রাখাইন জনগণের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাখাইন রাজ্যের জনগণের ওপর সহিংসতা বন্ধে
মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করার
ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, তিনি বলেছেন, এই সমস্যা সমাধানে আমরা সহযোগিতা করব, তবে সব কিছুর আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এই সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে, সামরিকভাবে নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে বাংলাদেশ কাউকে দেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মিয়ানমারে বিদ্রোহ বন্ধে সহযোগিতা করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সহযোগিতায় ভারত তার উত্তর-পূবাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা সমাধান করেছে।
শেখ হাসিনা বিপুল রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশটিকে আমাদের সমস্যা বুঝতে হবে। আমাদের জন্য এটি একটি বড় ধরনের বোঝা।
প্রধানমন্ত্রী জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় বিপুল শিশু, নারী ও বৃদ্ধ লোক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তারা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই রিপোর্ট সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান করেছে, সেইভাবে এই সমস্যা সমাধান করতে মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার দেশ ভূমিকা রাখতে চায়। বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত রিনা প্রিতিয়াসমিয়ারসি সোয়েমারমো বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলে এই সহিংসতা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রাখাইন রাজ্যে শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইন জনগণের জন্য তার দেশ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। তিনি একইভাবে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, তিনি বলেছেন, এই সমস্যা সমাধানে আমরা সহযোগিতা করব, তবে সব কিছুর আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এই সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে, সামরিকভাবে নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে বাংলাদেশ কাউকে দেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মিয়ানমারে বিদ্রোহ বন্ধে সহযোগিতা করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সহযোগিতায় ভারত তার উত্তর-পূবাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যা সমাধান করেছে।
শেখ হাসিনা বিপুল রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশটিকে আমাদের সমস্যা বুঝতে হবে। আমাদের জন্য এটি একটি বড় ধরনের বোঝা।
প্রধানমন্ত্রী জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় বিপুল শিশু, নারী ও বৃদ্ধ লোক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তারা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই রিপোর্ট সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান করেছে, সেইভাবে এই সমস্যা সমাধান করতে মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার দেশ ভূমিকা রাখতে চায়। বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত রিনা প্রিতিয়াসমিয়ারসি সোয়েমারমো বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলে এই সহিংসতা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। রাখাইন রাজ্যে শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইন জনগণের জন্য তার দেশ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। তিনি একইভাবে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
No comments