দিনাজপুর-৪ আসনে প্রার্থীদের গণসংযোগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সংসদীয় আসন-৯ দিনাজপুর-৪
(চিরিরবন্দর-খানসামা) এ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। চিরিরবন্দর
নির্বাচন অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে দুই লাখ ১০
হাজার ৩১৩ জন ভোটার ও খানসামা নির্বাচন অফিসার রেজাউল ইসলাম জানান, উপজেলায়
ছয়টি ইউনিয়নে এক লাখ ২১ হাজার ৩৬৯ জন ভোটার সর্বমোট এ আসনে তিন লাখ ৩১
হাজার
৬৮২ জন ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনী জরিপ নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সূত্র জানায়, বিগত উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও জাতীয় নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের প্রায় ৮৫ হাজার রিজার্ভ ভোট আওয়ামী লীগের, ৭৫-৮০ হাজার বিএনপির, জামায়াতের ৩৫-৪০ হাজার, জাতীয় পার্টির তিন-চার হাজার রিজার্ভ ভোট রয়েছে এবং হুজুগের ভোট রয়েছে প্রায় ৬০-৬৫ হাজার। এ ভোটারদের এবং তৃণমূল নেতাদের ও সাধারণ জনগণের সমর্থন পেতে প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছেন। অনেকেই কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেতের জন্য সিনিয়র নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় তৃণমূল নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়, পোস্টার, লিফলেট ও বিলবোর্ড এবং জাতীয় শোক দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলির শুভেচ্ছা ব্যানার দিয়ে জনসাধারণের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তাদের মধ্যে আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আবার মনোনয়নপ্রাপ্তির প্রত্যাশা করছেন। তার পক্ষে নেতাকর্মীরা নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতাকর্মীদের সাথে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আহসানুল হক মুকুল ও খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম লায়ন চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা নিজ নিজ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে তার পক্ষে কাজ শুরু করেছেন।
অপর দিকে সাবেক হুইপ ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো: মিজানুর রহমান মানু নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছেন এবং নিয়মিত নিজ গ্রুপের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে নৌকার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে টিভি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে তিনি এই আসনে মাত্র সাড়ে চার হাজার ভোট পান। সেসময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হন।
অপর দিকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো: আখতারুজ্জামান মিয়া ২০০৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে ডাব মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হলেও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়ায় দল তাকে আবার ২০০৮ সালে মনোনয়ন দেয়। তবে তিনি আবারো মনোনয়নপ্রাপ্তির আশায় মাঠে-ময়দানে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করছেন। বিএনপিতে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়।
জামায়াতের রাজনীতি প্রকাশ্যে না এলেও দলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতা জানান, জোটের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। হামলা মামলার ঝড় তাদের ওপর দিয়ে গেছে। এ জন্য গোপনে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের দুই বারের চেয়ারম্যান জামায়াতের সাবেক জেলা আমির আলহাজ আফতাব উদ্দিন মোল্লাকে প্রার্থী হিসেবে গোপনে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আফতাব উদ্দিন মোল্লা জানান, কেন্দ্রীয় জোট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। এ ছাড়া ২০০৬ সালে ধানের শীষ মার্কা ও ২০০৮ সালে দেয়াল ঘড়ি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি মো: হাফিজুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। অপর দিকে চিরিরবন্দর আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: এম আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তদ্বির শুরু ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।
৬৮২ জন ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনী জরিপ নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সূত্র জানায়, বিগত উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও জাতীয় নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের প্রায় ৮৫ হাজার রিজার্ভ ভোট আওয়ামী লীগের, ৭৫-৮০ হাজার বিএনপির, জামায়াতের ৩৫-৪০ হাজার, জাতীয় পার্টির তিন-চার হাজার রিজার্ভ ভোট রয়েছে এবং হুজুগের ভোট রয়েছে প্রায় ৬০-৬৫ হাজার। এ ভোটারদের এবং তৃণমূল নেতাদের ও সাধারণ জনগণের সমর্থন পেতে প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছেন। অনেকেই কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেতের জন্য সিনিয়র নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় তৃণমূল নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়, পোস্টার, লিফলেট ও বিলবোর্ড এবং জাতীয় শোক দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলির শুভেচ্ছা ব্যানার দিয়ে জনসাধারণের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তাদের মধ্যে আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আবার মনোনয়নপ্রাপ্তির প্রত্যাশা করছেন। তার পক্ষে নেতাকর্মীরা নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতাকর্মীদের সাথে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আহসানুল হক মুকুল ও খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম লায়ন চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা নিজ নিজ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে তার পক্ষে কাজ শুরু করেছেন।
অপর দিকে সাবেক হুইপ ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো: মিজানুর রহমান মানু নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছেন এবং নিয়মিত নিজ গ্রুপের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে নৌকার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে টিভি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে তিনি এই আসনে মাত্র সাড়ে চার হাজার ভোট পান। সেসময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় নেতাকর্মীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হন।
অপর দিকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো: আখতারুজ্জামান মিয়া ২০০৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে ডাব মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হলেও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়ায় দল তাকে আবার ২০০৮ সালে মনোনয়ন দেয়। তবে তিনি আবারো মনোনয়নপ্রাপ্তির আশায় মাঠে-ময়দানে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করছেন। বিএনপিতে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়।
জামায়াতের রাজনীতি প্রকাশ্যে না এলেও দলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতা জানান, জোটের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। হামলা মামলার ঝড় তাদের ওপর দিয়ে গেছে। এ জন্য গোপনে চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের দুই বারের চেয়ারম্যান জামায়াতের সাবেক জেলা আমির আলহাজ আফতাব উদ্দিন মোল্লাকে প্রার্থী হিসেবে গোপনে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আফতাব উদ্দিন মোল্লা জানান, কেন্দ্রীয় জোট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। এ ছাড়া ২০০৬ সালে ধানের শীষ মার্কা ও ২০০৮ সালে দেয়াল ঘড়ি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি মো: হাফিজুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। অপর দিকে চিরিরবন্দর আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: এম আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তদ্বির শুরু ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন।
No comments