ভ্রমণ: ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ঘোরাঘুরি
সারাক্ষণ কাজ, কাজ আর কাজ। প্রতিদিন কাজের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে কোথাও ঘুরতে
যাওয়ারও ফুরসত মেলে না। সারা বছরে কয়েক দিনের জন্য ঈদের সময় একটু
যানজটমুক্ত ঢাকার দেখা মেলে। আর তাই এটাই ঘুরে বেড়ানোর সবচেয়ে ভালো সুযোগ।
ঈদে যারা ঢাকার বাইরে কোথাও যেতে পারেনইি তারা ঢাকাতেই ঘুরতে পারেন। জেনে
নিন ঈদের দিন ঘুরতে যেতে পারেন এমন কিছু স্থান সম্পর্কে। লিখেছেন মাহমুদুল হাসান
ঘনবসতির শহর হলেও নগরবাসী খুঁজে নিয়েছেন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেয়ার কিছু জায়গা। শরতের কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আছে উত্তরার দিয়াবাড়ী। মিরপুর ডিওএইচএসের সাগুফতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও কম যায় না। পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের খোলা রাস্তায় ঘোরাঘুরির সঙ্গে আছে নানান পদের খাবারের দোকানে রসনা পরিতৃপ্তির সুযোগ। নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে চাইলে আছে মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটি। বালুর মাঠ, নদীর বাতাস সব মিলিয়ে ব্যস্ত নগরী থেকে একটু স্বস্তি মিলবে। ঢাকার আশপাশ থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। নন্দন পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গাজীপুরে আছে অনেক রিসোর্ট। নারায়ণগঞ্জের পানাম নগরী, হাজীগঞ্জ জলদুর্গ, সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এবং বাংলার তাজমহল। মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদারবাড়ি থেকেও ঘুরে আসা যায়। ঈদে গোশত খেতে খেতে অরুচি এসে গেলে তাজা ইলিশের স্বাদ নিতে যাওয়া যায় মাওয়া ঘাটে।
হাতিরঝিল
ইটপাথরের এই ব্যস্ত শহরে ক্লান্তিকর নাগরিক জীবনে রাজধানীর হাতিরঝিল হয়ে উঠেছে মনোরম এক বিনোদনকেন্দ্র। দিনে কিংবা রাতে যে কেউই ঘুরে আসতে পারেন হাতিরঝিলে। একটু সন্ধ্যা হলেই বেশি জমে ওঠে। ভিন্ন ডিজাইনে করা ব্রিজের নিচ থেকে আলো যেন পুরো পরিবেশকে দিয়েছে অন্য রূপ। আর পুরো হাতিরঝিল ঘুরে দেখতে চাইলে রয়েছে বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস।
শিশুপার্ক
শিশুদের কাছে ঈদ সবচেয়ে বেশি আনন্দের। শিশুদের ঈদ আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কে রয়েছে টানা চার দিনব্যাপী ঈদ আয়োজন। সাধারণত বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও ঈদের দিন শিশুপার্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রবেশ মূল্য ১৫ টাকা। মেরি-গো-রাউন্ড, চাকা পায়ে চলা, টয় ট্রেন, উড়ন্তবিমান, উড়ন্ত নভোযানসহ রয়েছে বেশ কিছু রাইড আছে। এসব রাইড উপভোগ করা যাবে ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যেই।
ঢাকা চিড়িয়াখানা
বাঘ-সিংহের গর্জন, মায়াবী চিত্রা হরিণ, পেঁচিয়ে পড়ে থাকা সাপের আলসেমি, বানরের বাঁদরামি, রোদ পোহানো কুমির, ময়ূরের পেখম ছড়ানোর ফ্যাশন শোসহ আরো কত কী দেখার আছে। ঢাকা চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। দুই বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য টিকিট লাগবে না। আর প্রাণী জাদুঘরের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি দুই টাকা।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের সবুজ প্রকৃতির মধ্যে কিছুটা সময় কাটাতে আসবেন ঈদের সময়। আপনি ঘুরে আসতে পারেন পরিবার পরিজনের সাথে।
দিয়াবাড়ী
দিয়াবাড়ীতে লেকের শীতল বাতাস ও সবুজের সমারোহে মুক্তি মিলবে শহুরে কোলাহল থেকে। সবুজ প্রান্তর, লেক, ফুরফুরে ঠাণ্ডা বাতাস, কাশবন সব মিলিয়ে এক চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। রাজধানীর ভেতরে এ যেন এক ভিন্ন জগৎ। উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরতে যান নানাবয়সী লোকজন। দিয়াবাড়ীতে বাঁশ ও কাঠের কাঠামো দিয়ে বানানো হয়েছে বসার জায়গা। সারি দিয়ে বাঁধা প্যাডেল বোট। ঘণ্টা ভিত্তিতে ভাড়া করে ঘুরতে পারবেন।
জিন্দা পার্ক
আপনার গন্তব্য যদি হয় খানিকটা দূরে, আর হাতে যদি থাকে সারা দিনের সময়, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন জিন্দা পার্ক। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গ্রামের প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পার্ক। নানা ধরনের গাছপালা, পুকুর, বিরাট মাঠ, ট্রি হাউজসহ বিনোদনের সবরকম ব্যবস্থা আছে। প্রায় ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশি গাছ-গাছালি আছে এখানে। আছে সুবিশাল ৫টি জলাধার সহ ট্রি-হাউস, টিলা, ফুলের বাগান এবং লেকের ওপর চমৎকার ব্রিজ। প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা।
