্য দিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- জাতীয়তাবাদী কর্মজীবীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইউনুস আলী।
এ ছাড়া এলাকার জনসাধারণের মুখে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক মহাসচিব এবং বিএনপি সমর্থক সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত এম এ আজিজের নাম শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় তাঁতি কমিটির সভাপতি শাহজাহান সরকার।
No comments