আদালতে শুনানিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীর মৃত্যু

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, এ দিন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন টিএম আকবর। জেরার এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার পর পরই তিনি এজলাসে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, টিএম আকবর হার্ট অ্যাটাকে হাসপাতালে আনার আগেই পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।
টিএম আকবর অসুস্থ হওয়ার পর আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এজলাস থেকে নেমে যান। আইনজীবীর মৃত্যুর খবর আসার পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এ দিন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত মঞ্জুর করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই আইনজীবী দুদকের প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক নূর আহমেদকে জেরা শুরু করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলাটি দায়ের করে দুদক।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় আসামিদের বিচার শুরু হয়। গত বছরের ১ ডিসেম্বর নিজেকে ‘সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ’ দাবি করে এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন খালেদা জিয়া। অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ ধলাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় অপর মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
No comments