নন্দন পার্ক
সাভারের নবীনগরের নন্দন পার্কে নানা রকম রাইড আর ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি আছে খুদে চিড়িয়াখানাও। ঈদ উপলক্ষে কনসার্টের ব্যবস্থা থাকছে এখানে। নন্দন পার্ক খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।
ফ্যান্টাসি কিংডম
বর্তমান সময়ের ঢাকাবাসীদের কাছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম। এই থিম পার্কে ঈদের দিন থাকছে কনসার্ট, নাচ প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন। তা ছাড়া বাম্পার বোট, বাম্পার কার, ইজিডিজি, জুজু ট্রেন, রোলার কোস্টার, ম্যাজিক কার্পেট, প্যাডল বোট। আর ওয়াটার ওয়ার্ল্ড তো থাকছেই।
যমুনা ফিউচার পার্ক
যমুনা ফিউচার পার্ক ঢাকা শহরের অভিজাত জায়গা কুড়িল, বারিধারা, প্রগতি সরণি ও গুলশানের মতো জায়গার কাছাকাছি। এটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর খুব কাছে অবস্থিত। যমুনা ফিউচার পার্কে থাকছে নানা রকম মজার রাইড, ব্লক বাস্টারে রোমাঞ্চকর মুভি দেখার সুযোগ।
ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক
ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক ঢাকার সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের পাশে অবস্থিত। খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এখানে ১৩টি রাইডের মধ্যে রয়েছে ফ্লাওয়ার কাপ, মিনি ক্যাব, বেবি কার, টয় ট্রেন, ভয়েজার বোর্ড, টুইস্টার, সুপার চেয়ার, মেরি-গো-রাউন্ড, ওয়ান্ডারল্যান্ড হুইল ইত্যাদি। প্রবেশমূল্য ছোট-বড় সবার জন্য ৫০ টাকা। আর সব রাইডের মূল্য ৩০ টাকা করে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরন্তন প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সাভার উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স। ঈদের ছুটির তিন দিনই দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য মন কাড়বে যে কারো। অসংখ্য পুকুর, ঝিল আর সবুজের সমারোহ প্রজাপতি আকৃতির এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বানিয়েছে পাখি আর প্রজাপতির অভয়ারণ্য। প্রকৃতির ছায়ার পাশাপাশি বটতলার খাবারের জন্যও প্রসিদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। হরেক রকম ভর্তা আর দেশীয় মাছের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে অনেকেই আসেন। বিশেষ দিনের স্মৃতিতে ঝকঝকে কিছু মুহূর্ত বন্দী করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও।
ঘনবসতির শহর হলেও নগরবাসী খুঁজে নিয়েছেন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেয়ার কিছু জায়গা। শরতের কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আছে উত্তরার দিয়াবাড়ী। মিরপুর ডিওএইচএসের সাগুফতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও কম যায় না। পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের খোলা রাস্তায় ঘোরাঘুরির সঙ্গে আছে নানান পদের খাবারের দোকানে রসনা পরিতৃপ্তির সুযোগ। নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে চাইলে আছে মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটি। বালুর মাঠ, নদীর বাতাস সব মিলিয়ে ব্যস্ত নগরী থেকে একটু স্বস্তি মিলবে। ঢাকার আশপাশ থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। নন্দন পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গাজীপুরে আছে অনেক রিসোর্ট। নারায়ণগঞ্জের পানাম নগরী, হাজীগঞ্জ জলদুর্গ, সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এবং বাংলার তাজমহল। মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদারবাড়ি থেকেও ঘুরে আসা যায়। ঈদে গোশত খেতে খেতে অরুচি এসে গেলে তাজা ইলিশের স্বাদ নিতে যাওয়া যায় মাওয়া ঘাটে।
হাতিরঝিল
ইটপাথরের এই ব্যস্ত শহরে ক্লান্তিকর নাগরিক জীবনে রাজধানীর হাতিরঝিল হয়ে উঠেছে মনোরম এক বিনোদনকেন্দ্র। দিনে কিংবা রাতে যে কেউই ঘুরে আসতে পারেন হাতিরঝিলে। একটু সন্ধ্যা হলেই বেশি জমে ওঠে। ভিন্ন ডিজাইনে করা ব্রিজের নিচ থেকে আলো যেন পুরো পরিবেশকে দিয়েছে অন্য রূপ। আর পুরো হাতিরঝিল ঘুরে দেখতে চাইলে রয়েছে বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস।
শিশুপার্ক
শিশুদের কাছে ঈদ সবচেয়ে বেশি আনন্দের। শিশুদের ঈদ আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কে রয়েছে টানা চার দিনব্যাপী ঈদ আয়োজন। সাধারণত বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও ঈদের দিন শিশুপার্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রবেশ মূল্য ১৫ টাকা। মেরি-গো-রাউন্ড, চাকা পায়ে চলা, টয় ট্রেন, উড়ন্তবিমান, উড়ন্ত নভোযানসহ রয়েছে বেশ কিছু রাইড আছে। এসব রাইড উপভোগ করা যাবে ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যেই।
ঢাকা চিড়িয়াখানা
বাঘ-সিংহের গর্জন, মায়াবী চিত্রা হরিণ, পেঁচিয়ে পড়ে থাকা সাপের আলসেমি, বানরের বাঁদরামি, রোদ পোহানো কুমির, ময়ূরের পেখম ছড়ানোর ফ্যাশন শোসহ আরো কত কী দেখার আছে। ঢাকা চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। দুই বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য টিকিট লাগবে না। আর প্রাণী জাদুঘরের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি দুই টাকা।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের সবুজ প্রকৃতির মধ্যে কিছুটা সময় কাটাতে আসবেন ঈদের সময়। আপনি ঘুরে আসতে পারেন পরিবার পরিজনের সাথে।
দিয়াবাড়ী
দিয়াবাড়ীতে লেকের শীতল বাতাস ও সবুজের সমারোহে মুক্তি মিলবে শহুরে কোলাহল থেকে। সবুজ প্রান্তর, লেক, ফুরফুরে ঠাণ্ডা বাতাস, কাশবন সব মিলিয়ে এক চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। রাজধানীর ভেতরে এ যেন এক ভিন্ন জগৎ। উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরতে যান নানাবয়সী লোকজন। দিয়াবাড়ীতে বাঁশ ও কাঠের কাঠামো দিয়ে বানানো হয়েছে বসার জায়গা। সারি দিয়ে বাঁধা প্যাডেল বোট। ঘণ্টা ভিত্তিতে ভাড়া করে ঘুরতে পারবেন।
জিন্দা পার্ক
আপনার গন্তব্য যদি হয় খানিকটা দূরে, আর হাতে যদি থাকে সারা দিনের সময়, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন জিন্দা পার্ক। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গ্রামের প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পার্ক। নানা ধরনের গাছপালা, পুকুর, বিরাট মাঠ, ট্রি হাউজসহ বিনোদনের সবরকম ব্যবস্থা আছে। প্রায় ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশি গাছ-গাছালি আছে এখানে। আছে সুবিশাল ৫টি জলাধার সহ ট্রি-হাউস, টিলা, ফুলের বাগান এবং লেকের ওপর চমৎকার ব্রিজ। প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা।
নন্দন পার্ক
সাভারের নবীনগরের নন্দন পার্কে নানা রকম রাইড আর ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি আছে খুদে চিড়িয়াখানাও। ঈদ উপলক্ষে কনসার্টের ব্যবস্থা থাকছে এখানে। নন্দন পার্ক খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।
ফ্যান্টাসি কিংডম
বর্তমান সময়ের ঢাকাবাসীদের কাছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম। এই থিম পার্কে ঈদের দিন থাকছে কনসার্ট, নাচ প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন। তা ছাড়া বাম্পার বোট, বাম্পার কার, ইজিডিজি, জুজু ট্রেন, রোলার কোস্টার, ম্যাজিক কার্পেট, প্যাডল বোট। আর ওয়াটার ওয়ার্ল্ড তো থাকছেই।
যমুনা ফিউচার পার্ক
যমুনা ফিউচার পার্ক ঢাকা শহরের অভিজাত জায়গা কুড়িল, বারিধারা, প্রগতি সরণি ও গুলশানের মতো জায়গার কাছাকাছি। এটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর খুব কাছে অবস্থিত। যমুনা ফিউচার পার্কে থাকছে নানা রকম মজার রাইড, ব্লক বাস্টারে রোমাঞ্চকর মুভি দেখার সুযোগ।
ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক
ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক ঢাকার সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের পাশে অবস্থিত। খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এখানে ১৩টি রাইডের মধ্যে রয়েছে ফ্লাওয়ার কাপ, মিনি ক্যাব, বেবি কার, টয় ট্রেন, ভয়েজার বোর্ড, টুইস্টার, সুপার চেয়ার, মেরি-গো-রাউন্ড, ওয়ান্ডারল্যান্ড হুইল ইত্যাদি। প্রবেশমূল্য ছোট-বড় সবার জন্য ৫০ টাকা। আর সব রাইডের মূল্য ৩০ টাকা করে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরন্তন প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ঢাকা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সাভার উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স। ঈদের ছুটির তিন দিনই দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য মন কাড়বে যে কারো। অসংখ্য পুকুর, ঝিল আর সবুজের সমারোহ প্রজাপতি আকৃতির এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বানিয়েছে পাখি আর প্রজাপতির অভয়ারণ্য। প্রকৃতির ছায়ার পাশাপাশি বটতলার খাবারের জন্যও প্রসিদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। হরেক রকম ভর্তা আর দেশীয় মাছের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে অনেকেই আসেন। বিশেষ দিনের স্মৃতিতে ঝকঝকে কিছু মুহূর্ত বন্দী করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও।
No comments